কৃষি ও কৃষক ডেস্ক: আম গাছের মুকুল সুস্থ রাখতে সঠিক যত্ন এবং সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। মুকুল ঠিকঠাক থাকলে ফলন যেমন ভালো হবে, তেমনই রোগবালাই থেকেও গাছ থাকবে নিরাপদ। তাই যত্নের সহজ কিছু উপায় হলোÑ
মুকুল আসার আগে যত্ন: মুকুল আসার আগে আম গাছের যত্ন নিন। আম গাছ সুস্থ রাখতে ছোট ছোট পদক্ষেপ অনেক বড় ভূমিকা রাখে।
আগাছা পরিষ্কার: আগাছা শুধু গাছের পুষ্টি কমায় না, রোগ-বালাইয়ের ঝুঁকিও বাড়ায়। তাই মাটির চারপাশ একদম পরিষ্কার রাখুন।
মরা ডালপালা কেটে ফেলা: মরা বা শুকনো ডাল গাছে শুধু ওজন বাড়ায়। কিন্তু কোনো কাজে আসে না। এগুলো কেটে গাছকে হালকা করুন।
পরগাছা সরানো: গাছের শক্তি চুরি করে নেওয়া পরগাছা দূর করুন।
সেচ বন্ধ করা: গাছে মুকুল আসার ২-৩ মাস আগে সেচ বন্ধ রাখলে গাছ আরও ভালোভাবে প্রস্তুত হয়।
প্রথম স্প্রে: সময়মতো প্রথম স্প্রে করলে ভালো ফল পাবেন। মুকুল যখন ৪-৬ ইঞ্চি হয়; তখন সঠিকভাবে স্প্রে করলে গাছ রোগমুক্ত থাকে। এতে ১ লিটার পানিতে ০.৫ মিলিলিটার ইমিডাক্লোপ্রিড কীটনাশক ব্যবহার করবেন। এছাড়া ২ গ্রাম ম্যানকোজেব ছত্রাকনাশক ব্যবহার করবেন। এ সময় আম গাছের সব অংশ ভালোভাবে ভিজিয়ে স্প্রে করবেন।
স্প্রে বন্ধ: ফুল ফোটা অবস্থায় কোনো ধরনের স্প্রে করা যাবে না। প্রয়োজন হলে জানুয়ারিতে স্প্রে করুন। যদি জানুয়ারি মাসে কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া থাকে, তবে মুকুল আসার ১৫-২০ দিন আগে স্প্রে করতে পারেন।
হপার পোকা থেকে সুরক্ষা: এক লিটার পানিতে এক মিলিলিটার সাইপারমেথ্রিন কীটনাশক এবং দুই গ্রাম সালফারযুক্ত ছত্রাকনাশক ব্যবহার করবেন। এটি হপার পোকা থেকে সুরক্ষা করতে সাহায্য করবে। সুট্যি মোল্ড ছত্রাকের আক্রমণ কমানো যাবে।
দ্বিতীয় স্প্রে: যখন মুকুলে ফল আসবে, আমের মটর দানা আকৃতি তৈরি হলে দ্বিতীয় স্প্রে করতে হবে। এক লিটার পানিতে শূন্য দশমিকক ৫ মিলিলিটার ইমিডাক্লোপ্রিড কীটনাশক এবং দুই গ্রাম কার্বেন্ডাজিম ছত্রাকনাশক ব্যবহার করবেন। এসময় গাছের সম্পূর্ণ অংশ ভিজিয়ে স্প্রে করবেন।
গাছের জন্য আপনার ভালোবাসাই আসল যত্ন। তাই সঠিকভাবে পরিচর্যা করা জরুরি। আম গাছের মুকুল সুরক্ষিত রাখতে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করুন। গাছের সঠিক যত্নই ভালো ফলনের চাবিকাঠি। কৃষি বিষয়ক প্রয়োজনীয় পরামর্শের জন্য কৃষি কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করুন।