ঢাকা ০২:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শপথ নিয়েই ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল, চাকরি গেল চার কর্মকর্তার

আমেরিকায় স্বর্ণযুগের সূচনা করলেন ট্রাম্প

  • আপডেট সময় : ০৭:১৪:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

শপথ নিয়েই বাইডেনের ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি

প্রত্যাশা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার অভিষেক ভাষণে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, এই মুহূর্ত থেকে আমেরিকার স্বর্ণযুগ শুরু হচ্ছে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) তিনি শপথ নেওয়ার পর এই ভাষণ দেন। ভাষণে তিনি আমেরিকাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।
বিচার বিভাগকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার বন্ধ করা হবে উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, বিচারের ভারসাম্য পুনর্বিন্যাসিত হবে। দুর্বৃত্ত, অত্যাচারী ও অস্বচ্ছ বিচার বিভাগের এবং সরকারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার বন্ধ হবে।

ট্রাম্প বলেন, তিনি ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার সময় একটি নতুন ও সফল যুগের সূচনার ব্যাপারে আশাবাদী। ‘পরিবর্তনের জোয়ার দেশজুড়ে বইছে,’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘সূর্যালোক এখন গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে এবং আমেরিকার জন্য এই সুযোগটি কাজে লাগানোর সময় এসে গেছে।’ জনগণকে তাদের বিশ্বাস, তাদের সম্পদ, তাদের গণতন্ত্র এবং তাদের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে ভাষণে বলেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, এই মুহূর্ত থেকে, আমেরিকার পতন শেষ।

ট্রাম্প তার বক্তৃতায় নর্থ ক্যারোলিনার হারিকেন এবং লস অ্যাঞ্জেলেসের আগুন নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্রে একটি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা রয়েছে যা দুর্যোগের সময়ে সঠিকভাবে কাজ করে না। দেশটির শিক্ষা ব্যবস্থায় শিশুদের নিজেদের লজ্জিত হতে শেখানো হয়। এগুলো সবই আজ থেকেই পরিবর্তিত হবে এবং খুব দ্রুত পরিবর্তিত হবে। ভাষণে ট্রাম্প তার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমাদের সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধার করা হবে, আমাদের নিরাপত্তা পুনরুদ্ধার করা হবে, বিচার ব্যবস্থার ভারসাম্য পুনর্বিন্যাসিত হবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের শীর্ষ অগ্রাধিকারের মধ্যে থাকবে একটি গর্বিত, সমৃদ্ধ এবং স্বাধীন জাতি তৈরি করা। সূত্র: বিবিসি, সিএনএন

৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল করলেন ট্রাম্প: যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ওভাল অফিসে ফিরলেন তিনি। ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল ওয়ান অ্যারেনার মঞ্চে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথগ্রহণের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রথম ভাষণে বলেন, শিগগির বাইডেন আমলের সব নির্বাহী আদেশ বাতিল করবেন তিনি। এর কিছুক্ষণ পরই তিনি যেসব নির্বাহী আদেশে সই করেছেন তার মধ্যে শুরুতেই তিনি বাইডেন আমলের ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল করেন। স্থগিতাদেশে সই করার পর ট্রাম্প জনতার উদ্দেশ্যে সেটি তুলে ধরে দেখান। এ ছাড়া প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার আদেশেও সই করেন ট্রাম্প। এর আগে ক্ষমতা ছাড়ার আগে শেষ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফৌজদারি মামলার হুমকিতে রয়েছেন এমন বেশ কয়েকজনকে ক্ষমা করে দেন। নিজের প্রথম ভাষণে ট্রাম্প বলেছন, ওই আদেশও বাতিল হবে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত একটি আদেশেও সই করেছেন ট্রাম্প। এ ছাড়া দায়িত্ব নেওয়ার পর যেসব নির্বাহী আদেশে সই করেছেন তার মধ্যে একটি হলো যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি। একটি জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আইন সংক্রান্ত। এগুলো সই করার পরে ট্রাম্প বলেন, এটি একটি বিশাল সিদ্ধান্ত।

কেউ যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করলে তিনি জন্মসূত্রে দেশটির নাগরিকত্ব পান। এই বিধান বাতিলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। শপথ নেওয়ার পর এ সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে সই করেন ট্রাম্প। তবে শুধু নির্বাহী আদেশ দিয়েই এই নীতি পরিবর্তন করা কঠিন। কারণ মার্কিন সংবিধানেই জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ বন্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে যে ‘লাখ লাখ অপরাধী’ অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে, তারা যেখান থেকে এসেছে, সেখানে ফেরত পাঠানো হবে। ট্রাম্পের রিমেইন ইন মেক্সিকো বা ‘মেক্সিকোতেই থাক’ নীতি ফের কার্যকর করা হবে। সীমান্ত এলাকায় আরও সৈনিক ও জনবল পাঠানো হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি। মাদক চক্র বা কার্টেলগুলো বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করা হবে এসব নির্বাহী আদেশে। ‘এলিয়েনস এনিমিস অ্যাক্ট অব ১৭৯৮’ পুনর্বহাল করা হবে, যাতে কেন্দ্রীয় ও অঙ্গরাজ্যগুলো ‘যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বিদেশি গ্যাংগুলো’ দমনে সর্বশক্তি প্রয়োগ করতে পারে। শপথ গ্রহণের দিনটি (২০ জানুয়ারি, ২০২৫) ‘মুক্তির দিন’ বলে বর্ণনা করেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট।

