ঢাকা ০২:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫

নীতিগত সুবিধা চায় ব্যবসায়ীরা

  • আপডেট সময় : ০৭:১২:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১০৫ বার পড়া হয়েছে

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক: ‘‘একদিকে শুল্ককর বৃদ্ধি, অন্যদিকে গ্যাসের মূল্য, শ্রমিকের বেতন বৃদ্ধি। এরিমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ শ্রেণীকরণ আরো জটিল করেছে। এভাবে ব্যবসার সুবিধাগুলো তুলে নেওয়া হলে আমাদের ব্যবসা করা খুবই কঠিন হবে। তাই বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আমরা ব্যবসায়ীরা কিছু নীতিগত সুবিধা চেয়েছি।

’’ রোববার (১২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) প্রেসিডেন্ট আনোয়ার উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

নতুন সার্কুলার অনুযায়ী, ২০২৫ সালের এপ্রিল থেকে ৩ মাস মেয়াদোত্তীর্ণ থাকার পর সব ধরনের ঋণকে খেলাপি ঋণ হিসেবে শ্রেণীকরণ করা হবে। বর্তমানে ৬ মাস মেয়াদোত্তীর্ণ থাকার ঋণ শ্রেণীকরণ করা হয়। তিনি বলেন, ‘‘ব্যবসায়ীরা ঋণ শ্রেণীকরণ নীতিমালা এখনই আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী না করে আরো এক বছরের জন্য বিদ্যমান সুবিধা বহাল চায়। এ ছাড়া, আমাদের ব্যবসার বিদ্যমান নানা সমস্যার কথা গভর্নরকে জানিয়েছি।

দেশের রুগ্নশিল্প প্রতিষ্ঠান কীভাবে অবসায়ন হবে, তার স্পষ্ট কোনো নীতিমালা নেই। ছোট-বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর এক্সিট নীতিমালার কথাও আমরা জানিয়েছি।’’

আনোয়ার উল আলম চৌধুরী বলেন, ‘‘সেসব বড় শিল্প গ্রুপের রুগ্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেগুলোর ব্যাংকের দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে মাত্র ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টের মাধ্যমে ১২ বছরে পরিশোধের সুবিধা এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে রুগ্ন প্রতিষ্ঠানের এক্সিট পলিসির ক্ষেত্রে বিদ্যমান ব্যাংক দায়ের ১ শতাংশ ডাউন পেমেন্টের মাধ্যমে ১৫ বছর মেয়াদে পরিশোধের সুবিধা চেয়েছি।’’

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নীতিগত সুবিধা চায় ব্যবসায়ীরা

আপডেট সময় : ০৭:১২:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক: ‘‘একদিকে শুল্ককর বৃদ্ধি, অন্যদিকে গ্যাসের মূল্য, শ্রমিকের বেতন বৃদ্ধি। এরিমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ শ্রেণীকরণ আরো জটিল করেছে। এভাবে ব্যবসার সুবিধাগুলো তুলে নেওয়া হলে আমাদের ব্যবসা করা খুবই কঠিন হবে। তাই বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আমরা ব্যবসায়ীরা কিছু নীতিগত সুবিধা চেয়েছি।

’’ রোববার (১২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) প্রেসিডেন্ট আনোয়ার উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

নতুন সার্কুলার অনুযায়ী, ২০২৫ সালের এপ্রিল থেকে ৩ মাস মেয়াদোত্তীর্ণ থাকার পর সব ধরনের ঋণকে খেলাপি ঋণ হিসেবে শ্রেণীকরণ করা হবে। বর্তমানে ৬ মাস মেয়াদোত্তীর্ণ থাকার ঋণ শ্রেণীকরণ করা হয়। তিনি বলেন, ‘‘ব্যবসায়ীরা ঋণ শ্রেণীকরণ নীতিমালা এখনই আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী না করে আরো এক বছরের জন্য বিদ্যমান সুবিধা বহাল চায়। এ ছাড়া, আমাদের ব্যবসার বিদ্যমান নানা সমস্যার কথা গভর্নরকে জানিয়েছি।

দেশের রুগ্নশিল্প প্রতিষ্ঠান কীভাবে অবসায়ন হবে, তার স্পষ্ট কোনো নীতিমালা নেই। ছোট-বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর এক্সিট নীতিমালার কথাও আমরা জানিয়েছি।’’

আনোয়ার উল আলম চৌধুরী বলেন, ‘‘সেসব বড় শিল্প গ্রুপের রুগ্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেগুলোর ব্যাংকের দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে মাত্র ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টের মাধ্যমে ১২ বছরে পরিশোধের সুবিধা এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে রুগ্ন প্রতিষ্ঠানের এক্সিট পলিসির ক্ষেত্রে বিদ্যমান ব্যাংক দায়ের ১ শতাংশ ডাউন পেমেন্টের মাধ্যমে ১৫ বছর মেয়াদে পরিশোধের সুবিধা চেয়েছি।’’