ঢাকা ১০:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

ভারতে পি কে হালদার ও তাঁর দুই সহযোগীর জামিন

  • আপডেট সময় : ০৮:৪০:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৬৮ বার পড়া হয়েছে

পি কে হালদার- ফাইল ছবি

প্রত্যাশা ডেস্ক: বাংলাদেশে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অর্থ পাচারের মামলায় জামিন পেয়েছেন। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) পি কে হালদার ছাড়াও তাঁর দুই সহযোগীর জামিন মঞ্জুর করা হয়।

ভারতে আর্থিক দুর্নীতি বিষয়ে তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) বিচারক প্রশান্ত মুখার্জি তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেন। সূত্র জানায়, প্রায় এক বছর শুনানির পর আদালতের মনে হয়েছে, যে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে, তার ভিত্তিতে পি কে হালদার এবং তাঁর দুই সহযোগীর জামিন মঞ্জুর করা যায়। সেই কারণে শুক্রবার তাঁরা জামিন পেলেন।

২০২২ সালে পশ্চিমবঙ্গের একটি হোটেল থেকে পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে অর্থ পাচার আইনে পাঁচ সহযোগীসহ তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়।

সূত্র জানায়, পি কে হালদারের সঙ্গে জামিন পেয়েছেন তাঁর সহযোগী স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র এবং উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র। অর্থ পাচারের (মানি লন্ডারিং) মামলায় মোট ১০ লাখ টাকার বন্ডে জামিন পেয়েছেন তাঁরা। ঠিক কী শর্তে তাঁদের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। সাধারণত এ ধরনের ক্ষেত্রে চলাফেরার ওপর নানা ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় এবং আদালতে নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা পুলিশের কাছে দৈনিক বা প্রতি সপ্তাহে অথবা প্রতি মাসে হাজিরা দিতে হয়। এ ছাড়া প্রয়োজনে জামিন পাওয়া ব্যক্তির গতিবিধির ওপর নজর রাখতে পারে পুলিশ।

বাংলাদেশের চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে পি কে হালদার নামে-বেনামে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা বের করে নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। ২০২২ সালের মে মাসে পশ্চিমবঙ্গের রাজারহাটের একটি হোটেল থেকে পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার করে ইডি। পরে নানা জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে হালদারের আরও পাঁচ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়। মোট ছয়জনের মধ্যে আজ জামিন পেলেন তিনজন। অন্য তিনজন হলেন পি কে হালদারের ভাই প্রাণেশ কুমার হালদার, সহযোগী ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদার। এদিকে বাংলাদেশে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে করা দুদকের মামলায় গত বছরের অক্টোবরে পি কে হালদারকে ২২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ভারতে পি কে হালদার ও তাঁর দুই সহযোগীর জামিন

আপডেট সময় : ০৮:৪০:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রত্যাশা ডেস্ক: বাংলাদেশে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অর্থ পাচারের মামলায় জামিন পেয়েছেন। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) পি কে হালদার ছাড়াও তাঁর দুই সহযোগীর জামিন মঞ্জুর করা হয়।

ভারতে আর্থিক দুর্নীতি বিষয়ে তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) বিচারক প্রশান্ত মুখার্জি তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেন। সূত্র জানায়, প্রায় এক বছর শুনানির পর আদালতের মনে হয়েছে, যে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে, তার ভিত্তিতে পি কে হালদার এবং তাঁর দুই সহযোগীর জামিন মঞ্জুর করা যায়। সেই কারণে শুক্রবার তাঁরা জামিন পেলেন।

২০২২ সালে পশ্চিমবঙ্গের একটি হোটেল থেকে পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে অর্থ পাচার আইনে পাঁচ সহযোগীসহ তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়।

সূত্র জানায়, পি কে হালদারের সঙ্গে জামিন পেয়েছেন তাঁর সহযোগী স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র এবং উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র। অর্থ পাচারের (মানি লন্ডারিং) মামলায় মোট ১০ লাখ টাকার বন্ডে জামিন পেয়েছেন তাঁরা। ঠিক কী শর্তে তাঁদের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। সাধারণত এ ধরনের ক্ষেত্রে চলাফেরার ওপর নানা ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় এবং আদালতে নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা পুলিশের কাছে দৈনিক বা প্রতি সপ্তাহে অথবা প্রতি মাসে হাজিরা দিতে হয়। এ ছাড়া প্রয়োজনে জামিন পাওয়া ব্যক্তির গতিবিধির ওপর নজর রাখতে পারে পুলিশ।

বাংলাদেশের চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে পি কে হালদার নামে-বেনামে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা বের করে নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। ২০২২ সালের মে মাসে পশ্চিমবঙ্গের রাজারহাটের একটি হোটেল থেকে পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার করে ইডি। পরে নানা জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে হালদারের আরও পাঁচ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়। মোট ছয়জনের মধ্যে আজ জামিন পেলেন তিনজন। অন্য তিনজন হলেন পি কে হালদারের ভাই প্রাণেশ কুমার হালদার, সহযোগী ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদার। এদিকে বাংলাদেশে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে করা দুদকের মামলায় গত বছরের অক্টোবরে পি কে হালদারকে ২২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।