ঢাকা ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

আফগানিস্তানে মানবিক সংকট এড়াতে ৬০ কোটি ডলার চায় জাতিসংঘ

  • আপডেট সময় : ১১:৩৬:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ৯৮ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তালেবানের কাবুল দখলের আগে থেকেই আফগানিস্তানের এক কোটি ৮০ লাখ লোক ত্রাণ সহায়তার ওপর নির্ভরশীল ছিল, তাদের ক্ষমতা দখলের পর খরা, অর্থ ও খাদ্য ঘাটতির মধ্যে সংখ্যাটি আরও বেড়েছে বলে ধারণা করে আসন্ন মানবিক সংকট এড়াতে দাতাদের কাছে ৬০ কোটি ডলার চেয়েছে জাতিসংঘ।
এই উদ্দেশ্যে আফগানিস্তানের জন্য ৬০ কোটি ডলারেরও বেশি অর্থ সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়ে সোমবার জেনিভায় একটি সাহায্য সম্মেলনের আহ্বান করেছে বিশ্বের অভিভাবক সংস্থাটি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আফগানিস্তানের পশ্চিমা সমর্থিত সরকারের পতনের পর তালেবানের জয় নিশ্চিত হওয়ায় সেখানে হাজার হাজার কোটি ডলারের বৈদেশিক অনুদান হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়, এতে দেশটিতে থাকা জাতিসংঘের কর্মসূচীগুলোর ওপর প্রবল চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
কিন্তু জাতিসংঘ নিজেই এখন আর্থিক চাপে থাকায় তাদের পক্ষে অতিরিক্ত এ চাপ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
গত শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, “বর্তমান মুহূর্তে জাতিসংঘ নিজের কর্মীদেরই বেতন দিতে পারছে না।”
গতকাল সোমবার স্থানীয় সময় বিকালে শুরু হওয়ার কথা থাকা জেনিভা সম্মেলনে গুতেরেসসহ জাতিসংঘের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের পাশাপাশি রেডক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটির প্রধান পিটার মাওরার, জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাসসহ কয়েক ডজন দেশের সরকারি প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এই সম্মেলনে দাতাদের কাছে চাওয়া মোট অর্থের প্রায় এক তৃতীয়াংশ জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য সংস্থার মাধ্যমে ব্যবহার করা হতে পারে। অগাস্ট ও সেপ্টেম্বরে এক হাজার ৬০০ আফগানের মধ্যে সংস্থাটির চালানো এক জরিপে দেখা গেছে, তাদের ৯৩ শতাংশই যথেষ্ট খাবার পাচ্ছেন না, কারণ খাদ্য কেনার মতো নগর অর্থ তাদের হাতে নেই।
জাতিসংঘের আরেক এজেন্সি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই আবেদনের অংশ। দাতারা চলে যাওয়ার পর বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে পড়া আফগানিস্তানের কয়েকশত স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে সংস্থাটি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

যে ভাইকে জেল থেকে বের করেছি, সেই আমার স্ত্রী-সন্তানদের হত্যা করল…

আফগানিস্তানে মানবিক সংকট এড়াতে ৬০ কোটি ডলার চায় জাতিসংঘ

আপডেট সময় : ১১:৩৬:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তালেবানের কাবুল দখলের আগে থেকেই আফগানিস্তানের এক কোটি ৮০ লাখ লোক ত্রাণ সহায়তার ওপর নির্ভরশীল ছিল, তাদের ক্ষমতা দখলের পর খরা, অর্থ ও খাদ্য ঘাটতির মধ্যে সংখ্যাটি আরও বেড়েছে বলে ধারণা করে আসন্ন মানবিক সংকট এড়াতে দাতাদের কাছে ৬০ কোটি ডলার চেয়েছে জাতিসংঘ।
এই উদ্দেশ্যে আফগানিস্তানের জন্য ৬০ কোটি ডলারেরও বেশি অর্থ সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়ে সোমবার জেনিভায় একটি সাহায্য সম্মেলনের আহ্বান করেছে বিশ্বের অভিভাবক সংস্থাটি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আফগানিস্তানের পশ্চিমা সমর্থিত সরকারের পতনের পর তালেবানের জয় নিশ্চিত হওয়ায় সেখানে হাজার হাজার কোটি ডলারের বৈদেশিক অনুদান হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়, এতে দেশটিতে থাকা জাতিসংঘের কর্মসূচীগুলোর ওপর প্রবল চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
কিন্তু জাতিসংঘ নিজেই এখন আর্থিক চাপে থাকায় তাদের পক্ষে অতিরিক্ত এ চাপ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
গত শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, “বর্তমান মুহূর্তে জাতিসংঘ নিজের কর্মীদেরই বেতন দিতে পারছে না।”
গতকাল সোমবার স্থানীয় সময় বিকালে শুরু হওয়ার কথা থাকা জেনিভা সম্মেলনে গুতেরেসসহ জাতিসংঘের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের পাশাপাশি রেডক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটির প্রধান পিটার মাওরার, জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাসসহ কয়েক ডজন দেশের সরকারি প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এই সম্মেলনে দাতাদের কাছে চাওয়া মোট অর্থের প্রায় এক তৃতীয়াংশ জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য সংস্থার মাধ্যমে ব্যবহার করা হতে পারে। অগাস্ট ও সেপ্টেম্বরে এক হাজার ৬০০ আফগানের মধ্যে সংস্থাটির চালানো এক জরিপে দেখা গেছে, তাদের ৯৩ শতাংশই যথেষ্ট খাবার পাচ্ছেন না, কারণ খাদ্য কেনার মতো নগর অর্থ তাদের হাতে নেই।
জাতিসংঘের আরেক এজেন্সি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই আবেদনের অংশ। দাতারা চলে যাওয়ার পর বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে পড়া আফগানিস্তানের কয়েকশত স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে সংস্থাটি।