ঢাকা ০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সবজির দামে ক্রেতার স্বস্তি কৃষকের হতাশা

  • আপডেট সময় : ০৭:১২:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • ২৪ বার পড়া হয়েছে

আজাদুর রহমান, বগুড়া : বগুড়ার উত্তরবঙ্গের প্রধান প্রবেশদ্বারের শহর হতে অদূরে অবস্থিত ঐতিহাসিক মহাস্থান হাটে সব ধরনের সবজির সরবরাহ বেড়ে গেছে। সরবরাহ বেশি থাকায় সবজি গুলো বিক্রি করতে হচ্ছে কম দামে, আর কম দাম পেয়ে হতাশার মধ্যে আছে চাষিরা। মহাস্থান গড় সবজির পাইকারি বাজারে ২ থেকে ৫ টাকা কেজিতে ফুলকপি ও মুলা বিক্রি হচ্ছে। দাগওয়ালা মুলা ফুল কপির দাম আরো কমে ১ টাকা থেকে ২ টাকা কেজি। কমেছে বাঁধা কপির দাম, প্রতি পিছ ৬ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৫ টাকা পিছ হিসাবে বিক্রি হচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে, এই শীতকালীন সবজির ভরা মৌসুমে ঐতিহাসিক মহাস্থান গড় সবজির পাইকারি বাজারে সব ধরনের সবজির সরবরাহ বেড়ে গেছে।

সরবরাহ বেশি থাকলেও শীতকালীন সবজি গুলো বিক্রি করতে হচ্ছে কম দামে। গত ১০ থেকে ১৫ দিন আগে ফুল কপি ২০ থেকে ৩০ টাকা, মূলা ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি ও বাঁধা কপি ২০ থেকে ৩০ টাকা পিছ বিক্রি হলেও এখন এসব সবজির দাম নেমে এসেছে প্রতি কেজি ৫ টাকার নিচে। গতকাল সোমবার প্রতি কেজি ফুল কপি ১ থেকে ৪ টাকা, মুলা ২ থেকে ৫ টাকা, বাঁধা কপি প্রতি পিছ ৬ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর দাগওয়ালা ফুল কপি ও মূলা ৪০ থেকে ৮০ টাকা মন হিসাবে বিক্রি হচ্ছে। শুধু মূলা, ফুল কপি নয় কমেছে অন্যান্য সবজির দামও। চাষীরা জানান, তারা মৌসুমের শুরুতে মুলা ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি করলেও গেল ১৫ দিন ধরে দাম কমে এসেছে।

সর্বশেষ ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি করলেও ১৫ দিনের ব্যবধানে তা ২ থেকে ৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। গত ১৫ দিন আগে ১৫ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে ফুলকপি বিক্রি করেছে, এখন তা ২ থেকে ৮ টাকা দামে বিক্রি করছে। এতে উৎপাদন খরচ নিয়ে দু:শ্চিন্তায় চাষীরা। ফুলকপি মুলার পাশাপাশি বাঁধা কপির দামও বেশ কমেছে। প্রতিপিছ ৬ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেগুন ২০ থেকে ২৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, সিম ৩০ থেকে ৪০ টাকা, টমেটো ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে ভোগ্য পণ্যের বাজারে শুকনো মরিচ ২শ ৫০ থেকে ৩শ টাকা, লবণ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শুকনো হলুদ ২শ ৫০ থেকে ৩শ টাকা, জিরা ৬শ থেকে ৬শ ৫০ টাকা, রসুন ২শ থেকে ২শ ৫০ টাকা, দারচিনি ২শ থেকে ২শ ৫০ টাকা, সরিষা ও সয়াবিন তেল ২শ থেকে ২শ ২০ টাকা, চিনি ১শ ২০ থেকে ১শ ৩০ টাকা, গুঁড়া দুধ ৩শ থেকে ৩শ ৫০ টাকা, সুজি ১শ ৫০ থেকে ১শ ৬০ টাকা, ছোলা বুট ৩শ থেকে ৩শ ৫০ টাকা, মুড়ি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, গুড় ২শ থেকে ২শ ৫০ টাকা, পোলাও চাল ১শ ৬০ থেকে ১শ ৭০ টাকা, খাবারের চাল প্রকারভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা চলমান।

বগুড়া কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মতলুবর রহমান জানান, কয়েক বছর ধরেই বগুড়ার চাষীরা ভালো দাম পাচ্ছে, বিগত বছর গুলোর চেয়ে এবার ফলনও ভালো হয়েছে। জেলায় এই মৌসুমে সাড়ে ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে ৩ লাখ ৬ হাজার টনেরও বেশি সবজি উৎপাদন হয়েছে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে সারাদেশে যাচ্ছে এই সবজি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দাভোসে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

