ঢাকা ০২:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিমানবন্দরে মাকে স্বাগত জানান তারেক রহমান

লন্ডন ক্লিনিকে খালেদা জিয়া

  • আপডেট সময় : ০৫:০৩:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৪৩ বার পড়া হয়েছে

লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানানো হয়। ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার হযরত আলী খান। এ সময় উপস্থিত যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতাকর্মীরা এবং পুত্র তারেক রহমান ও পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। ছবি: যুক্তরাজ্য বিএনপির সৌজন্যে

প্রত্যাশা ডেস্ক: লন্ডনে পৌঁছানোর পর হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ‘লন্ডন ক্লিনিকে’ ভর্তি করা হবে তাকে। বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া ইউংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বিমানবন্দর থেকে ড্রাইভ করে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।’
বুধবার বাংলাদেশ সময় বিকাল ২টা ৫৮ মিনিটে খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করে। পরে সেখান থেকে তিনি সরাসরি হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা দেরিতে খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি লন্ডনে পৌঁছায়। হিথ্রো বিমানবন্দরে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান, পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান তাকে স্বাগত জানান। এ সময় জিয়া পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

লন্ডনে খালেদা জিয়া- ছবি সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস ও আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। ২০১৮ সালে দুর্নীতির এক মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে পাঠানো হয় তিনবারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে। কারাগারে যাওয়ার পর তার অসুস্থতা বাড়ে। এর মধ্যে সরকারের কাছে কয়েকবার দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়। করোনার সময় নির্বাহী আদেশে কারাগার থেকে মুক্তি মিললেও বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি তৎকালীন সরকার। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতির আদেশে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। এরপর তার যে মামলায় সাজা হয়েছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে তাকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

 

খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরের বাইরে উপস্থিত হন যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতাকর্মীরা এবং পুত্র তারেক রহমান ও পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান। ছবি: যুক্তরাজ্য বিএনপির সৌজন্যে

 

এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার জানান, মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত ১১টা ৪৬ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে উড্ডয়ন করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি কাতারের দোহা হয়ে বুধবার (৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় বিকাল ২টা ৫৮ মিনিটে হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিএনপি চেয়ারপারসনকে হিথ্রো বিমানবন্দরে যুক্তরাজ্েযর বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার হযরত আলী খান। সেই সঙ্গে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক, সাধারণ সম্পাদক কয়সর আহমেদ ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের পক্ষে কামাল উদ্দিনও বিমানবন্দরে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান।

বিএনপির চেয়ারপারসন সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই লন্ডন সফরে এসেছিলেন। এরপর তার আর কোনো বিদেশ সফর হয়নি। এই সময়ের মধ্যে তার সঙ্গে ছেলে তারেক রহমানেরও সরাসরি দেখা হয়নি। খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক ও সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমদসহ অনেক নেতা-কর্মী উপস্থিত হন।
ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষ করে বিমানবন্দরের চতুর্থ টার্মিনালের রয়্যাল ভিভিআইপি গেট দিয়ে বের হয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে খালেদা জিয়ার সরাসরি হাসপাতালে যাওয়ার কথা। বিএনপির পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছে, খালেদা জিয়াকে ‘লন্ডন ক্লিনিকে’ ভর্তি করা হবে। সেখানে কিছুদিন চিকিৎসার পর যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় হসপিটালে তার চিকিৎসা নেওয়ার কথা রয়েছে।
ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মঙ্গলবার রাত ১১টা ৪৬ মিনিটে কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করেন খালেদা জিয়া। বিমানবন্দরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা তাকে বিদায় জানান।
তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। ২০১৮ সালে একটি দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে যাওয়ার পর তার অসুস্থতা বাড়ে। এর মধ্যে কয়েকবার তিনি জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণেও পড়েন। এমন পরিস্থিতিতে দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে তার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়। সরকার তাতে সাড়া দেয়নি।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতির এক আদেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর দুর্নীতির যে দুটি মামলায় তিনি কারাবন্দি হয়েছিলেন, সেগুলোর রায় বাতিল করেন আদালত। ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকায় আসা জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় হসপিটালের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার শরীরে রক্তনালিতে সফল অস্ত্রোপচার হয়েছিল। খালেদা জিয়ার চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার লিভার প্রতিস্থাপন খুব জরুরি হয়ে পড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, লিভার প্রতিস্থাপনের পর পুরো চিকিৎসায় দুই মাসের মতো লেগে যেতে পারে। দলীয় সূত্র জানিয়েছে, চিকিৎসা শেষ হলে বিএনপির চেয়ারপারসন আবার লন্ডনে যাবেন। সেখান থেকে সৌদি আরবে পবিত্র ওমরাহ পালন করে দেশে ফিরতে পারেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ডলার সংকট-লোডশেডিং,গাজীপুরে বন্ধ হয়ে গেল ৪০ বছরের পুরোনো কারখানা

