ঢাকা ০৪:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫

সঙ্গীর সঙ্গে বিয়ের আগেই ভালো-মন্দ বিষয়ে বলা উচিত

  • আপডেট সময় : ০৫:৫১:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৫৩ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক: পারিবারিকভাবেই হোক আর প্রেমের বিয়েই হোক হবু দম্পতির উচিত একে অন্যের সঙ্গে একটা ভালো বোঝাপড়া তৈরি করা। প্রেমের বিয়ের ক্ষেত্রে অবশ্য দু’জনের বোঝাপড়া আগে থেকেই ভালো থাকে! তবে যারা অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ করছেন তাদের উচিত বিয়ের আগেই সব বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলা। এক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় আছেÑ যা জরুরি হলেও বিয়ের আগে আলোচনা করতে বেশিরভাগ হবু দম্পতিই ভুলে যান। তা হলোÑ
স্বাস্থ্য ও মানসিক স্বাস্থ্য: বিয়ের আগে হবু সঙ্গীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থার বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলাই ভালো। বিশেষ করে যদি আপনারা দুজনেই সন্তান লাভের আশা করেন। এক্ষেত্রে দুজনেরই শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকতে হবে। চাইলে বেশ কয়েকটি টেস্ট আছে যা বিয়ের আগে করে দুজনই দেখতে পারেন।
ভালো-মন্দ লাগা: প্রত্যেকের ভালো ও মন্দ লাগার বিষয়গুলো সম্পূর্ণই ভিন্ন। ধরুন আপনার পোষা প্রাণী আছে। অথচ আপনার হবু সঙ্গী প্রাণী পছন্দ করেন না। এক্ষেত্রে বিয়ের পর ভোগান্তি পোহাতে হতে পারে। আবার আপনার খাবারের ধরন ও তার পছন্দের খাবারে অমিল আছে, সেক্ষেত্রে সংসারে অশান্তি হতে পারে। এছাড়া মন-মেজাজ ও ব্যবহার কিংবা মতামতেও দুজনের মধ্যে পার্থক্য থাকা স্বাভাবিক। তাই এসব বিষয় নিয়ে আগে থেকেই সঙ্গীর সঙ্গে কা বলুন। অনেকেই গ্রামে বিয়ে করে সঙ্গীকে রেখে শহরে কর্মসংস্থানের খোঁজে চলে যান। সেক্ষেত্রে সঙ্গী কিন্তু একাকী দিন কটায়, এমন কোনো পরিকল্পনা থাকলে তা আগে থেকেই সঙ্গী জানান। এমনকি আপনার যদি দেশের বাইরেও যাওয়ার ইচ্ছে থাকে সেটিও জানান সঙ্গীকে। তাহলে অন্তত তিনি মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে পারবেন।

বাবা-মায়ের দেখভাল করা: বয়স বাড়তেই বাবা-মায়েরা অসহায় হয়ে পড়েন। এ সময় তাদের সার্বিক দেখাশুনার দায়িত্ব এসে পড়ে সন্তানের উপর। আপনার ঘরে বৃদ্ধ বাবা-মা থাকলে তাদের দেখভালে বিষয়ে হবু সঙ্গী কতটা আন্তরিক তা যাচাই করে নিন। আপনার সঙ্গী বৃদ্ধ বাবা-মায়ের সেবাযত্ন করতে পারবেন কি না কিংবা তাদের সঙ্গে থাকবেন কি না তা আগে থেকেই জেনে নিন। না হলে বিয়ের পর এ বিষয়ে সমস্যা বাড়তে পারে।
সন্তান নিয়ে পরিকল্পনা: বিয়ের কতদিন পর সন্তান নিতে চান তা দুজন মিলেই ঠিক করুন বিয়ের আগে। এমনও হতে পারে আপনার হবু সঙ্গীর সন্তান নেওয়ার ইচ্ছে নেই, কিন্তু আপনার ইচ্ছে দ্রুত সন্তান নেওয়ার। এসব বিষয়েও আগে থেকে মিটমাট করে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ, না হলে পরবর্তী সময়ে অশান্তি হতে পারে। সূত্র: ব্রাইট সাইড।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সঙ্গীর সঙ্গে বিয়ের আগেই ভালো-মন্দ বিষয়ে বলা উচিত

আপডেট সময় : ০৫:৫১:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

লাইফস্টাইল ডেস্ক: পারিবারিকভাবেই হোক আর প্রেমের বিয়েই হোক হবু দম্পতির উচিত একে অন্যের সঙ্গে একটা ভালো বোঝাপড়া তৈরি করা। প্রেমের বিয়ের ক্ষেত্রে অবশ্য দু’জনের বোঝাপড়া আগে থেকেই ভালো থাকে! তবে যারা অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ করছেন তাদের উচিত বিয়ের আগেই সব বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলা। এক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় আছেÑ যা জরুরি হলেও বিয়ের আগে আলোচনা করতে বেশিরভাগ হবু দম্পতিই ভুলে যান। তা হলোÑ
স্বাস্থ্য ও মানসিক স্বাস্থ্য: বিয়ের আগে হবু সঙ্গীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থার বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলাই ভালো। বিশেষ করে যদি আপনারা দুজনেই সন্তান লাভের আশা করেন। এক্ষেত্রে দুজনেরই শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকতে হবে। চাইলে বেশ কয়েকটি টেস্ট আছে যা বিয়ের আগে করে দুজনই দেখতে পারেন।
ভালো-মন্দ লাগা: প্রত্যেকের ভালো ও মন্দ লাগার বিষয়গুলো সম্পূর্ণই ভিন্ন। ধরুন আপনার পোষা প্রাণী আছে। অথচ আপনার হবু সঙ্গী প্রাণী পছন্দ করেন না। এক্ষেত্রে বিয়ের পর ভোগান্তি পোহাতে হতে পারে। আবার আপনার খাবারের ধরন ও তার পছন্দের খাবারে অমিল আছে, সেক্ষেত্রে সংসারে অশান্তি হতে পারে। এছাড়া মন-মেজাজ ও ব্যবহার কিংবা মতামতেও দুজনের মধ্যে পার্থক্য থাকা স্বাভাবিক। তাই এসব বিষয় নিয়ে আগে থেকেই সঙ্গীর সঙ্গে কা বলুন। অনেকেই গ্রামে বিয়ে করে সঙ্গীকে রেখে শহরে কর্মসংস্থানের খোঁজে চলে যান। সেক্ষেত্রে সঙ্গী কিন্তু একাকী দিন কটায়, এমন কোনো পরিকল্পনা থাকলে তা আগে থেকেই সঙ্গী জানান। এমনকি আপনার যদি দেশের বাইরেও যাওয়ার ইচ্ছে থাকে সেটিও জানান সঙ্গীকে। তাহলে অন্তত তিনি মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে পারবেন।

বাবা-মায়ের দেখভাল করা: বয়স বাড়তেই বাবা-মায়েরা অসহায় হয়ে পড়েন। এ সময় তাদের সার্বিক দেখাশুনার দায়িত্ব এসে পড়ে সন্তানের উপর। আপনার ঘরে বৃদ্ধ বাবা-মা থাকলে তাদের দেখভালে বিষয়ে হবু সঙ্গী কতটা আন্তরিক তা যাচাই করে নিন। আপনার সঙ্গী বৃদ্ধ বাবা-মায়ের সেবাযত্ন করতে পারবেন কি না কিংবা তাদের সঙ্গে থাকবেন কি না তা আগে থেকেই জেনে নিন। না হলে বিয়ের পর এ বিষয়ে সমস্যা বাড়তে পারে।
সন্তান নিয়ে পরিকল্পনা: বিয়ের কতদিন পর সন্তান নিতে চান তা দুজন মিলেই ঠিক করুন বিয়ের আগে। এমনও হতে পারে আপনার হবু সঙ্গীর সন্তান নেওয়ার ইচ্ছে নেই, কিন্তু আপনার ইচ্ছে দ্রুত সন্তান নেওয়ার। এসব বিষয়েও আগে থেকে মিটমাট করে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ, না হলে পরবর্তী সময়ে অশান্তি হতে পারে। সূত্র: ব্রাইট সাইড।