ঢাকা ০৫:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

পেঁয়াজের চারা পুড়ে শেষ, কৃষকের মাথায় হাত

  • আপডেট সময় : ০৬:৩২:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৩৯ বার পড়া হয়েছে

নাটোর সংবাদদাতা : জমিতে নষ্ট হওয়া পেঁয়াজের চারা দেখে নিজেদের ধরে রাখতে পারেননি কৃষক জুলহাস শেখ (৬০) ও আলতাব হোসেন শেখ (৫০)। পেঁয়াজের চারার অবস্থা দেখে আহাজারি করতে থাকেন তারা। নাটোরের নলডাঙ্গার পিপরুল ইউনিয়নের ভাতঘুরা বিলে জমি লিজ নিয়ে ধারদেনা করে তারা পেঁয়াজের আবাদ করেছিলেন। কিন্তু একটি আগাছানাশক ব্যবহারের পর কৃষকদের প্রায় ২৫ শতাংশ পেঁয়াজের চারা নষ্ট হয়ে গেছে। এসব কৃষকরা ক্ষতিপূরণ দাবি করছেন। জানা গেছে, নাটোরের নলডাঙ্গার পিপরুল ইউনিয়নের ছান্দাবাড়ি গ্রামের কৃষক জুলহাস শেখ লিজ নিয়ে ১৭ শতক জমিতে ‘স্টেলা’ নামের একটি আগাছানাশক ব্যবহার করে ক্ষতিগ্রস্ত হন। তার কাছ থেকে একই এলাকার আলতাব হোসেন শেখ নামের এক কৃষক পেঁয়াজের প্রায় ৮ শতক জমিতে একই ওষুধ প্রয়োগ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। স্থানীয় পাভেল শেখ, আরাফাত সানি, আহাদ প্রাংসহ অনেকে বলেন, কৃষকরা জমিতে ওষুধ প্রয়োগ করার ফলে তাদের সব পেঁয়াজের চারা নষ্ট হয়ে গেছে। এরা দরিদ্র কৃষক। তাদের বাঁচাতে কৃষি বিভাগ যেন পাশে দাঁড়ায়।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা অভিযোগ করেন, উপজেলার শ্যামনগর বাজারের মেসার্স রাকিব এন্টারপ্রাইজ নামের একটি কীটনাশকের দোকান থেকে এই ওষুধ বিক্রি করা হয়েছিল। এটি বাজারজাত করেছে সিমপেক্স অ্যাগ্রো কেমিক্যাল লিমিটেড। ওই দোকানের মালিক আজিজুল হক বলেন, আমি কৃষকদের কাছে ওষুধটি বিক্রি করেছি। এ বিষয়ে কোম্পানির কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এদিকে কৃষকরা ২২ ডিসেম্বর দুপুরে উপজেলা কৃষি কর্মকতার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। সেখানে তারা উল্লেখ করেন, দোকানদারের ভুল পরামর্শে আমাদের পেঁয়াজের জমিতে ঘাস মারার উদ্দেশ্যে সিমপেক্স কোম্পানির ‘স্টেলা’ নামক বিষ প্রয়োগ করি। সেই স্টেলা বিষ প্রয়োগ করার কারণে পেঁয়াজের চারা নষ্ট হয়ে গেছে। জমিতে আর কোনো ওষুধ প্রয়োগ করে স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরিয়ে আনা সম্ভব না। আমাদের মোট ২৫ শতক জমির পেঁয়াজের চারা নষ্ট হয়ে গেছে। তারা ৮০ হাজার টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কিষোয়ার হোসেন বলেন, কৃষকদের কাছ থেকে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। জমিতে ‘স্টেলা’ নামের একটি আগাছানাশক ব্যবহার করে পেঁয়াজের চারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির রির্পোট সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

প্রধান উপদেষ্টা হতাশ-ক্ষুব্ধ, ‘পদত্যাগ’ নিয়ে আলোচনা

পেঁয়াজের চারা পুড়ে শেষ, কৃষকের মাথায় হাত

আপডেট সময় : ০৬:৩২:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

নাটোর সংবাদদাতা : জমিতে নষ্ট হওয়া পেঁয়াজের চারা দেখে নিজেদের ধরে রাখতে পারেননি কৃষক জুলহাস শেখ (৬০) ও আলতাব হোসেন শেখ (৫০)। পেঁয়াজের চারার অবস্থা দেখে আহাজারি করতে থাকেন তারা। নাটোরের নলডাঙ্গার পিপরুল ইউনিয়নের ভাতঘুরা বিলে জমি লিজ নিয়ে ধারদেনা করে তারা পেঁয়াজের আবাদ করেছিলেন। কিন্তু একটি আগাছানাশক ব্যবহারের পর কৃষকদের প্রায় ২৫ শতাংশ পেঁয়াজের চারা নষ্ট হয়ে গেছে। এসব কৃষকরা ক্ষতিপূরণ দাবি করছেন। জানা গেছে, নাটোরের নলডাঙ্গার পিপরুল ইউনিয়নের ছান্দাবাড়ি গ্রামের কৃষক জুলহাস শেখ লিজ নিয়ে ১৭ শতক জমিতে ‘স্টেলা’ নামের একটি আগাছানাশক ব্যবহার করে ক্ষতিগ্রস্ত হন। তার কাছ থেকে একই এলাকার আলতাব হোসেন শেখ নামের এক কৃষক পেঁয়াজের প্রায় ৮ শতক জমিতে একই ওষুধ প্রয়োগ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। স্থানীয় পাভেল শেখ, আরাফাত সানি, আহাদ প্রাংসহ অনেকে বলেন, কৃষকরা জমিতে ওষুধ প্রয়োগ করার ফলে তাদের সব পেঁয়াজের চারা নষ্ট হয়ে গেছে। এরা দরিদ্র কৃষক। তাদের বাঁচাতে কৃষি বিভাগ যেন পাশে দাঁড়ায়।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা অভিযোগ করেন, উপজেলার শ্যামনগর বাজারের মেসার্স রাকিব এন্টারপ্রাইজ নামের একটি কীটনাশকের দোকান থেকে এই ওষুধ বিক্রি করা হয়েছিল। এটি বাজারজাত করেছে সিমপেক্স অ্যাগ্রো কেমিক্যাল লিমিটেড। ওই দোকানের মালিক আজিজুল হক বলেন, আমি কৃষকদের কাছে ওষুধটি বিক্রি করেছি। এ বিষয়ে কোম্পানির কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এদিকে কৃষকরা ২২ ডিসেম্বর দুপুরে উপজেলা কৃষি কর্মকতার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। সেখানে তারা উল্লেখ করেন, দোকানদারের ভুল পরামর্শে আমাদের পেঁয়াজের জমিতে ঘাস মারার উদ্দেশ্যে সিমপেক্স কোম্পানির ‘স্টেলা’ নামক বিষ প্রয়োগ করি। সেই স্টেলা বিষ প্রয়োগ করার কারণে পেঁয়াজের চারা নষ্ট হয়ে গেছে। জমিতে আর কোনো ওষুধ প্রয়োগ করে স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরিয়ে আনা সম্ভব না। আমাদের মোট ২৫ শতক জমির পেঁয়াজের চারা নষ্ট হয়ে গেছে। তারা ৮০ হাজার টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কিষোয়ার হোসেন বলেন, কৃষকদের কাছ থেকে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। জমিতে ‘স্টেলা’ নামের একটি আগাছানাশক ব্যবহার করে পেঁয়াজের চারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির রির্পোট সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।