চারজনের চাকরি গেল, হাজারো কর্মকর্তাকে বরখাস্তের হুমকি ট্রাম্পের: যুক্তরাষ্ট্র সরকারের চারজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছেন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনই ট্রাম্প তার পূর্বসূরির নিয়োগ দেওয়া এই চার কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করলেন। অভিষেকের পর ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল নামের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া প্রথম পোস্টে নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন। একই পোস্টে তিনি হাজারো কর্মকর্তাকে বরখাস্তের হুমকি দিয়েছেন। ট্রাম্প তার পোস্টে লিখেছেন, আগের প্রশাসনের নিয়োগ দেওয়া এক হাজারের বেশি ব্যক্তিকে চিহ্নিত ও অপসারণের লক্ষ্যে সক্রিয় প্রক্রিয়া চলমান। আমেরিকাকে আবার মহান করে তোলার বিষয়ে তার যে দৃষ্টিভঙ্গি, তার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নন এই ব্যক্তিরা।

বরখাস্ত হওয়া চার ব্যক্তি হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের খেলাধুলা, স্বাস্থ্য-সবলতা ও পুষ্টিবিষয়ক পরিষদের হোসে আন্দ্রেজ, জাতীয় অবকাঠামো উপদেষ্টা পরিষদের মার্ক মিলে, উইলসন সেন্টার ফর স্কলারসের ব্রায়ান হুক ও রপ্তানিবিষয়ক পরিষদের কেইশা ল্যান্স বটমস। তাদের তৎক্ষণাৎ বরখাস্ত করা হয়েছে। ট্রাম্প তার পোস্টে লিখেছেন, এই ঘোষণা উল্লিখিত চারজনের বরখাস্তের দাপ্তরিক নোটিশ হিসেবে গণ্য হবে। আরও অনেকের জন্য শিগগির বরখাস্তের নোটিশ আসবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শপথ নিয়েই ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল, চাকরি গেল চার কর্মকর্তার

আমেরিকায় স্বর্ণযুগের সূচনা করলেন ট্রাম্প

আপডেট সময় : ০৭:১৪:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার অভিষেক ভাষণে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, এই মুহূর্ত থেকে আমেরিকার স্বর্ণযুগ শুরু হচ্ছে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) তিনি শপথ নেওয়ার পর এই ভাষণ দেন। ভাষণে তিনি আমেরিকাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।
বিচার বিভাগকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার বন্ধ করা হবে উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, বিচারের ভারসাম্য পুনর্বিন্যাসিত হবে। দুর্বৃত্ত, অত্যাচারী ও অস্বচ্ছ বিচার বিভাগের এবং সরকারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার বন্ধ হবে।

ট্রাম্প বলেন, তিনি ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার সময় একটি নতুন ও সফল যুগের সূচনার ব্যাপারে আশাবাদী। ‘পরিবর্তনের জোয়ার দেশজুড়ে বইছে,’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘সূর্যালোক এখন গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে এবং আমেরিকার জন্য এই সুযোগটি কাজে লাগানোর সময় এসে গেছে।’ জনগণকে তাদের বিশ্বাস, তাদের সম্পদ, তাদের গণতন্ত্র এবং তাদের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে ভাষণে বলেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, এই মুহূর্ত থেকে, আমেরিকার পতন শেষ।

ট্রাম্প তার বক্তৃতায় নর্থ ক্যারোলিনার হারিকেন এবং লস অ্যাঞ্জেলেসের আগুন নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্রে একটি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা রয়েছে যা দুর্যোগের সময়ে সঠিকভাবে কাজ করে না। দেশটির শিক্ষা ব্যবস্থায় শিশুদের নিজেদের লজ্জিত হতে শেখানো হয়। এগুলো সবই আজ থেকেই পরিবর্তিত হবে এবং খুব দ্রুত পরিবর্তিত হবে। ভাষণে ট্রাম্প তার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমাদের সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধার করা হবে, আমাদের নিরাপত্তা পুনরুদ্ধার করা হবে, বিচার ব্যবস্থার ভারসাম্য পুনর্বিন্যাসিত হবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের শীর্ষ অগ্রাধিকারের মধ্যে থাকবে একটি গর্বিত, সমৃদ্ধ এবং স্বাধীন জাতি তৈরি করা। সূত্র: বিবিসি, সিএনএন

৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল করলেন ট্রাম্প: যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ওভাল অফিসে ফিরলেন তিনি। ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল ওয়ান অ্যারেনার মঞ্চে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথগ্রহণের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রথম ভাষণে বলেন, শিগগির বাইডেন আমলের সব নির্বাহী আদেশ বাতিল করবেন তিনি। এর কিছুক্ষণ পরই তিনি যেসব নির্বাহী আদেশে সই করেছেন তার মধ্যে শুরুতেই তিনি বাইডেন আমলের ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল করেন। স্থগিতাদেশে সই করার পর ট্রাম্প জনতার উদ্দেশ্যে সেটি তুলে ধরে দেখান। এ ছাড়া প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার আদেশেও সই করেন ট্রাম্প। এর আগে ক্ষমতা ছাড়ার আগে শেষ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফৌজদারি মামলার হুমকিতে রয়েছেন এমন বেশ কয়েকজনকে ক্ষমা করে দেন। নিজের প্রথম ভাষণে ট্রাম্প বলেছন, ওই আদেশও বাতিল হবে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত একটি আদেশেও সই করেছেন ট্রাম্প। এ ছাড়া দায়িত্ব নেওয়ার পর যেসব নির্বাহী আদেশে সই করেছেন তার মধ্যে একটি হলো যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি। একটি জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আইন সংক্রান্ত। এগুলো সই করার পরে ট্রাম্প বলেন, এটি একটি বিশাল সিদ্ধান্ত।

কেউ যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করলে তিনি জন্মসূত্রে দেশটির নাগরিকত্ব পান। এই বিধান বাতিলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। শপথ নেওয়ার পর এ সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে সই করেন ট্রাম্প। তবে শুধু নির্বাহী আদেশ দিয়েই এই নীতি পরিবর্তন করা কঠিন। কারণ মার্কিন সংবিধানেই জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ বন্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে যে ‘লাখ লাখ অপরাধী’ অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে, তারা যেখান থেকে এসেছে, সেখানে ফেরত পাঠানো হবে। ট্রাম্পের রিমেইন ইন মেক্সিকো বা ‘মেক্সিকোতেই থাক’ নীতি ফের কার্যকর করা হবে। সীমান্ত এলাকায় আরও সৈনিক ও জনবল পাঠানো হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি। মাদক চক্র বা কার্টেলগুলো বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করা হবে এসব নির্বাহী আদেশে। ‘এলিয়েনস এনিমিস অ্যাক্ট অব ১৭৯৮’ পুনর্বহাল করা হবে, যাতে কেন্দ্রীয় ও অঙ্গরাজ্যগুলো ‘যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বিদেশি গ্যাংগুলো’ দমনে সর্বশক্তি প্রয়োগ করতে পারে। শপথ গ্রহণের দিনটি (২০ জানুয়ারি, ২০২৫) ‘মুক্তির দিন’ বলে বর্ণনা করেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট।

চারজনের চাকরি গেল, হাজারো কর্মকর্তাকে বরখাস্তের হুমকি ট্রাম্পের: যুক্তরাষ্ট্র সরকারের চারজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছেন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনই ট্রাম্প তার পূর্বসূরির নিয়োগ দেওয়া এই চার কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করলেন। অভিষেকের পর ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল নামের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া প্রথম পোস্টে নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন। একই পোস্টে তিনি হাজারো কর্মকর্তাকে বরখাস্তের হুমকি দিয়েছেন। ট্রাম্প তার পোস্টে লিখেছেন, আগের প্রশাসনের নিয়োগ দেওয়া এক হাজারের বেশি ব্যক্তিকে চিহ্নিত ও অপসারণের লক্ষ্যে সক্রিয় প্রক্রিয়া চলমান। আমেরিকাকে আবার মহান করে তোলার বিষয়ে তার যে দৃষ্টিভঙ্গি, তার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নন এই ব্যক্তিরা।

বরখাস্ত হওয়া চার ব্যক্তি হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের খেলাধুলা, স্বাস্থ্য-সবলতা ও পুষ্টিবিষয়ক পরিষদের হোসে আন্দ্রেজ, জাতীয় অবকাঠামো উপদেষ্টা পরিষদের মার্ক মিলে, উইলসন সেন্টার ফর স্কলারসের ব্রায়ান হুক ও রপ্তানিবিষয়ক পরিষদের কেইশা ল্যান্স বটমস। তাদের তৎক্ষণাৎ বরখাস্ত করা হয়েছে। ট্রাম্প তার পোস্টে লিখেছেন, এই ঘোষণা উল্লিখিত চারজনের বরখাস্তের দাপ্তরিক নোটিশ হিসেবে গণ্য হবে। আরও অনেকের জন্য শিগগির বরখাস্তের নোটিশ আসবে।