প্রত্যাশা ডেস্ক: গাজায় দীর্ঘ প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। সহিংসতা কমার সম্ভাবনার মধ্যে ঘরে ফিরছেন বাস্তুচ্যুত গাজাবাসী। কিন্তু তাঁদের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। গাজার এক বাসিন্দা মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনকে বলেছেন, এই মুহূর্ত তাঁদের কাছে অম্লমধুর। কারণ, একদিকে তাঁদের বাড়ি ফেরার খুশি, অন্যদিকে মাথা গোঁজার ঠাঁই না থাকার দুশ্চিন্তা। ৪৭০ দিন ধরে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অধিকাংশ ঘরবাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গাজার প্রায় সব ঘরবাড়ি পুরোপুরি ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জাতিসংঘের ত্রাণ ও মানবিক সহায়তাসংক্রান্ত সংস্থার (ওসিএইচএ) এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গাজার ৯২ শতাংশ বাড়ি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংখ্যার হিসেবে ৪ লাখ ৩৬ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ ৬০ হাজার বাড়ি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে আর ২ লাখ ৭৬ হাজার বাড়ি পুরোপুরি বা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওসিএইচএর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গাজার ১৮ লাখ মানুষের জরুরি আশ্রয় ও প্রয়োজনীয় গৃহস্থালি জিনিসপত্র প্রয়োজন।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গাজাজুড়ে প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এর মধ্যে একেকজনকে ১০ বার বা তার বেশি বাস্তুচ্যুত হতে হয়েছে। এ ছাড়া গাজার অধিকাংশ এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলি বিমান হামলা ও সামরিক অভিযানে সেখানকার অধিকাংশ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।