স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: নারীর ঋতুচক্র বা পিরিয়ড সাধারণত ২৮ দিন বা এর ৭ দিন আগে-পরে হয়ে থাকে। ৩৫ দিনের পরে মাসিক হলে এবং তা যদি ৩ দিনের কম বা ৭ দিনের বেশি স্থায়ী হয়, তখন তাকে অনিয়মিত ঋতুচক্র বলা হয়। ডা. সুপর্ণা ব্যানার্জি, কনসালটেন্ট গাইনোকলজি বলেন, ‘‘সাধারণত ২৮ থেকে ৩০ দিন পর পর নারীদের মাসিক হয়।
দেখা যায় যে কারও কারও ক্ষেত্রে দেরিতে মাসিক হচ্ছে। এক্ষেত্রে ভয়ের ব্যাপার হচ্ছে, মাসিক দেরিতে হচ্ছে মানে আপনার শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক নেই। শুধুমাত্র প্রথমবার মাসিক হওয়ার পরে দুই থেকে চার বছরের মধ্যে মাসিক হতে দেরি হওয়া স্বাভাবিক। কারণ মাসিকের আগে মাথায় যে হরমোন ক্ষরণ হয় সেগুলোর ‘ম্যাচিউরিটি রিচ’ করতে একটু সময় লাগে।
এ ছাড়া মাসিক দেরিতে হলে ধরে নিতে হবে শরীরের অভ্যন্তরে কোনো সমস্যা হয়েছে। ’’
ডা. সুপর্ণা আরও বলেন, ‘‘মেনোপজের দিকে এগিয়ে গেলে অর্থাৎ প্রি-মেনোপজের দিকে এগিয়ে গেলে মাসিকে দেরি হতে পারে। মেনোপজের কয়েক বছর আগে থেকে ‘সাইকেল ই-রেগুলার’ হতে পারে।
এ ছাড়া একজন নারীর মাসিক দেরিতে হলে বুঝতে হবে কোনো একটি হরমোনে সমস্যা হচ্ছে। ’’ অতিরিক্ত মানসিক চাপ, শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়া, হঠাৎ ওজন অনেক কমিয়ে ফেলা, মাত্রাতিরিক্ত শরীরচর্চা প্রভৃতি কারণেও মাসিক দেরিতে হতে পারে।
এ ছাড়া পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম, জরায়ুর টিউমার ও এন্ডোমেট্রিওসিস ও থাইরয়েডের সমস্যাও দেরিতে মাসিক হওয়ার জন্য দায়ী। তাই মাসিক দেরিতে হলে দ্রুত একজন চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা জরুরি।

























