ঢাকা ০২:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

হাসিনাকে ফেরত চেয়ে চিঠি : যা বললেন সাবেক ভারতীয় রাষ্ট্রদূত

  • আপডেট সময় : ০৯:০৪:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : শিক্ষার্থী-জনতার ব্যাপক আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তাকে ফেরত দিতে ইতোমধ্যে নয়াদিল্লিকে চিঠি দিয়েছে ঢাকা, নয়াদিল্লি সেই চিঠির প্রাপ্তিস্বীকারও করেছে। গণআন্দোলন দমনে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে মানুষ হত্যার নির্দেশ প্রদানের অভিযোগে ইতোমধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সারা দেশে শতাধিক মামলা হয়েছে। তিনি দেশে ফিরে এলেই তাকে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্র্বতী সরকার একাধিকবার প্রকাশ্যে এই ঘোষণা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে হাসিনা কী করতে পারেন সে সম্পর্কিত পরামর্শ তাকে দিয়েছেন বাংলাদেশে দায়িত্ব পালন করে যাওয়া সাবেক ভারতীয় রাষ্ট্রদূত মহেশ সাচদেব। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাচদেব বলেন, “বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তিটি রয়েছে, সেটি অনেক সতর্কভাবে করা। এ চুক্তিটি রাজনৈতিক ইস্যুতে প্রত্যপর্ণ প্রত্যাখ্যান করে, কিন্তু রাজনৈতিক বিবেচনায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডকে ফোকাস করে। তো, এখন চুক্তির এসব সতর্কতা ব্যবহার করা যেতে পারে। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশটির বর্তমান সরকারের প্রত্যর্পণের অনুরোধের বিরুদ্ধে ভারতের আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন। আদালতে তিনি লিখিতভাবে আবেদন জানাতে পারেন যে, ভারতের সরকার তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠালে তার সঙ্গে অন্যায় আচরণ করা হবে।”

“আবার ভারত বাংলাদেশের সরকারকে জানাতে পারে যে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানো হলে তার সঙ্গে ন্যায়বিচার হবে কি না— সে সম্পর্কে নিশ্চিত নয় তারা। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে যে ভারতের অনেক তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আছে এবং নয়াদিল্লির বার বার অনুরোধ সত্ত্বেও তাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে না। এর কারণ হিসেবে ইউরোপ বলেছে, ভারতের বিচার ব্যবস্থা ও কারাগারগুলোর মান নিয়ে তাদের সংশয় রয়েছে। তো এখন এ পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করা যেতে পারে।”

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত প্রথম খসড়া চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয় ২০১৩ সালে। পরে ২০১৬ সালে চুক্তিটির সংশোধিত সংস্করণে স্বাক্ষর করে নয়াদিল্লি এবং ঢাকা। মূলত দুই দেশের সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদে সংশ্লিষ্টদের বিনিময়ের উদ্দেশ্যেই চুক্তিটি স্বাক্ষর করেছিল ভারত এবং বাংলাদেশ।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

হাসিনাকে ফেরত চেয়ে চিঠি : যা বললেন সাবেক ভারতীয় রাষ্ট্রদূত

আপডেট সময় : ০৯:০৪:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রত্যাশা ডেস্ক : শিক্ষার্থী-জনতার ব্যাপক আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তাকে ফেরত দিতে ইতোমধ্যে নয়াদিল্লিকে চিঠি দিয়েছে ঢাকা, নয়াদিল্লি সেই চিঠির প্রাপ্তিস্বীকারও করেছে। গণআন্দোলন দমনে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে মানুষ হত্যার নির্দেশ প্রদানের অভিযোগে ইতোমধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সারা দেশে শতাধিক মামলা হয়েছে। তিনি দেশে ফিরে এলেই তাকে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্র্বতী সরকার একাধিকবার প্রকাশ্যে এই ঘোষণা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে হাসিনা কী করতে পারেন সে সম্পর্কিত পরামর্শ তাকে দিয়েছেন বাংলাদেশে দায়িত্ব পালন করে যাওয়া সাবেক ভারতীয় রাষ্ট্রদূত মহেশ সাচদেব। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাচদেব বলেন, “বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তিটি রয়েছে, সেটি অনেক সতর্কভাবে করা। এ চুক্তিটি রাজনৈতিক ইস্যুতে প্রত্যপর্ণ প্রত্যাখ্যান করে, কিন্তু রাজনৈতিক বিবেচনায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডকে ফোকাস করে। তো, এখন চুক্তির এসব সতর্কতা ব্যবহার করা যেতে পারে। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশটির বর্তমান সরকারের প্রত্যর্পণের অনুরোধের বিরুদ্ধে ভারতের আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন। আদালতে তিনি লিখিতভাবে আবেদন জানাতে পারেন যে, ভারতের সরকার তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠালে তার সঙ্গে অন্যায় আচরণ করা হবে।”

“আবার ভারত বাংলাদেশের সরকারকে জানাতে পারে যে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানো হলে তার সঙ্গে ন্যায়বিচার হবে কি না— সে সম্পর্কে নিশ্চিত নয় তারা। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে যে ভারতের অনেক তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আছে এবং নয়াদিল্লির বার বার অনুরোধ সত্ত্বেও তাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে না। এর কারণ হিসেবে ইউরোপ বলেছে, ভারতের বিচার ব্যবস্থা ও কারাগারগুলোর মান নিয়ে তাদের সংশয় রয়েছে। তো এখন এ পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করা যেতে পারে।”

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত প্রথম খসড়া চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয় ২০১৩ সালে। পরে ২০১৬ সালে চুক্তিটির সংশোধিত সংস্করণে স্বাক্ষর করে নয়াদিল্লি এবং ঢাকা। মূলত দুই দেশের সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদে সংশ্লিষ্টদের বিনিময়ের উদ্দেশ্যেই চুক্তিটি স্বাক্ষর করেছিল ভারত এবং বাংলাদেশ।