বিনোদন ডেস্ক: সংখ্যার হিসেবে বয়স ৮৩ হলেও কয়েক প্রজন্মের অভিনেতার সঙ্গে টক্কর দিয়ে কাজ করে চলেছেন ভারতের হিন্দি সিনেমার মহাতারকা অমিতাভ বচ্চন। এই বয়সেও শুটিংয়ে পৌঁছান সহকর্মীদের আগে, সিনেমার স্বার্থে ছোটখাট টিলা থেকে লাফ দেওয়া বা হিমালয় বাইতেও পিছপা নন তিনি।
গেল দুই বছরে শুটিং সেটে কয়েকবার গুরুতর আহত হলেও, সুস্থ হয়ে ফিরেছেন শুটিং ফ্লোরে। ক্লান্তিকে ধারকাছে ঘেষতে না দিয়ে বর্ষীয়ান অভিনেতা কীভাবে শরীর স্বাস্থ্যকে নিজের ‘বশে রেখেছেন’ সেই গল্প করেছেন তার শরীরচর্চার দুই প্রশিক্ষক বৃন্দা মেহেতা ও শিবোহাম।
হিন্দুস্তান টাইমসকে বৃন্দা ও শিবোহাম বলেছেন তারা গত আড়াই দশক ধরে অমিতাভের শরীরচর্চার বিষয়টি দেখভাল করছেন।
সুশৃঙ্খল জীবনধারা অমিতাভের সুস্থতা ও ফিটনেস অটুট রেখেছে বলে ভাষ্য তার দুই প্রশিক্ষকের।
নিয়মানুবর্তিতা এবং জীবনযাপনে সংযমই অমিতাভের ফিট থাকার রহস্য। নিয়মের একচুল এদিক ওদিক করেন না তিনি। অনেকে বলেন, ‘সময় নেই বলে শরীরচর্চা করতে পারি না’। হাজার কাজ থাকলেও অমিতাভ ঠিক সময় বের করে নেন। ভোরে নির্দিষ্ট সময়েই শরীরচর্চা করেন। এক মিনিটও দেরি হয় না।“
বৃন্দা বলেছেন, অমিতাভের শরীরচর্চা শুরু হয় ভোর ৬টা থেকে। শুরুতে শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়াম ও প্রাণায়াম করেন। পরে কয়েকটি যোগাসন করেন। মেডিটেশনও করেন ঘড়ি ধরে। এই নিয়মের ব্যতিক্রম হয় না সাধারণত।
কোনো কারণে ব্যায়ামাগারে আসতে না পারলে আগে থেকে জানিয়ে দেন অমিতাভ। সকালে না হলেও, দিনে সময় বের করে প্রাণায়াম ও আসন অভ্যাস করে নেন বলে জানিয়েছেন বৃন্দা। অমিতাভ একবার ব্লগে তারা সারাদিনের খাদ্য তালিকা নিয়ে লিখেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তুলসী পাতার রস খেয়ে দিন শুরু হয় তার।
এরপর প্রোটিন শেক, কাঠবাদাম, পনির এবং ডাবের জল থাকে প্রাতরাশের খাদ্য তালিকায়। এছাড়া দুপুরে খেজুরও খাই, থাকে প্রোটিনের পাউডার। চেষ্টা করি প্রোটিনের মাত্রা যেন ঠিক থাকে।
চিনি, মিষ্টান্ন এবং ভাত এই তিন খাবার জীবন থেকে সম্পূর্ণ ছেঁটে ফেলেছেন বলে জানিয়েছেন অমিতাভ।
কম বয়সে সবই খেতাম। কিন্তু এখন বুঝেশুনে খাই। চেষ্টা করি শাকসবজি খেতে। চিনি এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার বাদ দেওয়ায় শরীরে দারুণ পরিবর্তন লক্ষ্য করেছি। কারণ এই খাবারগুলো বাদ দিলে স্থূলতা এড়িয়ে চলা সম্ভব বলে জানিয়েছেন অমিতাভ।