ঢাকা ০৫:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ইঞ্জিন রুমে বিস্ফোরণ, ভূমধ্যসাগরে ডুবে গেল রুশ জাহাজ

  • আপডেট সময় : ০৭:০৩:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ২৮ বার পড়া হয়েছে

বিদেশের খবর ডেস্ক : ইঞ্জিন কক্ষে বিস্ফোরণের পর রাশিয়ার পণ্যবাহী জাহাজ উরসা মেজর ভূমধ্যসাগরে ডুবে গেছে। এই ঘটনায় জাহাজের অন্তত দু’জন ক্রু নিখোঁজ রয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে ভূমধ্যসাগরে উরসা মেজরের ডুবে যাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। ২০০৯ সালে তৈরি করা জাহাজটির পরিচালনার দায়িত্বে ছিল রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামরিক সরঞ্জাম নির্মাণ কোম্পানি ওবোরোনলোগিস্তিকার। কোম্পানিটি বলেছে, রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় ভ্লাদিভোস্টকের দিকে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে জাহাজ উরসা মেজর। জাহাজের ডেকে বিশাল আকারের দু’টি ক্রেন ছিল। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ক্রাইসিস সেন্টারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ডুবে যাওয়া জাহাজের ১৬ ক্রু সদস্যের মধ্যে ১৪ জনকে উদ্ধার করে স্পেনে নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত দু’জন ক্রু নিখোঁজ রয়েছেন। তবে কী কারণে জাহাজের ইঞ্জিন রুমে বিস্ফোরণ ঘটেছে সেই বিষয়ে বিবৃতিতে কোনও তথ্য জানানো হয়নি। স্পেনে নিযুক্ত রাশিয়ার দূতাবাসের বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা আরআইএ বলেছে, কোন পরিস্থিতিতে জাহাজটি ডুবে গেছে, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই বিষয়ে স্পেন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছে রুশ দূতাবাস। জাহাজের মালিক কোম্পানি ওবোরোনলোগিস্তিকা ও এসকে-ইয়ুগ জাহাজটির ডুবে যাওয়ার বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় ২০২২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই দুই কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, জাহাজের পেছনের দিকের অংশ ধীরে ধীরে পানিতে ডুবে যাচ্ছে। এ সময় পাশ দিয়ে যাওয়া আরেকটি জাহাজ থেকে ডুবে যাওয়ার দৃশ্য ধারণ করা হয়। তবে ভিডিওর সত্যতা স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করা যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। যদিও মঙ্গলবার রাশিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম লাইফ ডট আরইউ এই ভিডিও প্রকাশ করেছে। জাহাজটির গতিবিধি পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, গত ১১ ডিসেম্বর রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গের বন্দর থেকে ভ্লাদিভোস্টকের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে জাহাজ উরসা মেজর। সোমবার ভূমধ্যসাগরের আলজেরিয়া ও স্পেনের জলসীমায় থাকাকালীন জাহাজটি থেকে সর্বশেষ বার্তা পাঠানো হয়। পরে ওই এলাকায় জাহাজটি ডুবে যায়। এর আগে, জাহাজটির গন্তব্য সিরিয়ার টারতুস বন্দর ছিল বলে জানানো হয়। যদিও পরবর্তীতে সেন্ট পিটার্সবার্গ ত্যাগ করার সময় জাহাজটির পরবর্তী গন্তব্য রাশিয়ার ভ্লাদিভোস্টক বন্দর ছিল বলে ইঙ্গিত পাওয়া যায়। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এল এসপানল বলেছে, ডুবে যাওয়া রুশ জাহাজের ক্রু সদস্যদের স্পেনের কার্টেজেনা বন্দরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। স্পেনের নৌবাহিনীর একটি জাহাজসহ বেশ কয়েকটি জাহাজ ক্রুদের উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়। আগামী ২২ জানুয়ারি ভ্লাদিভোস্টক বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল জাহাজটির। সূত্র: রয়টার্স।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ইঞ্জিন রুমে বিস্ফোরণ, ভূমধ্যসাগরে ডুবে গেল রুশ জাহাজ

আপডেট সময় : ০৭:০৩:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বিদেশের খবর ডেস্ক : ইঞ্জিন কক্ষে বিস্ফোরণের পর রাশিয়ার পণ্যবাহী জাহাজ উরসা মেজর ভূমধ্যসাগরে ডুবে গেছে। এই ঘটনায় জাহাজের অন্তত দু’জন ক্রু নিখোঁজ রয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে ভূমধ্যসাগরে উরসা মেজরের ডুবে যাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। ২০০৯ সালে তৈরি করা জাহাজটির পরিচালনার দায়িত্বে ছিল রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামরিক সরঞ্জাম নির্মাণ কোম্পানি ওবোরোনলোগিস্তিকার। কোম্পানিটি বলেছে, রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় ভ্লাদিভোস্টকের দিকে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে জাহাজ উরসা মেজর। জাহাজের ডেকে বিশাল আকারের দু’টি ক্রেন ছিল। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ক্রাইসিস সেন্টারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ডুবে যাওয়া জাহাজের ১৬ ক্রু সদস্যের মধ্যে ১৪ জনকে উদ্ধার করে স্পেনে নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত দু’জন ক্রু নিখোঁজ রয়েছেন। তবে কী কারণে জাহাজের ইঞ্জিন রুমে বিস্ফোরণ ঘটেছে সেই বিষয়ে বিবৃতিতে কোনও তথ্য জানানো হয়নি। স্পেনে নিযুক্ত রাশিয়ার দূতাবাসের বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা আরআইএ বলেছে, কোন পরিস্থিতিতে জাহাজটি ডুবে গেছে, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই বিষয়ে স্পেন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছে রুশ দূতাবাস। জাহাজের মালিক কোম্পানি ওবোরোনলোগিস্তিকা ও এসকে-ইয়ুগ জাহাজটির ডুবে যাওয়ার বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় ২০২২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই দুই কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, জাহাজের পেছনের দিকের অংশ ধীরে ধীরে পানিতে ডুবে যাচ্ছে। এ সময় পাশ দিয়ে যাওয়া আরেকটি জাহাজ থেকে ডুবে যাওয়ার দৃশ্য ধারণ করা হয়। তবে ভিডিওর সত্যতা স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করা যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। যদিও মঙ্গলবার রাশিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম লাইফ ডট আরইউ এই ভিডিও প্রকাশ করেছে। জাহাজটির গতিবিধি পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, গত ১১ ডিসেম্বর রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গের বন্দর থেকে ভ্লাদিভোস্টকের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে জাহাজ উরসা মেজর। সোমবার ভূমধ্যসাগরের আলজেরিয়া ও স্পেনের জলসীমায় থাকাকালীন জাহাজটি থেকে সর্বশেষ বার্তা পাঠানো হয়। পরে ওই এলাকায় জাহাজটি ডুবে যায়। এর আগে, জাহাজটির গন্তব্য সিরিয়ার টারতুস বন্দর ছিল বলে জানানো হয়। যদিও পরবর্তীতে সেন্ট পিটার্সবার্গ ত্যাগ করার সময় জাহাজটির পরবর্তী গন্তব্য রাশিয়ার ভ্লাদিভোস্টক বন্দর ছিল বলে ইঙ্গিত পাওয়া যায়। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এল এসপানল বলেছে, ডুবে যাওয়া রুশ জাহাজের ক্রু সদস্যদের স্পেনের কার্টেজেনা বন্দরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। স্পেনের নৌবাহিনীর একটি জাহাজসহ বেশ কয়েকটি জাহাজ ক্রুদের উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়। আগামী ২২ জানুয়ারি ভ্লাদিভোস্টক বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল জাহাজটির। সূত্র: রয়টার্স।