ক্রীড়া ডেস্ক: জয়ের মঞ্চ আগের দিনই তৈরি করে রেখেছিল আফগানিস্তান। কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায় পৌঁছাতে নতুন সকালে একেবারেই সময় নিল না তারা। ১৫ বলের মধ্যে জিম্বাবুয়ের শেষ দুই উইকেট তুলে নিয়ে দারুণ এক জয়ের উল্লাসে মাতল সফরকারীরা। বুলাওয়ায়োতে সোমবার সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে আফগানদের জয় ৭২ রানে। ১১ টেস্টে এনিয়ে চতুর্থ জয়ের স্বাদ পেল তারা।
আর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এটি তাদের দ্বিতীয় জয়। দুই টেস্টের সিরিজটি আফগানিস্তান জিতে নিল ১-০ ব্যবধানে। রান বন্যার প্রথম টেস্টটি ড্র হয়েছিল। পঞ্চম ও শেষ দিনে জয়ের জন্য আফগানিস্তানের প্রয়োজন ছিল ২ উইকেট, জিম্বাবুয়ের ৭৩ রান।
কিন্তু এদিন আর কোনো রানই করতে পারেনি স্বাগতিকরা। ২৭৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় তারা থামে ২০৫ রানে।
আফগানদের জয়ের নায়ক রাশিদ খান রেকর্ড গড়া বোলিংয়ে ৬৬ রানে নেন ৭ উইকেট। দলটির হয়ে টেস্টের এক ইনিংসে যা সেরা বোলিংয়ের কীর্তি। ক্যারিয়ারে এনিয়ে দ্বিতীয়বার ইনিংসে ৭ উইকেট পেলেন তারকা এই লেগ স্পিনার। আগেরটিও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, ২০২১ সালে ১৩৭ রানে ৭টি। কুইন্স স্পোর্টস ক্লাবে ৮ উইকেটে ২০৫ রান নিয়ে নতুন দিনের খেলা শুরু করে জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় ওভারেই বিদায় নেন ৩ রান নিয়ে খেলতে নামা রিচার্ড এনগারাভা।
ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউটে কাটা পড়েন তিনি। জিম্বাবুয়ের আশা হয়ে ক্রিজে থাকা ক্রেইগ আরভিনকে পরের ওভারেই বিদায় করে দেন রাশিদ। অফ স্টাম্পের বাইরে থেকে টার্ন করে ভেতরে ঢোকা বলে ব্যাটে খেলতে পারেননি বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। এলবিডবিøউ হয়ে আগের দিনের ৫৩ রানেই বিদায় নিতে হয় জিম্বাবুয়ে অধিনায়ককে। ম্যাচে চমৎকার বোলিংয়ের জন্য সেরার পুরস্কার জেতেন রাশিদ। আর একটি ডাবল সেঞ্চুরি ও একটি শতকে ১৩০.৬৬ গড়ে ৩৯২ রান করে সিরিজ সেরা হন রেহমাত শাহ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান ১ম ইনিংস: ১৫৭
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ২৪৩
আফগানিস্তান ২য় ইনিংস: ৩৬৩
জিম্বাবুয়ে ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ২৭৮) ৬৮.৩ ওভারে ২০৫ (আগের দিন ২০৫/৮) (আরভিন ৫৩, এনগারাভা ৩, মুজারাবানি ০*; ইয়ামিন ১২-২-২৪-০, ফারিদ ১২-৪-৪৪-০, জিয়া ১৫-১-৪৪-২, রাশিদ ২৭.৩-৩-৬৬-৭, মালিক ২-০-১২-০)
ফল: আফগানিস্তান ৭২ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: রাশিদ খান
সিরিজ: ২ টেস্টের সিরিজ ১-০ তে জয়ী আফগানরা
ম্যান অব দা সিরিজ: রেহমাত শাহ