ঢাকা ০২:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণ

  • আপডেট সময় : ০৬:১৫:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং- ফাইল ছবি

প্রত্যাশা ডেস্ক: ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং আর নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নয়াদিল্লির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।

গত বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় রাত সাড়ে আটটার দিকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মনমোহন সিংকে নয়াদিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস (এইমস) হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাত ১০টার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, মনমোহন সিং মারা গেছেন।

এইমসের এক বুলেটিনে জানানো হয়, ‘মনমোহন সিং বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। গতকাল বাড়িতে হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। রাত সাড়ে আটটার দিকে তাঁকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। রাত ৯টা ৫১ মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন।’

কয়েক মাস ধরে বার্ধক্যজনিত নানা অসুস্থতায় ভুগছিলেন মনমোহন সিং। তিনি স্ত্রী ও তিন মেয়ে রেখে গেছেন।

মনমোহন সিং ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত টানা দুই মেয়াদে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন তিনি।

মনমোহন সিং ভারতের প্রথম ও একমাত্র প্রধানমন্ত্রী, যিনি হিন্দুধর্মাবলম্বী নন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী পি ভি নরসিমা রাওয়ের (১৯৯১-৯৬) সরকারে অর্থমন্ত্রী ছিলেন মনমোহন সিং। সে সময় তিনি দেশটির রাজনীতিতে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ মনমোহন সিং ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (আরবিআই) গভর্নর ছিলেন।

অর্থমন্ত্রী থাকাকালে মনমোহন সিং ভারতের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এ কারণে তাঁকে ভারতের অর্থনীতিতে উদারনৈতিক সংস্কারের ‘স্থপতি’ বলা হয়।

মনমোহন সিংয়ের জন্ম ১৯৩২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর বর্তমান পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের চকওয়াল জেলায়। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় কিশোর মনমোহন তাঁর পরিবারের সঙ্গে বর্তমানে ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের অমৃতসরে আসেন। পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫২ সালে স্নাতক ও ১৯৫৪ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। পরে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নেন।

মনমোহন সিংয়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার রাতে এক্সে দেওয়া এক পোস্টে মোদি লিখেছেন, ‘দেশের সবচেয়ে সম্মানিত নেতাদের একজনকে হারিয়ে শোকাহত ভারত।’ কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকের কারণে গত বৃহস্পতিবার কর্ণাটকে অবস্থান করছিলেন দলটির নেতা রাহুল গান্ধী। মনমোহন সিংয়ের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে এক্সে তিনি লিখেছেন, ‘প্রজ্ঞা ও সততার সঙ্গে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মনমোহন সিং। তাঁর মৃত্যুতে আমি একজন মেন্টরকে হারালাম।’

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক শোকবার্তায় লিখেছেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর পাণ্ডিত্য ও প্রজ্ঞা ছিল প্রশ্নাতীত।’
শেষ শ্রদ্ধা জানাতে মনমোহন সিংয়ের বাড়িতে মোদী-অমিত শাহ: ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে তার নয়াদিল্লির বাসভবনে পৌঁছান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নড্ডাও মনমোহনের বাড়িতে পৌঁছান। সেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মরদেহ প্রণাম করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন তারা। রাজনৈতিক দূরত্ব ভুলে শুক্রবার সকাল থেকে ওই বাড়িতে একে একে জড়ো হন শাসক ও বিরোধী দলের নেতারা।
কংগ্রেস সূত্রে জানা গেছে, পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেষকৃত্য হবে শনিবার (২৮ ডিসেম্বর)। মনমোহনকে শ্রদ্ধা জানাতে শুক্রবার সকালে তার বাড়িতে যান কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। এ ছাড়াও অনেক বিজেপি নেতা তার বাড়িতে যান।
মনমোহনের কনিষ্ঠা কন্যা ক্যালিফোর্নিয়ায় স্ট্যানফোর্ড ল’ স্কুলের অধ্যাপক। সেখান থেকে তিনি শুক্রবার বিকেলে দেশে আসবেন। সেই কারণেই শেষকৃত্য হবে শনিবার। শেষকৃত্যের পর মনমোহনের অস্থি নিয়ে যাওয়া হবে কংগ্রেসের সদর দফতরে। সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষ।

এদিকে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে সাত দিন জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব জি পার্থসারথি দেশের সকল মুখ্যসচিব ও অন্য উচ্চপদস্থ আমলাদের এই মর্মে চিঠি দিয়েছেন।

চিঠিতে বলা হয়েছে মনমোহনকে শ্রদ্ধা জানাতে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) থেকে বুধবার (১ জানুয়ারি) পর্যন্ত দেশে ‘জাতীয় শোক’ চলবে। ‘জাতীয় শোক’ ঘোষণা হওয়ার অর্থ, এই সময় দেশের সর্বত্র জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে এবং সরকারি স্তরে কোনো বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান হবে না। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ডিসেম্বর ধরেই নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণ

আপডেট সময় : ০৬:১৫:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রত্যাশা ডেস্ক: ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং আর নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নয়াদিল্লির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।

গত বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় রাত সাড়ে আটটার দিকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মনমোহন সিংকে নয়াদিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস (এইমস) হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাত ১০টার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, মনমোহন সিং মারা গেছেন।

এইমসের এক বুলেটিনে জানানো হয়, ‘মনমোহন সিং বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। গতকাল বাড়িতে হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। রাত সাড়ে আটটার দিকে তাঁকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। রাত ৯টা ৫১ মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন।’

কয়েক মাস ধরে বার্ধক্যজনিত নানা অসুস্থতায় ভুগছিলেন মনমোহন সিং। তিনি স্ত্রী ও তিন মেয়ে রেখে গেছেন।

মনমোহন সিং ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত টানা দুই মেয়াদে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন তিনি।

মনমোহন সিং ভারতের প্রথম ও একমাত্র প্রধানমন্ত্রী, যিনি হিন্দুধর্মাবলম্বী নন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী পি ভি নরসিমা রাওয়ের (১৯৯১-৯৬) সরকারে অর্থমন্ত্রী ছিলেন মনমোহন সিং। সে সময় তিনি দেশটির রাজনীতিতে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ মনমোহন সিং ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (আরবিআই) গভর্নর ছিলেন।

অর্থমন্ত্রী থাকাকালে মনমোহন সিং ভারতের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এ কারণে তাঁকে ভারতের অর্থনীতিতে উদারনৈতিক সংস্কারের ‘স্থপতি’ বলা হয়।

মনমোহন সিংয়ের জন্ম ১৯৩২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর বর্তমান পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের চকওয়াল জেলায়। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় কিশোর মনমোহন তাঁর পরিবারের সঙ্গে বর্তমানে ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের অমৃতসরে আসেন। পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫২ সালে স্নাতক ও ১৯৫৪ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। পরে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নেন।

মনমোহন সিংয়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার রাতে এক্সে দেওয়া এক পোস্টে মোদি লিখেছেন, ‘দেশের সবচেয়ে সম্মানিত নেতাদের একজনকে হারিয়ে শোকাহত ভারত।’ কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকের কারণে গত বৃহস্পতিবার কর্ণাটকে অবস্থান করছিলেন দলটির নেতা রাহুল গান্ধী। মনমোহন সিংয়ের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে এক্সে তিনি লিখেছেন, ‘প্রজ্ঞা ও সততার সঙ্গে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মনমোহন সিং। তাঁর মৃত্যুতে আমি একজন মেন্টরকে হারালাম।’

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক শোকবার্তায় লিখেছেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর পাণ্ডিত্য ও প্রজ্ঞা ছিল প্রশ্নাতীত।’
শেষ শ্রদ্ধা জানাতে মনমোহন সিংয়ের বাড়িতে মোদী-অমিত শাহ: ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে তার নয়াদিল্লির বাসভবনে পৌঁছান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নড্ডাও মনমোহনের বাড়িতে পৌঁছান। সেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মরদেহ প্রণাম করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন তারা। রাজনৈতিক দূরত্ব ভুলে শুক্রবার সকাল থেকে ওই বাড়িতে একে একে জড়ো হন শাসক ও বিরোধী দলের নেতারা।
কংগ্রেস সূত্রে জানা গেছে, পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেষকৃত্য হবে শনিবার (২৮ ডিসেম্বর)। মনমোহনকে শ্রদ্ধা জানাতে শুক্রবার সকালে তার বাড়িতে যান কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। এ ছাড়াও অনেক বিজেপি নেতা তার বাড়িতে যান।
মনমোহনের কনিষ্ঠা কন্যা ক্যালিফোর্নিয়ায় স্ট্যানফোর্ড ল’ স্কুলের অধ্যাপক। সেখান থেকে তিনি শুক্রবার বিকেলে দেশে আসবেন। সেই কারণেই শেষকৃত্য হবে শনিবার। শেষকৃত্যের পর মনমোহনের অস্থি নিয়ে যাওয়া হবে কংগ্রেসের সদর দফতরে। সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষ।

এদিকে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে সাত দিন জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব জি পার্থসারথি দেশের সকল মুখ্যসচিব ও অন্য উচ্চপদস্থ আমলাদের এই মর্মে চিঠি দিয়েছেন।

চিঠিতে বলা হয়েছে মনমোহনকে শ্রদ্ধা জানাতে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) থেকে বুধবার (১ জানুয়ারি) পর্যন্ত দেশে ‘জাতীয় শোক’ চলবে। ‘জাতীয় শোক’ ঘোষণা হওয়ার অর্থ, এই সময় দেশের সর্বত্র জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে এবং সরকারি স্তরে কোনো বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান হবে না। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে