নিজস্ব প্রতিবেদক: যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় শুরু না হতেই মেট্রোরেলের টিকেটের ওপর আরোপিত মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট এক বছরের জন্য তুলে দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর।
মেট্রোরেলকে ‘অধিক জনপ্রিয়’ করা এবং এর যাতায়াত ‘ব্যয় সাশ্রয়ী’ করতে এ অব্যাহতি দেওয়ার কথা সোমবার (৬ জানুয়ারি) এক আদেশে জানিয়েছে এনবিআর।
আদেশে এই সুবিধা ‘অবিলম্বে’ কার্যকর হবে এবং তা এ বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলা হয়েছে।
অর্থাৎ, চলতি অর্থবছরের প্রথম দিন থেকে এ পর্যন্ত বিক্রি হওয়া সব টিকেটের ওপর ভ্যাট পরিশোধ করতে হবে মেট্রোরেলের তদারক সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানিকে (ডিএমটিসিএল)।
এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব (মূসক বিধি) মো. বদরুজ্জামান মুন্সী বলেন, আমরা অনওয়ার্ড সুবিধা দিয়েছি, ভূতাপেক্ষভাবে না। ফলে এ সময়ের ভ্যাট পরিশোধ করতে হবে। আমরা এটি করেছি যাতে জনগণকে বাড়তি মূল্যে টিকেট না কাটতে হয়।
আদেশে বলা হয়, মেট্রোরেল বাংলাদেশের সর্বাধুনিক ও জনপ্রিয় গণপরিবহন; মেট্রোরেল যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখিবার পাশাপাশি কর্মঘন্টা সাশ্রয়ে অগ্রনি ভূমিকা পালন করিতেছে; মেট্রোরেলকে অধিক জনপ্রিয় করিবার লক্ষ্যে ইহার যাতায়াত ব্যয় সাশ্রয়ী করা প্রয়োজন।
দ্রুতগামী, নিরাপদ, সময় সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব ও দূরনিয়ন্ত্রিত অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর পরিবহণ ব্যবস্থা মেট্রোরেল সেবার উপর আরোপণীয় মূল্য সংযোজন কর অব্যাহতি প্রদান করিল।
এনবিআর ভ্যাট বসানোয় জুলাই থেকেই ভাড়ার ওপর এই টাকা কীভাবে আদায় হবে, তা বুঝে উঠতে পারছিল না তদারক সংস্থা ডিএমটিসিএল।
নতুন অর্থবছরের প্রথম দিন থেকে যাত্রীদের বাড়তি কোনো ভাড়া দিতে হয়নি। আগের মতোই সর্বনিম্ন ২০ টাকা ও সর্বোচ্চ ১০০ টাকায় তারা চলাচল করতে পেরেছেন।
নিয়ম অনুযায়ী প্রতি মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে আগের মাসের ভ্যাট রিটার্ন দাখিলের বিধান থাকলেও তদারক এ সংস্থা এখন পর্যন্ত ভ্যাট পরিশোধ করেনি বলে একাধিক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।