ঢাকা ০১:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

গাজায় সাড়ে চার হাজার অঙ্গচ্ছেদ করা হয়েছে

  • আপডেট সময় : ০৭:৪০:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৩৬ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় বর্বর হামলা চালানো শুরু করে দখলদার ইসরায়েল। গত ১৫ মাস ধরে এ বর্বরতা অব্যাহত রেখেছে তারা। এতে ৪৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাহের আল-ওয়াহেদি জানিয়েছেন, এ সময়ের মধ্যে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সাড়ে চার হাজার অঙ্গচ্ছেদ করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, এখন পর্যন্ত যত মানুষ অঙ্গ হারিয়েছে তাদের ৮০০ জনই শিশু। আর নারী রয়েছেন ৫৪০ জন।

গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার ভয়াবহ প্রভাব— বিশেষ করে নারী ও শিশুদের ওপর যে পড়েছে এটি তার মাধ্যমে ফুটে উঠেছে বলে জানান জাহের আল-ওয়াহেদি।

গত অক্টোবরে জাতিসংঘ অফিসের কর্মকর্তা লিসা ডাটন বলেন, আধুনিক ইতিহাসে গাজায় সবচেয়ে বেশি শিশুর অঙ্গহানির ঘটনা ঘটেছে।

হামলায় বা আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অনেক সময় এগুলো ঠিক করা যায়। কিন্তু স্বাস্থ্যসেবা খাত ভেঙে পড়ায় গাজায় এ মুহূর্তে এসব অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হচ্ছে না।

এদিকে দখলদার ইসরায়েল গাজার উত্তরাঞ্চলে এখনো পর্যাপ্ত ত্রাণ পৌঁছতে দিচ্ছে না। গত শুক্রবার জাতিসংঘের মানবিকতা বিষয়ক সংস্থা উত্তরাঞ্চলের জন্য ২১ ট্রাক ত্রাণ প্রস্তুত করে। কিন্তু সেগুলোর মধ্যে মাত্র ১০টিকে গাজায় ঢুকতে দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। বাকিগুলো আটকে অথবা বাতিল করে দেওয়া হয়। পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্যের অভাবে সেখানকার মানুষ এখন ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েছেন। সূত্র: দ্য নিউ আরব

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আয়নাঘরের পরতে পরতে নির্যাতনের চিহ্ন

গাজায় সাড়ে চার হাজার অঙ্গচ্ছেদ করা হয়েছে

আপডেট সময় : ০৭:৪০:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় বর্বর হামলা চালানো শুরু করে দখলদার ইসরায়েল। গত ১৫ মাস ধরে এ বর্বরতা অব্যাহত রেখেছে তারা। এতে ৪৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাহের আল-ওয়াহেদি জানিয়েছেন, এ সময়ের মধ্যে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সাড়ে চার হাজার অঙ্গচ্ছেদ করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, এখন পর্যন্ত যত মানুষ অঙ্গ হারিয়েছে তাদের ৮০০ জনই শিশু। আর নারী রয়েছেন ৫৪০ জন।

গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার ভয়াবহ প্রভাব— বিশেষ করে নারী ও শিশুদের ওপর যে পড়েছে এটি তার মাধ্যমে ফুটে উঠেছে বলে জানান জাহের আল-ওয়াহেদি।

গত অক্টোবরে জাতিসংঘ অফিসের কর্মকর্তা লিসা ডাটন বলেন, আধুনিক ইতিহাসে গাজায় সবচেয়ে বেশি শিশুর অঙ্গহানির ঘটনা ঘটেছে।

হামলায় বা আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অনেক সময় এগুলো ঠিক করা যায়। কিন্তু স্বাস্থ্যসেবা খাত ভেঙে পড়ায় গাজায় এ মুহূর্তে এসব অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হচ্ছে না।

এদিকে দখলদার ইসরায়েল গাজার উত্তরাঞ্চলে এখনো পর্যাপ্ত ত্রাণ পৌঁছতে দিচ্ছে না। গত শুক্রবার জাতিসংঘের মানবিকতা বিষয়ক সংস্থা উত্তরাঞ্চলের জন্য ২১ ট্রাক ত্রাণ প্রস্তুত করে। কিন্তু সেগুলোর মধ্যে মাত্র ১০টিকে গাজায় ঢুকতে দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। বাকিগুলো আটকে অথবা বাতিল করে দেওয়া হয়। পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্যের অভাবে সেখানকার মানুষ এখন ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েছেন। সূত্র: দ্য নিউ আরব