ঢাকা ০২:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জিয়া ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি তৃতীয় দিনে গড়ালো

  • আপডেট সময় : ০৯:০৩:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দশ বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার আপিলের ওপর তৃতীয় দিনের শুনানি হবে বৃহস্পতিবার।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারকের আপিল বেঞ্চে দ্বিতীয় দিনের শুনানি শুরু হয়, চলে বেলা সোয়া ১টা পর্যন্ত। পরে বৃহস্পতিবার বিষয়টি পরবর্তী শুনানির জন্য রাখা হয়।

খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস কাজল, জয়নুল আবেদীন, বদরুদ্দোজা বাদল, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও অ্যাডভোকেট কায়সার কামাল। এছাড়া অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, আমিনুল ইসলাম, নাসির উদ্দিন অসীম, মাহবুবুর রহমান খানসহ আরও কয়েকজন আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসিফ হোসাইন।

মঙ্গলবার এ আপিলের শুনানি শুরু হয়। দুপুর পর্যন্ত শুনানি হয়ে বুধবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।

দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলেন, এ মামলায় খালেদা জিয়ার কোনো ‘সংশ্লিষ্টতাই ছিল না’। কেবল ‘রাজনৈতিক কারণে’ তাকেসহ পরিবারের সদস্যদের আসামি করা হয়েছে।

অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস কাজল এ মামলায় খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুরের পাশাপাশি যারা আপিল করেননি তাদেরও খালাস দেওয়ার আবেদন জানান।

অ্যাডভোকেট বদরুদ্দোজা বাদল বলেন, এ মামলার যাবতীয় ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত, যতদিন খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন আইনে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এ কারণে এ মামলার প্রক্রিয়াটা সঠিক ছিল না।

তার যুক্তি, ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন আইন যেহেতু আইনটি কার্যকরের পর থেকে প্রযোজ্য, সেহেতু এই মামলা এ আইনে হতে পারে না।

তবে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক এর বিরোধিতা করেন। তার ভাষ্য, এটি ‘সাবস্টেন্টিভ ল’ নয়, ‘প্রসিজিয়ার‌্যাল ল’। তাই দুদক আইনে অভিযোগ দায়েরে আইনের ব্যত্যয় হয়নি।

এ মামলার বিবরণে কোথাও খালেদা জিয়া কোনো স্বাক্ষর করার কথা উল্লেখ নেই বলে শুনানিতে দাবি করেন অ্যাডভোকেট এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।

বুধবারের শুনানিতে অ্যাডভোকেট কায়সার কামাল বলেছিলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের যে অর্থ আত্মসাতের কথা বলা হয়েছে, সেই অর্থ ব্যাংকে সুরক্ষিত আছে এবং ২ কোটি ৩৩ লাখ থেকে বেড়ে ৮/৯ কোটি টাকা হয়েছে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিল গত বছরের ১১ নভেম্বর

মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে খালেদা জিয়াকে দেওয়া ১০ বছরের সাজা স্থগিত করা হয়। খালেদা জিয়াকে দুই সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সারসংক্ষেপ দাখিল করার নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামান অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন।

একইসঙ্গে তার ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ওই বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। পরে খালেদার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকও হাই কোর্টে আবেদন করে।

দুই আবেদনের শুনানি করে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ খালেদা আসামিদের আপিল আবেদন খারিজ করে দেয়। আর দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করে।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ আপিল বিভাগে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। সরকার পরিবর্তনের পর সেই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে গত বছরের ১০ নভেম্বর আপিল বিভাগ তার সাজা স্থগিত করে আপিলের অনুমতি দেয়।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৭ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এ মামলা দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক হারুন অর রশিদ।

২০০৯ সালের গত ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মোমিনুর রহমান, সাবেক সাংসদ কাজী সলিমুল হক কামাল, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্যসচিব কামালউদ্দিন সিদ্দিকী ও সরফুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। একই বছরের ৭ সেপ্টেম্বর এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত।

 