বিমানবন্দরে মাকে স্বাগত জানান তারেক রহমান

লন্ডন ক্লিনিকে খালেদা জিয়া

আপডেট সময় : ০৫:০৩:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: লন্ডনে পৌঁছানোর পর হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ‘লন্ডন ক্লিনিকে’ ভর্তি করা হবে তাকে। বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া ইউংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বিমানবন্দর থেকে ড্রাইভ করে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।’
বুধবার বাংলাদেশ সময় বিকাল ২টা ৫৮ মিনিটে খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করে। পরে সেখান থেকে তিনি সরাসরি হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা দেরিতে খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি লন্ডনে পৌঁছায়। হিথ্রো বিমানবন্দরে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান, পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান তাকে স্বাগত জানান। এ সময় জিয়া পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

লন্ডনে খালেদা জিয়া- ছবি সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস ও আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। ২০১৮ সালে দুর্নীতির এক মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে পাঠানো হয় তিনবারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে। কারাগারে যাওয়ার পর তার অসুস্থতা বাড়ে। এর মধ্যে সরকারের কাছে কয়েকবার দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়। করোনার সময় নির্বাহী আদেশে কারাগার থেকে মুক্তি মিললেও বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি তৎকালীন সরকার। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতির আদেশে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। এরপর তার যে মামলায় সাজা হয়েছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে তাকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

 

খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরের বাইরে উপস্থিত হন যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতাকর্মীরা এবং পুত্র তারেক রহমান ও পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান। ছবি: যুক্তরাজ্য বিএনপির সৌজন্যে

 

এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার জানান, মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত ১১টা ৪৬ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে উড্ডয়ন করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি কাতারের দোহা হয়ে বুধবার (৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় বিকাল ২টা ৫৮ মিনিটে হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিএনপি চেয়ারপারসনকে হিথ্রো বিমানবন্দরে যুক্তরাজ্েযর বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার হযরত আলী খান। সেই সঙ্গে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক, সাধারণ সম্পাদক কয়সর আহমেদ ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের পক্ষে কামাল উদ্দিনও বিমানবন্দরে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান।

বিএনপির চেয়ারপারসন সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই লন্ডন সফরে এসেছিলেন। এরপর তার আর কোনো বিদেশ সফর হয়নি। এই সময়ের মধ্যে তার সঙ্গে ছেলে তারেক রহমানেরও সরাসরি দেখা হয়নি। খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক ও সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমদসহ অনেক নেতা-কর্মী উপস্থিত হন।
ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষ করে বিমানবন্দরের চতুর্থ টার্মিনালের রয়্যাল ভিভিআইপি গেট দিয়ে বের হয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে খালেদা জিয়ার সরাসরি হাসপাতালে যাওয়ার কথা। বিএনপির পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছে, খালেদা জিয়াকে ‘লন্ডন ক্লিনিকে’ ভর্তি করা হবে। সেখানে কিছুদিন চিকিৎসার পর যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় হসপিটালে তার চিকিৎসা নেওয়ার কথা রয়েছে।
ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মঙ্গলবার রাত ১১টা ৪৬ মিনিটে কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করেন খালেদা জিয়া। বিমানবন্দরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা তাকে বিদায় জানান।
তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। ২০১৮ সালে একটি দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে যাওয়ার পর তার অসুস্থতা বাড়ে। এর মধ্যে কয়েকবার তিনি জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণেও পড়েন। এমন পরিস্থিতিতে দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে তার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়। সরকার তাতে সাড়া দেয়নি।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতির এক আদেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর দুর্নীতির যে দুটি মামলায় তিনি কারাবন্দি হয়েছিলেন, সেগুলোর রায় বাতিল করেন আদালত। ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকায় আসা জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় হসপিটালের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার শরীরে রক্তনালিতে সফল অস্ত্রোপচার হয়েছিল। খালেদা জিয়ার চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার লিভার প্রতিস্থাপন খুব জরুরি হয়ে পড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, লিভার প্রতিস্থাপনের পর পুরো চিকিৎসায় দুই মাসের মতো লেগে যেতে পারে। দলীয় সূত্র জানিয়েছে, চিকিৎসা শেষ হলে বিএনপির চেয়ারপারসন আবার লন্ডনে যাবেন। সেখান থেকে সৌদি আরবে পবিত্র ওমরাহ পালন করে দেশে ফিরতে পারেন।