নিজস্ব প্রতিবেদক : দীর্ঘ কারাবাসের পর মুক্তি পেয়েছেন সাবেক বিএনপি-জামাত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। সব মামলায় খালাস পাওয়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কেরানীগঞ্জের ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয় বলে সহকারী কারা মহাপরিদর্শক জান্নাত উল ফরহাদ জানান। তিনি বলেন, “সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আর কোনো অভিযোগ না থাকায় কারা বিধি অনুযায়ী তিনি পৌনে ২টার দিকে কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন।”
নেত্রকোণা-৪ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্যের মুক্তির খবরে বিএনপি নেতাকর্মীদের অনেকেই ভিড় করেছিলেন কারাগারের বাইরে। লুৎফুজ্জামান বাবরের স্বজনরাও এসেছিলেন। মুক্তি পাওয়ার পর গলায় ফুলের মালা পরা বাবরকে হুডখোলা গাড়িতে দাঁড়িয়ে সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নাড়তে দেখা যায়। সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালের ২৮ মে লুৎফুজ্জামান বাবরকে গ্রেপ্তার করা হয়। জরুরি অবস্থার সেই দুই বছর এবং পরে আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে কয়েকটি মামলায় তাকে সাজা দেওয়া হয়। এর মধ্যে দুটি মামলায় তার মৃত্যুদণ্ড হয়, একটিতে হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আপিল শুনানি শেষে একে একে এসব মামলায় খালাস পান বাবর। গত ২৩ অক্টোবর দুর্নীতির এক মামলায় ৮ বছরের দণ্ড থেকে খালাস পান বাবর। ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় মৃত্যুদণ্ডের আসামি বাবরসহ সব আসামিকে গত ১ ডিসেম্বর খালাস দেয় হাই কোর্ট। ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলাতেও বাবরের মৃত্যুদণ্ড হয়েছিল। আর অস্ত্র আইনের পৃথক মামলায় হয়েছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। গত ১৮ ডিসেম্বর ও ১৪ জানুয়ারি আপিলের রায়ে হাই কোর্ট দুই মামলাতেই বাবরকে খালাস দিলে তার মুক্তির পথ খোলে।