জিয়া ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি তৃতীয় দিনে গড়ালো
নিজস্ব প্রতিবেদক: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দশ বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার আপিলের ওপর তৃতীয় দিনের শুনানি হবে বৃহস্পতিবার।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারকের আপিল বেঞ্চে দ্বিতীয় দিনের শুনানি শুরু হয়, চলে বেলা সোয়া ১টা পর্যন্ত। পরে বৃহস্পতিবার বিষয়টি পরবর্তী শুনানির জন্য রাখা হয়।

খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস কাজল, জয়নুল আবেদীন, বদরুদ্দোজা বাদল, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও অ্যাডভোকেট কায়সার কামাল। এছাড়া অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, আমিনুল ইসলাম, নাসির উদ্দিন অসীম, মাহবুবুর রহমান খানসহ আরও কয়েকজন আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসিফ হোসাইন।

মঙ্গলবার এ আপিলের শুনানি শুরু হয়। দুপুর পর্যন্ত শুনানি হয়ে বুধবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।

দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলেন, এ মামলায় খালেদা জিয়ার কোনো ‘সংশ্লিষ্টতাই ছিল না’। কেবল ‘রাজনৈতিক কারণে’ তাকেসহ পরিবারের সদস্যদের আসামি করা হয়েছে।

অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস কাজল এ মামলায় খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুরের পাশাপাশি যারা আপিল করেননি তাদেরও খালাস দেওয়ার আবেদন জানান।

অ্যাডভোকেট বদরুদ্দোজা বাদল বলেন, এ মামলার যাবতীয় ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত, যতদিন খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন আইনে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এ কারণে এ মামলার প্রক্রিয়াটা সঠিক ছিল না।

তার যুক্তি, ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন আইন যেহেতু আইনটি কার্যকরের পর থেকে প্রযোজ্য, সেহেতু এই মামলা এ আইনে হতে পারে না।

তবে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক এর বিরোধিতা করেন। তার ভাষ্য, এটি ‘সাবস্টেন্টিভ ল’ নয়, ‘প্রসিজিয়ার‌্যাল ল’। তাই দুদক আইনে অভিযোগ দায়েরে আইনের ব্যত্যয় হয়নি।

এ মামলার বিবরণে কোথাও খালেদা জিয়া কোনো স্বাক্ষর করার কথা উল্লেখ নেই বলে শুনানিতে দাবি করেন অ্যাডভোকেট এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।

বুধবারের শুনানিতে অ্যাডভোকেট কায়সার কামাল বলেছিলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের যে অর্থ আত্মসাতের কথা বলা হয়েছে, সেই অর্থ ব্যাংকে সুরক্ষিত আছে এবং ২ কোটি ৩৩ লাখ থেকে বেড়ে ৮/৯ কোটি টাকা হয়েছে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিল গত বছরের ১১ নভেম্বর

মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে খালেদা জিয়াকে দেওয়া ১০ বছরের সাজা স্থগিত করা হয়। খালেদা জিয়াকে দুই সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সারসংক্ষেপ দাখিল করার নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামান অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন।

একইসঙ্গে তার ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ওই বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। পরে খালেদার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকও হাই কোর্টে আবেদন করে।

দুই আবেদনের শুনানি করে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ খালেদা আসামিদের আপিল আবেদন খারিজ করে দেয়। আর দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করে।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ আপিল বিভাগে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। সরকার পরিবর্তনের পর সেই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে গত বছরের ১০ নভেম্বর আপিল বিভাগ তার সাজা স্থগিত করে আপিলের অনুমতি দেয়।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৭ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এ মামলা দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক হারুন অর রশিদ।

২০০৯ সালের গত ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মোমিনুর রহমান, সাবেক সাংসদ কাজী সলিমুল হক কামাল, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্যসচিব কামালউদ্দিন সিদ্দিকী ও সরফুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। একই বছরের ৭ সেপ্টেম্বর এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত।

