ঢাকা ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাঠ্যবইয়ে ‘আদিবাসী’ শব্দ বাদ দিয়ে যুক্ত হচ্ছে নতুন গ্রাফিতি

  • আপডেট সময় : ০৪:১৫:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • ২৩ বার পড়া হয়েছে

নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ বইয়ে গ্রাফিতিতে সংযোজন করা ‘আদিবাসী’ শব্দ বাতিল করা হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ বইয়ে গ্রাফিতিতে সংযোজন করা ‘আদিবাসী’ শব্দ বাতিল করা হচ্ছে। সেখানে যুক্ত হচ্ছে নতুন একটি গ্রাফিতি।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, ‘আদিবাসী লেখা গ্রাফিতিটি বাদ যাচ্ছে। এছাড়া বইয়ের কোথাও আদিবাসী শব্দ নেই।

এর আগে, রোববার (১২ জানুয়ারি) ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ বইয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও রাষ্ট্রদ্রোহী পরিভাষা উল্লেখ করে ‘আদিবাসী’ শব্দ বাতিল এবং রাষ্ট্রদ্রোহী এই ‘অপকর্মে’র সঙ্গে জড়িতদের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে এনসিটিবি ঘেরাও করে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এই বিক্ষোভের একদিনের মাথায় ‘আদিবাসী’ লেখা গ্রাফিতিটি বাদ দিয়ে নতুন গ্রাফিতি যুক্ত করছে এনসিটিবি।

এদিকে, পাবর্তত্য জেলার নৃগোষ্ঠীরা আদিবাসী নয় নিজেদের জাতিগোষ্ঠীর আলাদা নামে অবিহিত করার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি করেছেন।

রোববার এনসিটিবি ঘেরাও করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা সরকারের কাছে পাঁচ দফা দাবি জানান। ওই দাবিগুলো হলো–

১. পাঠ্যপুস্তক থেকে রাষ্ট্রদ্রোহী ‘আদিবাসী’ শব্দ প্রত্যাহার, অখণ্ড ভারতের কল্পিত মানচিত্রের সব ধর্মীয় গাছের ছবি মুছে ফেলা, পরিমার্জন কমিটিতে থাকা দেশীয় মূল্যবোধবিরোধী ধর্মহীন রাখাল রাহা ওরফে সাজ্জাদকে অপসারণ, ‘আদিবাসী’ শব্দ অন্তর্ভুক্তি অনুমোদন করায় এনসিটিবির চেয়ারম্যান ও এর সঙ্গে যোগসাজশ থাকা কর্মকর্তাদের পদত্যাগ এবং তদন্ত কমিটির মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তকে ‘আদিবাসী’ শব্দ প্রবেশ সংযোজনের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের অপসারণ ও শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

২. অবাঙালিদের (ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী) আদিবাসী সম্বোধন করে কোনও বক্তব্য দেওয়া যাবে না, কোনও বই-পুস্তক ছাপানো যাবে না, লেখালেখি করা যাবে না, কোনও নাটক সিনেমা বা গল্প-কাহিনী রচনা করা যাবে না। বাঙালিদেরকেই বাংলাদেশের একমাত্র আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি থাকতে হবে।

৩. ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের (অবাঙালি) ‘আদিবাসী’ বলা ও প্রচারণাকে রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধ হিসেবে ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।

৪. শিক্ষার কথিত মানোন্নয়নের নামে দেশের শিক্ষাখাতে আন্তর্জাতিক সংস্থা বা এনজিও থেকে তহবিল নেওয়া বন্ধ করতে হবে এবং বৈদেশিক তহবিলের নামে শিক্ষা কারিকুলামকে সাম্রাজ্যবাদীদের হাতে তুলে দিয়ে আমাদের শিক্ষার্থীদের মগজ বিক্রি করা যাবে না।

৫). দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে শিক্ষানীতি, শিক্ষাক্রম, পাঠ্যক্রম এবং পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন ও পরিমার্জনে বিদেশি সংস্থা বা তাদের দ্বারা প্রভাবিত ব্যক্তিদের থেকে শতভাগ প্রভাবমুক্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’র পরামর্শ ও প্রতিনিধিত্ব রাখতে হবে।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পাঠ্যবইয়ে ‘আদিবাসী’ শব্দ বাদ দিয়ে যুক্ত হচ্ছে নতুন গ্রাফিতি

আপডেট সময় : ০৪:১৫:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ বইয়ে গ্রাফিতিতে সংযোজন করা ‘আদিবাসী’ শব্দ বাতিল করা হচ্ছে। সেখানে যুক্ত হচ্ছে নতুন একটি গ্রাফিতি।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, ‘আদিবাসী লেখা গ্রাফিতিটি বাদ যাচ্ছে। এছাড়া বইয়ের কোথাও আদিবাসী শব্দ নেই।

এর আগে, রোববার (১২ জানুয়ারি) ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ বইয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও রাষ্ট্রদ্রোহী পরিভাষা উল্লেখ করে ‘আদিবাসী’ শব্দ বাতিল এবং রাষ্ট্রদ্রোহী এই ‘অপকর্মে’র সঙ্গে জড়িতদের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে এনসিটিবি ঘেরাও করে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এই বিক্ষোভের একদিনের মাথায় ‘আদিবাসী’ লেখা গ্রাফিতিটি বাদ দিয়ে নতুন গ্রাফিতি যুক্ত করছে এনসিটিবি।

এদিকে, পাবর্তত্য জেলার নৃগোষ্ঠীরা আদিবাসী নয় নিজেদের জাতিগোষ্ঠীর আলাদা নামে অবিহিত করার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি করেছেন।

রোববার এনসিটিবি ঘেরাও করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা সরকারের কাছে পাঁচ দফা দাবি জানান। ওই দাবিগুলো হলো–

১. পাঠ্যপুস্তক থেকে রাষ্ট্রদ্রোহী ‘আদিবাসী’ শব্দ প্রত্যাহার, অখণ্ড ভারতের কল্পিত মানচিত্রের সব ধর্মীয় গাছের ছবি মুছে ফেলা, পরিমার্জন কমিটিতে থাকা দেশীয় মূল্যবোধবিরোধী ধর্মহীন রাখাল রাহা ওরফে সাজ্জাদকে অপসারণ, ‘আদিবাসী’ শব্দ অন্তর্ভুক্তি অনুমোদন করায় এনসিটিবির চেয়ারম্যান ও এর সঙ্গে যোগসাজশ থাকা কর্মকর্তাদের পদত্যাগ এবং তদন্ত কমিটির মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তকে ‘আদিবাসী’ শব্দ প্রবেশ সংযোজনের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের অপসারণ ও শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

২. অবাঙালিদের (ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী) আদিবাসী সম্বোধন করে কোনও বক্তব্য দেওয়া যাবে না, কোনও বই-পুস্তক ছাপানো যাবে না, লেখালেখি করা যাবে না, কোনও নাটক সিনেমা বা গল্প-কাহিনী রচনা করা যাবে না। বাঙালিদেরকেই বাংলাদেশের একমাত্র আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি থাকতে হবে।

৩. ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের (অবাঙালি) ‘আদিবাসী’ বলা ও প্রচারণাকে রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধ হিসেবে ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।

৪. শিক্ষার কথিত মানোন্নয়নের নামে দেশের শিক্ষাখাতে আন্তর্জাতিক সংস্থা বা এনজিও থেকে তহবিল নেওয়া বন্ধ করতে হবে এবং বৈদেশিক তহবিলের নামে শিক্ষা কারিকুলামকে সাম্রাজ্যবাদীদের হাতে তুলে দিয়ে আমাদের শিক্ষার্থীদের মগজ বিক্রি করা যাবে না।

৫). দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে শিক্ষানীতি, শিক্ষাক্রম, পাঠ্যক্রম এবং পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন ও পরিমার্জনে বিদেশি সংস্থা বা তাদের দ্বারা প্রভাবিত ব্যক্তিদের থেকে শতভাগ প্রভাবমুক্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’র পরামর্শ ও প্রতিনিধিত্ব রাখতে হবে।