ঢাকা ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

লটারি বিক্রি করে রাসিক কর্মকর্তার যোগসাজশে উধাও এইচটিএন কোম্পানি

  • আপডেট সময় : ০৮:৪৩:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৪৭ বার পড়া হয়েছে

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"resize":1,"transform":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}

নাজমুল হক, রাজশাহী: রাজশাহীতে ‘মেগা লাকি ড্র’র নামে লটারির রমরমা বাণিজ্য করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এইচটিএন ইন্টারন্যাশনাল নামের এ চক্রটির বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এক ভুক্তোভোগী।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজশাহী নগরীর ওলিতে গলিতে অটোরিকশায় মাইক লাগিয়ে বিক্রি করা হয়েছে ‘মেগা লাকি ড্র’র নামে হাজার হাজার লটারি। ৩০ টাকায় লাকি ড্র এর টিকিট কিনলে নিম্নমানের ১টি ইয়ারফোন ফ্রি সাথে থাকছে ৩১ ডিসেম্বর মেগা লাকি ড্রতে রয়্যাল ইনফিল্ড মোটরসাইকেল সহ ৪১ টি আকর্ষণীয় পুরস্কার।

কিন্তু ৩১ তারিখে ‘ড্র’ হওয়ার কথা থাকলেও অফিসে গিয়ে তালা ঝুলানো দেখে শতশত উৎসুক জনতা অফিস ঘেরাও করে পরে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ বিষয়ে সাকিবুল ইসলাম নামের এক ভুক্তোভোগী নগরীর বোয়ালিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রথমত রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক) থেকে পুরাতন মোবাইল ফোন ক্রয় বিক্রয়ের ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে অফিস খুলে কোম্পানিটি পরে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ্ মো. নূর ঈ সাঈদকে এবং বিজ্ঞাপন পরিদর্শক একরামুল হক বাবুকে ম্যানেজ করে কোম্পানির ব্র্যান্ডিং বিজ্ঞাপন প্রচারের অনুমতি নেয় এবং প্রসাশনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবৈধ লটারি বিক্রি করে জনগণের সাথে অভিনব কায়দায় প্রতারণা করে এই কোম্পানিটি।
জানা গেছে, এই কোম্পানির মালিক এবং এই চক্রের মূল হোতা নাঈম হোসেন তিনি ফরিদপুর জেলার বান্দুগামের বাসিন্দা এবং তার সহযোগী হাসান মোল্যা তিনিও একই গ্রামের এবং আরেক সহযোগী তুষার আহম্মেদ সে রাজশাহী নগরীর তেরোখাদিয়া উত্তর পাড়ার বাসিন্দা।

মূলত এই তিনজনসহ অজ্ঞাত আরোও কয়েকজন মিলে ‘মেগা লাকি ড্র’ এর নামে অভিনব কায়দায় প্রতারণা করেছে এই চক্রটি। এইচটিএন ইন্টারন্যাশনাল নামে ভাড়ায় নেয়া ভবনের মালিক নজরুল ইসলাম এই প্রতারণার সাথেও জড়িত এমনো অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্ত নাঈম হোসেন এর ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি মো. মেহেদী মাসুদ জানান, তারা অবৈধ ভাবে লটারি বিক্রি করে রাজশাহীবাসীর সাথে প্রতারণা করেছে। খুব দ্রæত তাদের আইনের আওতায় নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ্ মো: নূর ঈ সাঈদ জানান,ব্র্যান্ডিং বিজ্ঞাপন প্রচারের নামে যে তারা মানুষের সাথে প্রতারণা করবে এটি আমার জানা ছিল না। এটি সুষ্ঠ তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

লটারি বিক্রি করে রাসিক কর্মকর্তার যোগসাজশে উধাও এইচটিএন কোম্পানি

আপডেট সময় : ০৮:৪৩:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫

নাজমুল হক, রাজশাহী: রাজশাহীতে ‘মেগা লাকি ড্র’র নামে লটারির রমরমা বাণিজ্য করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এইচটিএন ইন্টারন্যাশনাল নামের এ চক্রটির বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এক ভুক্তোভোগী।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজশাহী নগরীর ওলিতে গলিতে অটোরিকশায় মাইক লাগিয়ে বিক্রি করা হয়েছে ‘মেগা লাকি ড্র’র নামে হাজার হাজার লটারি। ৩০ টাকায় লাকি ড্র এর টিকিট কিনলে নিম্নমানের ১টি ইয়ারফোন ফ্রি সাথে থাকছে ৩১ ডিসেম্বর মেগা লাকি ড্রতে রয়্যাল ইনফিল্ড মোটরসাইকেল সহ ৪১ টি আকর্ষণীয় পুরস্কার।

কিন্তু ৩১ তারিখে ‘ড্র’ হওয়ার কথা থাকলেও অফিসে গিয়ে তালা ঝুলানো দেখে শতশত উৎসুক জনতা অফিস ঘেরাও করে পরে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ বিষয়ে সাকিবুল ইসলাম নামের এক ভুক্তোভোগী নগরীর বোয়ালিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রথমত রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক) থেকে পুরাতন মোবাইল ফোন ক্রয় বিক্রয়ের ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে অফিস খুলে কোম্পানিটি পরে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ্ মো. নূর ঈ সাঈদকে এবং বিজ্ঞাপন পরিদর্শক একরামুল হক বাবুকে ম্যানেজ করে কোম্পানির ব্র্যান্ডিং বিজ্ঞাপন প্রচারের অনুমতি নেয় এবং প্রসাশনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবৈধ লটারি বিক্রি করে জনগণের সাথে অভিনব কায়দায় প্রতারণা করে এই কোম্পানিটি।
জানা গেছে, এই কোম্পানির মালিক এবং এই চক্রের মূল হোতা নাঈম হোসেন তিনি ফরিদপুর জেলার বান্দুগামের বাসিন্দা এবং তার সহযোগী হাসান মোল্যা তিনিও একই গ্রামের এবং আরেক সহযোগী তুষার আহম্মেদ সে রাজশাহী নগরীর তেরোখাদিয়া উত্তর পাড়ার বাসিন্দা।

মূলত এই তিনজনসহ অজ্ঞাত আরোও কয়েকজন মিলে ‘মেগা লাকি ড্র’ এর নামে অভিনব কায়দায় প্রতারণা করেছে এই চক্রটি। এইচটিএন ইন্টারন্যাশনাল নামে ভাড়ায় নেয়া ভবনের মালিক নজরুল ইসলাম এই প্রতারণার সাথেও জড়িত এমনো অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্ত নাঈম হোসেন এর ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি মো. মেহেদী মাসুদ জানান, তারা অবৈধ ভাবে লটারি বিক্রি করে রাজশাহীবাসীর সাথে প্রতারণা করেছে। খুব দ্রæত তাদের আইনের আওতায় নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ্ মো: নূর ঈ সাঈদ জানান,ব্র্যান্ডিং বিজ্ঞাপন প্রচারের নামে যে তারা মানুষের সাথে প্রতারণা করবে এটি আমার জানা ছিল না। এটি সুষ্ঠ তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।