ঢাকা ০৪:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

কলম্বিয়ায় বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত ৬০

  • আপডেট সময় : ০৫:৪৪:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১০৪ বার পড়া হয়েছে

কলম্বিয়ায় বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত ৬০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কলম্বিয়ার মাদক চোরাচালান প্রধান কাটাটুম্বো অঞ্চলে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। চলমান নৃশংসতায় এখন পর্যন্ত ৬০ জন নিহত হয়েছেন বলে শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দেশটির সরকারি মানবাধিকার ন্যায়পালের কার্যালয় থেকে জানানো হয়। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কার্যালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, বামপন্থি ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (ইএলএন) ও আপাত নিষ্ক্রিয় রেভুল্যুশনারি আর্মড ফোর্সেস অব কলম্বিয়ার (ফার্ক) চলমান সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬০ জন নৃশংস হত্যার শিকার হয়েছেন। এছাড়া, ৩২ জন অপহরণের শিকার হয়েছেন এবং কয়েশ মানুষ প্রাণভয়ে ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

গত সপ্তাহে ইএলএনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলে একটি বৈঠক বাতিল করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো। চলমান সংঘর্ষ নিরসনের আশায় ওই বৈঠক ডাকা হয়েছিল।

এদিকে শনিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ইএলএন অভিযোগ করেছে, বেসামরিকদের হত্যা ও অন্যান্য নৃশংসতা চালিয়ে বর্তমান সংঘর্ষ উসকে দিয়েছে ফার্ক।

এই অভিযোগের প্রতিবাদের এখনও মন্তব্য করেনি গোষ্ঠীটি। অবশ্য শুক্রবার তারা জানিয়েছে, সহিংসতা আরও ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে তাদের সশস্ত্র সদস্যদের প্রত্যাহার করা শুরু করা হয়েছে।

নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, সংঘাতে জর্জরিত এই অঞ্চল ভেনেজুয়েলার নিকটবর্তী হওয়ায় মাদক চোরাচালানের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ফলে অবৈধ সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো কোকেইন পাচারের জন্য এই এলাকায় খুব সক্রিয় থাকে।

দেশটির অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ বন্ধে ২০২২ সাল থেকে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পেত্রো সরকার। এই উদ্দেশ্যে বামপন্থি গেরিলা ও সাবেক আধাসামরিক সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত অপরাধী সংগঠনগুলোর মধ্যে সমঝোতা করার একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

প্রায় ছয় দশকের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে দেশটিতে অন্তত সাড়ে চার লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।

ন্যায়পালের কার্যালয় থেকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, ইএলএনের বিরোধিতা করার জন্য সামাজিক আন্দোলনের অনেক নেতা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অপহরণের ঝুঁকিতে আছেন। বেসামরিকদের ওপর সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে তারা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কলম্বিয়ায় বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত ৬০

আপডেট সময় : ০৫:৪৪:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কলম্বিয়ার মাদক চোরাচালান প্রধান কাটাটুম্বো অঞ্চলে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। চলমান নৃশংসতায় এখন পর্যন্ত ৬০ জন নিহত হয়েছেন বলে শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দেশটির সরকারি মানবাধিকার ন্যায়পালের কার্যালয় থেকে জানানো হয়। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কার্যালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, বামপন্থি ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (ইএলএন) ও আপাত নিষ্ক্রিয় রেভুল্যুশনারি আর্মড ফোর্সেস অব কলম্বিয়ার (ফার্ক) চলমান সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬০ জন নৃশংস হত্যার শিকার হয়েছেন। এছাড়া, ৩২ জন অপহরণের শিকার হয়েছেন এবং কয়েশ মানুষ প্রাণভয়ে ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

গত সপ্তাহে ইএলএনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলে একটি বৈঠক বাতিল করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো। চলমান সংঘর্ষ নিরসনের আশায় ওই বৈঠক ডাকা হয়েছিল।

এদিকে শনিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ইএলএন অভিযোগ করেছে, বেসামরিকদের হত্যা ও অন্যান্য নৃশংসতা চালিয়ে বর্তমান সংঘর্ষ উসকে দিয়েছে ফার্ক।

এই অভিযোগের প্রতিবাদের এখনও মন্তব্য করেনি গোষ্ঠীটি। অবশ্য শুক্রবার তারা জানিয়েছে, সহিংসতা আরও ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে তাদের সশস্ত্র সদস্যদের প্রত্যাহার করা শুরু করা হয়েছে।

নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, সংঘাতে জর্জরিত এই অঞ্চল ভেনেজুয়েলার নিকটবর্তী হওয়ায় মাদক চোরাচালানের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ফলে অবৈধ সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো কোকেইন পাচারের জন্য এই এলাকায় খুব সক্রিয় থাকে।

দেশটির অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ বন্ধে ২০২২ সাল থেকে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পেত্রো সরকার। এই উদ্দেশ্যে বামপন্থি গেরিলা ও সাবেক আধাসামরিক সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত অপরাধী সংগঠনগুলোর মধ্যে সমঝোতা করার একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

প্রায় ছয় দশকের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে দেশটিতে অন্তত সাড়ে চার লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।

ন্যায়পালের কার্যালয় থেকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, ইএলএনের বিরোধিতা করার জন্য সামাজিক আন্দোলনের অনেক নেতা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অপহরণের ঝুঁকিতে আছেন। বেসামরিকদের ওপর সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে তারা।