ঢাকা ০৩:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার বলছে তালেবান

  • আপডেট সময় : ০৮:৩২:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৬ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : ভারতকে ‘‘গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও অর্থনৈতিক অংশীদার’’ হিসেবে দেখে আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রিম মিশ্রির সঙ্গে এক বৈঠকের পর এই মন্তব্য করেছেন আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি। তালেবান ২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসার পর নয়াদিল্লি ও কাবুলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের দুই কর্মকর্তার মাঝে বুধবার দুবাইয়ে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এক বিবৃতিতে আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বৈঠকে উভয় দেশের কর্মকর্তারা আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের সম্প্রসারণ ও ইরানের চাবাহার বন্দরের মাধ্যমে বাণিজ্য বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করেছেন। ভারত তার প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের করাচি এবং গোয়াদর বন্দরকে পাস কাটিয়ে পণ্য পরিবহনের জন্য চাবাহার বন্দরের উন্নয়নে কাজ করছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের ভারসাম্যপূর্ণ এবং অর্থনীতি-কেন্দ্রিক পররাষ্ট্রনীতির প্রতি সামঞ্জস্য রেখে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও অর্থনৈতিক অংশীদার হিসাবে ভারতের সঙ্গে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্য নিয়েছে কাবুল।

দুবাইয়ের বৈঠকের পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আফগানিস্তানে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে সংশ্লিষ্টতা ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর কথা বিবেচনা করছে ভারত।

যদিও আফগানিস্তানের তালেবান নেতৃত্বাধীন প্রশাসনকে ভারত-সহ বিশ্বের কোনও দেশই এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি। তারপরও বাণিজ্য, দাতব্য সহায়তা ও চিকিৎসা ব্যবস্থার সুবিধায় কাবুলে একটি ছোট মিশন পরিচালনা করছে ভারত। বিশ্বের অল্প কয়েকটি দেশের পাশাপাশি ভারতও বিভিন্ন সময়ে তালেবান প্রশাসনের আওতায় আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে।

চীন-রাশিয়াসহ আঞ্চলিক ক্রীড়ানকরা আফগানিস্তানে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে ইচ্ছুক বলে ইঙ্গিত দিয়েছে। তালেবানের প্রশাসনের সঙ্গে দিল্লির এই বৈঠক পাকিস্তানকে নাড়িয়ে দিতে পারে। উভয় দেশের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে পাকিস্তানের এবং অতীতে ভারতের বিরুদ্ধে তিনবার যুদ্ধ করেছে ইসলামাবাদ।

তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পাকিস্তারে সঙ্গে আফগানিস্তানের উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করছে। আফগানিস্তানের ভূখণ্ড ব্যবহার করে জঙ্গিরা পাকিস্তানে হামলা করছে বলে অভিযোগ করছে ইসলামাবাদ। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে আফগান তালেবান।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর সাংবাদিকদের বলেছিল, তারা গত বছরের শেষের দিকে আফগান ভূখণ্ডে পাকিস্তানের বিমান হামলার নিন্দা জানায়। সূত্র: রয়টার্স।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ডলার সংকট-লোডশেডিং,গাজীপুরে বন্ধ হয়ে গেল ৪০ বছরের পুরোনো কারখানা

ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার বলছে তালেবান

আপডেট সময় : ০৮:৩২:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক : ভারতকে ‘‘গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও অর্থনৈতিক অংশীদার’’ হিসেবে দেখে আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রিম মিশ্রির সঙ্গে এক বৈঠকের পর এই মন্তব্য করেছেন আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি। তালেবান ২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসার পর নয়াদিল্লি ও কাবুলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের দুই কর্মকর্তার মাঝে বুধবার দুবাইয়ে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এক বিবৃতিতে আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বৈঠকে উভয় দেশের কর্মকর্তারা আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের সম্প্রসারণ ও ইরানের চাবাহার বন্দরের মাধ্যমে বাণিজ্য বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করেছেন। ভারত তার প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের করাচি এবং গোয়াদর বন্দরকে পাস কাটিয়ে পণ্য পরিবহনের জন্য চাবাহার বন্দরের উন্নয়নে কাজ করছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের ভারসাম্যপূর্ণ এবং অর্থনীতি-কেন্দ্রিক পররাষ্ট্রনীতির প্রতি সামঞ্জস্য রেখে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও অর্থনৈতিক অংশীদার হিসাবে ভারতের সঙ্গে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্য নিয়েছে কাবুল।

দুবাইয়ের বৈঠকের পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আফগানিস্তানে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে সংশ্লিষ্টতা ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর কথা বিবেচনা করছে ভারত।

যদিও আফগানিস্তানের তালেবান নেতৃত্বাধীন প্রশাসনকে ভারত-সহ বিশ্বের কোনও দেশই এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি। তারপরও বাণিজ্য, দাতব্য সহায়তা ও চিকিৎসা ব্যবস্থার সুবিধায় কাবুলে একটি ছোট মিশন পরিচালনা করছে ভারত। বিশ্বের অল্প কয়েকটি দেশের পাশাপাশি ভারতও বিভিন্ন সময়ে তালেবান প্রশাসনের আওতায় আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে।

চীন-রাশিয়াসহ আঞ্চলিক ক্রীড়ানকরা আফগানিস্তানে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে ইচ্ছুক বলে ইঙ্গিত দিয়েছে। তালেবানের প্রশাসনের সঙ্গে দিল্লির এই বৈঠক পাকিস্তানকে নাড়িয়ে দিতে পারে। উভয় দেশের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে পাকিস্তানের এবং অতীতে ভারতের বিরুদ্ধে তিনবার যুদ্ধ করেছে ইসলামাবাদ।

তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পাকিস্তারে সঙ্গে আফগানিস্তানের উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করছে। আফগানিস্তানের ভূখণ্ড ব্যবহার করে জঙ্গিরা পাকিস্তানে হামলা করছে বলে অভিযোগ করছে ইসলামাবাদ। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে আফগান তালেবান।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর সাংবাদিকদের বলেছিল, তারা গত বছরের শেষের দিকে আফগান ভূখণ্ডে পাকিস্তানের বিমান হামলার নিন্দা জানায়। সূত্র: রয়টার্স।