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ডলার সংকট-লোডশেডিং,গাজীপুরে বন্ধ হয়ে গেল ৪০ বছরের পুরোনো কারখানা

জিয়া ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি তৃতীয় দিনে গড়ালো

আপডেট সময় : ০৯:০৩:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দশ বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার আপিলের ওপর তৃতীয় দিনের শুনানি হবে বৃহস্পতিবার।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারকের আপিল বেঞ্চে দ্বিতীয় দিনের শুনানি শুরু হয়, চলে বেলা সোয়া ১টা পর্যন্ত। পরে বৃহস্পতিবার বিষয়টি পরবর্তী শুনানির জন্য রাখা হয়।

খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস কাজল, জয়নুল আবেদীন, বদরুদ্দোজা বাদল, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও অ্যাডভোকেট কায়সার কামাল। এছাড়া অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, আমিনুল ইসলাম, নাসির উদ্দিন অসীম, মাহবুবুর রহমান খানসহ আরও কয়েকজন আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসিফ হোসাইন।

মঙ্গলবার এ আপিলের শুনানি শুরু হয়। দুপুর পর্যন্ত শুনানি হয়ে বুধবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।

দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলেন, এ মামলায় খালেদা জিয়ার কোনো ‘সংশ্লিষ্টতাই ছিল না’। কেবল ‘রাজনৈতিক কারণে’ তাকেসহ পরিবারের সদস্যদের আসামি করা হয়েছে।

অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস কাজল এ মামলায় খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুরের পাশাপাশি যারা আপিল করেননি তাদেরও খালাস দেওয়ার আবেদন জানান।

অ্যাডভোকেট বদরুদ্দোজা বাদল বলেন, এ মামলার যাবতীয় ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত, যতদিন খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন আইনে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এ কারণে এ মামলার প্রক্রিয়াটা সঠিক ছিল না।

তার যুক্তি, ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন আইন যেহেতু আইনটি কার্যকরের পর থেকে প্রযোজ্য, সেহেতু এই মামলা এ আইনে হতে পারে না।

তবে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক এর বিরোধিতা করেন। তার ভাষ্য, এটি ‘সাবস্টেন্টিভ ল’ নয়, ‘প্রসিজিয়ার‌্যাল ল’। তাই দুদক আইনে অভিযোগ দায়েরে আইনের ব্যত্যয় হয়নি।

এ মামলার বিবরণে কোথাও খালেদা জিয়া কোনো স্বাক্ষর করার কথা উল্লেখ নেই বলে শুনানিতে দাবি করেন অ্যাডভোকেট এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।

বুধবারের শুনানিতে অ্যাডভোকেট কায়সার কামাল বলেছিলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের যে অর্থ আত্মসাতের কথা বলা হয়েছে, সেই অর্থ ব্যাংকে সুরক্ষিত আছে এবং ২ কোটি ৩৩ লাখ থেকে বেড়ে ৮/৯ কোটি টাকা হয়েছে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিল গত বছরের ১১ নভেম্বর

মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে খালেদা জিয়াকে দেওয়া ১০ বছরের সাজা স্থগিত করা হয়। খালেদা জিয়াকে দুই সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সারসংক্ষেপ দাখিল করার নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামান অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন।

একইসঙ্গে তার ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ওই বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। পরে খালেদার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকও হাই কোর্টে আবেদন করে।

দুই আবেদনের শুনানি করে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ খালেদা আসামিদের আপিল আবেদন খারিজ করে দেয়। আর দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করে।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ আপিল বিভাগে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। সরকার পরিবর্তনের পর সেই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে গত বছরের ১০ নভেম্বর আপিল বিভাগ তার সাজা স্থগিত করে আপিলের অনুমতি দেয়।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৭ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এ মামলা দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক হারুন অর রশিদ।

২০০৯ সালের গত ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মোমিনুর রহমান, সাবেক সাংসদ কাজী সলিমুল হক কামাল, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্যসচিব কামালউদ্দিন সিদ্দিকী ও সরফুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। একই বছরের ৭ সেপ্টেম্বর এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত।

 

জিয়া ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি তৃতীয় দিনে গড়ালো
নিজস্ব প্রতিবেদক: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দশ বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার আপিলের ওপর তৃতীয় দিনের শুনানি হবে বৃহস্পতিবার।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারকের আপিল বেঞ্চে দ্বিতীয় দিনের শুনানি শুরু হয়, চলে বেলা সোয়া ১টা পর্যন্ত। পরে বৃহস্পতিবার বিষয়টি পরবর্তী শুনানির জন্য রাখা হয়।

খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস কাজল, জয়নুল আবেদীন, বদরুদ্দোজা বাদল, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও অ্যাডভোকেট কায়সার কামাল। এছাড়া অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, আমিনুল ইসলাম, নাসির উদ্দিন অসীম, মাহবুবুর রহমান খানসহ আরও কয়েকজন আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসিফ হোসাইন।

মঙ্গলবার এ আপিলের শুনানি শুরু হয়। দুপুর পর্যন্ত শুনানি হয়ে বুধবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।

দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলেন, এ মামলায় খালেদা জিয়ার কোনো ‘সংশ্লিষ্টতাই ছিল না’। কেবল ‘রাজনৈতিক কারণে’ তাকেসহ পরিবারের সদস্যদের আসামি করা হয়েছে।

অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস কাজল এ মামলায় খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুরের পাশাপাশি যারা আপিল করেননি তাদেরও খালাস দেওয়ার আবেদন জানান।

অ্যাডভোকেট বদরুদ্দোজা বাদল বলেন, এ মামলার যাবতীয় ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত, যতদিন খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন আইনে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এ কারণে এ মামলার প্রক্রিয়াটা সঠিক ছিল না।

তার যুক্তি, ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন আইন যেহেতু আইনটি কার্যকরের পর থেকে প্রযোজ্য, সেহেতু এই মামলা এ আইনে হতে পারে না।

তবে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক এর বিরোধিতা করেন। তার ভাষ্য, এটি ‘সাবস্টেন্টিভ ল’ নয়, ‘প্রসিজিয়ার‌্যাল ল’। তাই দুদক আইনে অভিযোগ দায়েরে আইনের ব্যত্যয় হয়নি।

এ মামলার বিবরণে কোথাও খালেদা জিয়া কোনো স্বাক্ষর করার কথা উল্লেখ নেই বলে শুনানিতে দাবি করেন অ্যাডভোকেট এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।

বুধবারের শুনানিতে অ্যাডভোকেট কায়সার কামাল বলেছিলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের যে অর্থ আত্মসাতের কথা বলা হয়েছে, সেই অর্থ ব্যাংকে সুরক্ষিত আছে এবং ২ কোটি ৩৩ লাখ থেকে বেড়ে ৮/৯ কোটি টাকা হয়েছে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিল গত বছরের ১১ নভেম্বর

মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে খালেদা জিয়াকে দেওয়া ১০ বছরের সাজা স্থগিত করা হয়। খালেদা জিয়াকে দুই সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সারসংক্ষেপ দাখিল করার নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামান অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন।

একইসঙ্গে তার ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ওই বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। পরে খালেদার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকও হাই কোর্টে আবেদন করে।

দুই আবেদনের শুনানি করে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ খালেদা আসামিদের আপিল আবেদন খারিজ করে দেয়। আর দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করে।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ আপিল বিভাগে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। সরকার পরিবর্তনের পর সেই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে গত বছরের ১০ নভেম্বর আপিল বিভাগ তার সাজা স্থগিত করে আপিলের অনুমতি দেয়।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৭ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এ মামলা দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক হারুন অর রশিদ।

২০০৯ সালের গত ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মোমিনুর রহমান, সাবেক সাংসদ কাজী সলিমুল হক কামাল, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্যসচিব কামালউদ্দিন সিদ্দিকী ও সরফুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। একই বছরের ৭ সেপ্টেম্বর এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত।