ঢাকা ০৫:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

বড়দিনে খুলনার ৩৩টি গির্জায় বিশেষ প্রহরা

  • আপডেট সময় : ০৬:১২:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৩৯ বার পড়া হয়েছে

খুলনা সংবাদদাতা : আগামী ২৫ ডিসেম্বর খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের বড়দিন উৎসবের সময় নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নগরের ৩৩ গির্জায় পুলিশের বিশেষ প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইংরেজি নববর্ষ ও বড়দিন উদযাপনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বিষয়ে কোনো উদ্বেগ নেই। খুলনা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির ডিসেম্বর মাসের সভায় এসব তথ্য জানান মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আহসান হাবীব। গতকাল সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে তার সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মোহাম্মদ আহসান হাবীব জানান, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মেট্রোপলিটন এলাকায় ঘটে যাওয়া যেকোনো অপরাধমূলক ঘটনাকে গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিছু তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। পুলিশ সুপার টি এম মোশাররফ হোসেন সভায় জানান, সুন্দরবনকেন্দ্রিক দস্যুতা বন্ধে সুন্দরবন ঘেষা দাকোপ, কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলায় পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখা এবং তরুণ-যুবকদের মাদক থেকে দূরে রাখতে জুমার খুতবায় ইমামদের মোটিভেশনাল আলোচনার গুরুত্ব রয়েছে। সম্মানিত ইমামদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। আসন্ন বড়দিন ও থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপন কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে সেজন্য জেলা পুলিশ সজাগ রয়েছে। মবজাস্টিসের নামে আইন হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা বন্ধে সামাজিক সচেতনতা জরুরি। সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, সচরাচর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংঘঠিত হয়- এমন স্থানগুলোয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন। নিত্যপণ্যের বাজারদর কিছুটা কমেছে, তবে পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে তদারকি অভিযান চলবে। শীতে পরিযায়ী পাখি শিকার ও বেচাকেনা বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনে কর্মরত ব্যক্তি এবং সচেতন নাগরিকদের কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। পর্যটন মৌসুমে সুন্দরবন ও খুলনা অঞ্চলে ঘুরতে আসা পর্যটকদের যেকোনো ধরনের হয়রানি বন্ধ করতে হবে। ডেপুটি সিভিল সার্জন শেখ মোহাম্মদ কামাল হোসেন সভায় জানান, জেলায় ডেঙ্গুর প্রকোপ অনেকটা কমেছে, ফলে হাসপাতালগুলোয় ডেঙ্গু রোগী ভর্তিও কমেছে। জেলায় এ বছর ডেঙ্গুতে মোট ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে এবং মোট ভর্তির সংখ্যা তিন হাজার ৮৫ জন। বেসরকারি হাসপাতালগুলো স্বাস্থ্যসেবার মান ঠিক রাখতে স্বাস্থ্য দপ্তরের অভিযান চলমান। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিতান কুমার মন্ডল সভায় বিগত মাসে খুলনা জেলা ও মহানগরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তুলে ধরেন। সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

প্রধান উপদেষ্টা হতাশ-ক্ষুব্ধ, ‘পদত্যাগ’ নিয়ে আলোচনা

বড়দিনে খুলনার ৩৩টি গির্জায় বিশেষ প্রহরা

আপডেট সময় : ০৬:১২:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

খুলনা সংবাদদাতা : আগামী ২৫ ডিসেম্বর খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের বড়দিন উৎসবের সময় নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নগরের ৩৩ গির্জায় পুলিশের বিশেষ প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইংরেজি নববর্ষ ও বড়দিন উদযাপনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বিষয়ে কোনো উদ্বেগ নেই। খুলনা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির ডিসেম্বর মাসের সভায় এসব তথ্য জানান মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আহসান হাবীব। গতকাল সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে তার সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মোহাম্মদ আহসান হাবীব জানান, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মেট্রোপলিটন এলাকায় ঘটে যাওয়া যেকোনো অপরাধমূলক ঘটনাকে গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিছু তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। পুলিশ সুপার টি এম মোশাররফ হোসেন সভায় জানান, সুন্দরবনকেন্দ্রিক দস্যুতা বন্ধে সুন্দরবন ঘেষা দাকোপ, কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলায় পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখা এবং তরুণ-যুবকদের মাদক থেকে দূরে রাখতে জুমার খুতবায় ইমামদের মোটিভেশনাল আলোচনার গুরুত্ব রয়েছে। সম্মানিত ইমামদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। আসন্ন বড়দিন ও থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপন কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে সেজন্য জেলা পুলিশ সজাগ রয়েছে। মবজাস্টিসের নামে আইন হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা বন্ধে সামাজিক সচেতনতা জরুরি। সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, সচরাচর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংঘঠিত হয়- এমন স্থানগুলোয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন। নিত্যপণ্যের বাজারদর কিছুটা কমেছে, তবে পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে তদারকি অভিযান চলবে। শীতে পরিযায়ী পাখি শিকার ও বেচাকেনা বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনে কর্মরত ব্যক্তি এবং সচেতন নাগরিকদের কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। পর্যটন মৌসুমে সুন্দরবন ও খুলনা অঞ্চলে ঘুরতে আসা পর্যটকদের যেকোনো ধরনের হয়রানি বন্ধ করতে হবে। ডেপুটি সিভিল সার্জন শেখ মোহাম্মদ কামাল হোসেন সভায় জানান, জেলায় ডেঙ্গুর প্রকোপ অনেকটা কমেছে, ফলে হাসপাতালগুলোয় ডেঙ্গু রোগী ভর্তিও কমেছে। জেলায় এ বছর ডেঙ্গুতে মোট ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে এবং মোট ভর্তির সংখ্যা তিন হাজার ৮৫ জন। বেসরকারি হাসপাতালগুলো স্বাস্থ্যসেবার মান ঠিক রাখতে স্বাস্থ্য দপ্তরের অভিযান চলমান। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিতান কুমার মন্ডল সভায় বিগত মাসে খুলনা জেলা ও মহানগরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তুলে ধরেন। সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।