সবজির দামে ক্রেতার স্বস্তি কৃষকের হতাশা

আপডেট সময় : ০৭:১২:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫

আজাদুর রহমান, বগুড়া : বগুড়ার উত্তরবঙ্গের প্রধান প্রবেশদ্বারের শহর হতে অদূরে অবস্থিত ঐতিহাসিক মহাস্থান হাটে সব ধরনের সবজির সরবরাহ বেড়ে গেছে। সরবরাহ বেশি থাকায় সবজি গুলো বিক্রি করতে হচ্ছে কম দামে, আর কম দাম পেয়ে হতাশার মধ্যে আছে চাষিরা। মহাস্থান গড় সবজির পাইকারি বাজারে ২ থেকে ৫ টাকা কেজিতে ফুলকপি ও মুলা বিক্রি হচ্ছে। দাগওয়ালা মুলা ফুল কপির দাম আরো কমে ১ টাকা থেকে ২ টাকা কেজি। কমেছে বাঁধা কপির দাম, প্রতি পিছ ৬ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৫ টাকা পিছ হিসাবে বিক্রি হচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে, এই শীতকালীন সবজির ভরা মৌসুমে ঐতিহাসিক মহাস্থান গড় সবজির পাইকারি বাজারে সব ধরনের সবজির সরবরাহ বেড়ে গেছে।

সরবরাহ বেশি থাকলেও শীতকালীন সবজি গুলো বিক্রি করতে হচ্ছে কম দামে। গত ১০ থেকে ১৫ দিন আগে ফুল কপি ২০ থেকে ৩০ টাকা, মূলা ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি ও বাঁধা কপি ২০ থেকে ৩০ টাকা পিছ বিক্রি হলেও এখন এসব সবজির দাম নেমে এসেছে প্রতি কেজি ৫ টাকার নিচে। গতকাল সোমবার প্রতি কেজি ফুল কপি ১ থেকে ৪ টাকা, মুলা ২ থেকে ৫ টাকা, বাঁধা কপি প্রতি পিছ ৬ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর দাগওয়ালা ফুল কপি ও মূলা ৪০ থেকে ৮০ টাকা মন হিসাবে বিক্রি হচ্ছে। শুধু মূলা, ফুল কপি নয় কমেছে অন্যান্য সবজির দামও। চাষীরা জানান, তারা মৌসুমের শুরুতে মুলা ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি করলেও গেল ১৫ দিন ধরে দাম কমে এসেছে।

সর্বশেষ ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি করলেও ১৫ দিনের ব্যবধানে তা ২ থেকে ৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। গত ১৫ দিন আগে ১৫ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে ফুলকপি বিক্রি করেছে, এখন তা ২ থেকে ৮ টাকা দামে বিক্রি করছে। এতে উৎপাদন খরচ নিয়ে দু:শ্চিন্তায় চাষীরা। ফুলকপি মুলার পাশাপাশি বাঁধা কপির দামও বেশ কমেছে। প্রতিপিছ ৬ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেগুন ২০ থেকে ২৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, সিম ৩০ থেকে ৪০ টাকা, টমেটো ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে ভোগ্য পণ্যের বাজারে শুকনো মরিচ ২শ ৫০ থেকে ৩শ টাকা, লবণ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শুকনো হলুদ ২শ ৫০ থেকে ৩শ টাকা, জিরা ৬শ থেকে ৬শ ৫০ টাকা, রসুন ২শ থেকে ২শ ৫০ টাকা, দারচিনি ২শ থেকে ২শ ৫০ টাকা, সরিষা ও সয়াবিন তেল ২শ থেকে ২শ ২০ টাকা, চিনি ১শ ২০ থেকে ১শ ৩০ টাকা, গুঁড়া দুধ ৩শ থেকে ৩শ ৫০ টাকা, সুজি ১শ ৫০ থেকে ১শ ৬০ টাকা, ছোলা বুট ৩শ থেকে ৩শ ৫০ টাকা, মুড়ি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, গুড় ২শ থেকে ২শ ৫০ টাকা, পোলাও চাল ১শ ৬০ থেকে ১শ ৭০ টাকা, খাবারের চাল প্রকারভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা চলমান।

বগুড়া কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মতলুবর রহমান জানান, কয়েক বছর ধরেই বগুড়ার চাষীরা ভালো দাম পাচ্ছে, বিগত বছর গুলোর চেয়ে এবার ফলনও ভালো হয়েছে। জেলায় এই মৌসুমে সাড়ে ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে ৩ লাখ ৬ হাজার টনেরও বেশি সবজি উৎপাদন হয়েছে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে সারাদেশে যাচ্ছে এই সবজি।