ঢাকা ০৯:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মুঠোফোন গ্রাহকদের ওপর বাড়তি করের বোঝা না চাপানোর আহ্বান

  • আপডেট সময় : ০৮:৪১:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৩১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: নতুন ভাবে ইন্টারনেট ও মুঠোফোন সেবায় কর বাড়িয়ে, নিত্যপণ্যের উচ্চ মূল্যে নাভিশ্বাস ওঠা জনগণের কাঁধে বাড়তি ব্যয়ের বোঝা না চাপাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে টেলি কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিক্যাব)।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) টিক্যাব সভাপতি মুর্শিদুল হক বিদ্যুৎ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিক্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির সংবাদ ইতোমধ্যেই গ্রাহকদের মাঝে ব্যাপক উদ্বেগ-উৎকন্ঠার সৃষ্টি করেছে। রাজস্ব আদায় সহজ হওয়ায় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার প্রতি বছর এ খাতে নতুন ভাবে শুল্ক আরোপ করতো। গণমানুষের দাবি উপেক্ষা করে তারা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে মুঠোফোন সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করে। বর্তমানে সম্পূরক শুল্ক এবং সারচার্জ মিলে মোবাইল ইন্টারনেট ও টকটাইমের ওপর মোট ৩৯ শতাংশ কর আরোপিত আছে। আরও ৩ শতাংশ বৃদ্ধি করা হলে তা ৪২ শতাংশে উন্নীত হবে। একজন গ্রাহক ১০০ টাকা মোবাইল রিচার্জের বিপরীতে ৩৯ টাকা পরোক্ষ কর দিয়ে কার্যকরীভাবে ৬১ টাকার সেবা গ্রহন করেন।’

‘কর বৃদ্ধির পর, গ্রাহক ১০০ টাকা রিচার্জের বিপরীতে ৫৮ টাকার সেবা পাবেন। শুল্কের দিক থেকে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ অথচ মোবাইল ইন্টারনেটের গতি ও সেবার দিক দিয়ে অবস্থান সর্বনিম্নে। সরকারের শুল্ক বৃদ্ধির সুযোগ নিয়ে অপারেটরগুলো সেবার মান না বাড়িয়ে মোবাইল ইন্টারনেট ও টকটাইম প্যাকেজের মূল্য নিজেদের ইচ্ছে মতো বৃদ্ধি করে। আদতে শুল্ক বৃদ্ধির সম্পূর্ণ দায় বহন করতে হয় গ্রাহকদেরই।’

মূল্য বৃদ্ধির কারণে ইতোমধ্যেই মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী কমছে বলে জানিয়েছে টিক্যাব। বিটিআরসির হিসাবে গত অক্টোবর ২০২৪ (১২ কোটি ৩৪ লাখ) এর তুলনায় নভেম্বর ২০২৪ (১১ কোটি ৯০ লাখ) এ গ্রাহক কমেছে প্রায় ৪৪ লাখ। তাই নতুন ভাবে ব্যয় বৃদ্ধির কারণে গ্রাহকরা মোবাইল ইন্টারনেটের ব্যবহার আরো কমিয়ে দিতে পারেন। ফলে সরকার বাড়তি প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্যে ৩ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছে, সে লক্ষ্য পূরণ নাও হতে পারে।

‘মুঠোফোন সেবা এখন জনসাধারণের অপরিহার্য অনুষঙ্গ। নিত্যপণ্যের ব্যয় বৃদ্ধির মতোই মুঠোফোন সেবার ব্যয় বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় ব্যাপক প্রভাব ফেলে। ভুলে গেলে চলবে না দেশে সচল প্রায় ১৮ কোটি সিমের সিংহভাগ গ্রাহকই কিন্তু নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত। জীবনযুদ্ধে টিকে থাকতে রক্ত ঘামে উপার্জিত প্রতিটি টাকা তাদেরকে অত্যন্ত হিসাব করে ব্যয় করতে হয়। আমাদের প্রত্যাশা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পাওয়া গণমানুষের কাঙ্ক্ষিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, জনগণের জীবনযাত্রার ব্যয় কমাতে মুঠোফোন সেবায় সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির মতো হঠকারী সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকবে,’ বলা হয়েছে টিক্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মুঠোফোন গ্রাহকদের ওপর বাড়তি করের বোঝা না চাপানোর আহ্বান

আপডেট সময় : ০৮:৪১:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: নতুন ভাবে ইন্টারনেট ও মুঠোফোন সেবায় কর বাড়িয়ে, নিত্যপণ্যের উচ্চ মূল্যে নাভিশ্বাস ওঠা জনগণের কাঁধে বাড়তি ব্যয়ের বোঝা না চাপাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে টেলি কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিক্যাব)।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) টিক্যাব সভাপতি মুর্শিদুল হক বিদ্যুৎ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিক্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির সংবাদ ইতোমধ্যেই গ্রাহকদের মাঝে ব্যাপক উদ্বেগ-উৎকন্ঠার সৃষ্টি করেছে। রাজস্ব আদায় সহজ হওয়ায় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার প্রতি বছর এ খাতে নতুন ভাবে শুল্ক আরোপ করতো। গণমানুষের দাবি উপেক্ষা করে তারা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে মুঠোফোন সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করে। বর্তমানে সম্পূরক শুল্ক এবং সারচার্জ মিলে মোবাইল ইন্টারনেট ও টকটাইমের ওপর মোট ৩৯ শতাংশ কর আরোপিত আছে। আরও ৩ শতাংশ বৃদ্ধি করা হলে তা ৪২ শতাংশে উন্নীত হবে। একজন গ্রাহক ১০০ টাকা মোবাইল রিচার্জের বিপরীতে ৩৯ টাকা পরোক্ষ কর দিয়ে কার্যকরীভাবে ৬১ টাকার সেবা গ্রহন করেন।’

‘কর বৃদ্ধির পর, গ্রাহক ১০০ টাকা রিচার্জের বিপরীতে ৫৮ টাকার সেবা পাবেন। শুল্কের দিক থেকে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ অথচ মোবাইল ইন্টারনেটের গতি ও সেবার দিক দিয়ে অবস্থান সর্বনিম্নে। সরকারের শুল্ক বৃদ্ধির সুযোগ নিয়ে অপারেটরগুলো সেবার মান না বাড়িয়ে মোবাইল ইন্টারনেট ও টকটাইম প্যাকেজের মূল্য নিজেদের ইচ্ছে মতো বৃদ্ধি করে। আদতে শুল্ক বৃদ্ধির সম্পূর্ণ দায় বহন করতে হয় গ্রাহকদেরই।’

মূল্য বৃদ্ধির কারণে ইতোমধ্যেই মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী কমছে বলে জানিয়েছে টিক্যাব। বিটিআরসির হিসাবে গত অক্টোবর ২০২৪ (১২ কোটি ৩৪ লাখ) এর তুলনায় নভেম্বর ২০২৪ (১১ কোটি ৯০ লাখ) এ গ্রাহক কমেছে প্রায় ৪৪ লাখ। তাই নতুন ভাবে ব্যয় বৃদ্ধির কারণে গ্রাহকরা মোবাইল ইন্টারনেটের ব্যবহার আরো কমিয়ে দিতে পারেন। ফলে সরকার বাড়তি প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্যে ৩ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছে, সে লক্ষ্য পূরণ নাও হতে পারে।

‘মুঠোফোন সেবা এখন জনসাধারণের অপরিহার্য অনুষঙ্গ। নিত্যপণ্যের ব্যয় বৃদ্ধির মতোই মুঠোফোন সেবার ব্যয় বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় ব্যাপক প্রভাব ফেলে। ভুলে গেলে চলবে না দেশে সচল প্রায় ১৮ কোটি সিমের সিংহভাগ গ্রাহকই কিন্তু নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত। জীবনযুদ্ধে টিকে থাকতে রক্ত ঘামে উপার্জিত প্রতিটি টাকা তাদেরকে অত্যন্ত হিসাব করে ব্যয় করতে হয়। আমাদের প্রত্যাশা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পাওয়া গণমানুষের কাঙ্ক্ষিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, জনগণের জীবনযাত্রার ব্যয় কমাতে মুঠোফোন সেবায় সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির মতো হঠকারী সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকবে,’ বলা হয়েছে টিক্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে।