ঢাকা ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫

গাঁজা সেবনে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে

  • আপডেট সময় : ০৪:১১:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৯৫ বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: গাঁজা সেবন শরীরের কোষ নষ্ট করে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। সম্প্রতি বিজ্ঞানভিত্তিক সাময়িকী অ্যাডিকশন বায়োলজিতে এটি প্রকাশিত হয়। গবেষণাটি করেছে অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার গবেষকরা।
গবেষণায় গাঁজাকে জিনোটক্সিক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। জিনোটক্সিক মানবদেহের ডিএনএর ক্ষতি করে কোষের মিউটেশন ঘটিয়ে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।
গবেষকরা জানান, জিনোটক্সিসিটি একটি ক্ষতিগ্রস্ত ডিম্বাণু এবং শুক্রাণুর মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্ম পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। যা পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যেও গাঁজা সেবনের ঝুঁকি তৈরি করে। গাঁজা কোষের মাইটোকন্ড্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে। এতে কোষের শক্তি কমে যায়। মাইটোকন্ড্রিয়া বাধাগ্রস্ত হওয়ার কারণে ক্রোমোজোম ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। সেইসঙ্গে দ্রুত বার্ধক্য আসে ও সন্তানের জন্মগত ত্রুটি দেখা দিতে পারে।
গবেষণা দলের অংশ ড. স্টুয়ার্ট রিস বলেন, ‘আমরা গাঁজা ব্যবহার এবং জিনোটক্সিসিটির মধ্যে যে সম্পর্ক বর্ণনা করেছি তার সুদূরপ্রসারী পরিণতি রয়েছে। এই নতুন গবেষণাটি দেখায় যে, কীভাবে গাঁজা ব্যবহারের ফলে জিনগত ক্ষতি প্রজন্মের মধ্যে চলে যেতে পারে।’ এর আগেও বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, গাঁজা মাইক্রোনিউক্লিয়ার বিকাশ ও মাইটোকন্ড্রিয়াতে বাধা দেয়।
মানব এবং ইঁদুর উভয়ের ওপর চালানো গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রাপ্তবয়সস্কদের গাঁজা সেবনের কারণে তাদের সন্তানদের মধ্যে অটিজম ও মস্তিষ্ক বিকাশের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

গাঁজা সেবনে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে

আপডেট সময় : ০৪:১১:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: গাঁজা সেবন শরীরের কোষ নষ্ট করে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। সম্প্রতি বিজ্ঞানভিত্তিক সাময়িকী অ্যাডিকশন বায়োলজিতে এটি প্রকাশিত হয়। গবেষণাটি করেছে অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার গবেষকরা।
গবেষণায় গাঁজাকে জিনোটক্সিক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। জিনোটক্সিক মানবদেহের ডিএনএর ক্ষতি করে কোষের মিউটেশন ঘটিয়ে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।
গবেষকরা জানান, জিনোটক্সিসিটি একটি ক্ষতিগ্রস্ত ডিম্বাণু এবং শুক্রাণুর মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্ম পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। যা পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যেও গাঁজা সেবনের ঝুঁকি তৈরি করে। গাঁজা কোষের মাইটোকন্ড্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে। এতে কোষের শক্তি কমে যায়। মাইটোকন্ড্রিয়া বাধাগ্রস্ত হওয়ার কারণে ক্রোমোজোম ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। সেইসঙ্গে দ্রুত বার্ধক্য আসে ও সন্তানের জন্মগত ত্রুটি দেখা দিতে পারে।
গবেষণা দলের অংশ ড. স্টুয়ার্ট রিস বলেন, ‘আমরা গাঁজা ব্যবহার এবং জিনোটক্সিসিটির মধ্যে যে সম্পর্ক বর্ণনা করেছি তার সুদূরপ্রসারী পরিণতি রয়েছে। এই নতুন গবেষণাটি দেখায় যে, কীভাবে গাঁজা ব্যবহারের ফলে জিনগত ক্ষতি প্রজন্মের মধ্যে চলে যেতে পারে।’ এর আগেও বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, গাঁজা মাইক্রোনিউক্লিয়ার বিকাশ ও মাইটোকন্ড্রিয়াতে বাধা দেয়।
মানব এবং ইঁদুর উভয়ের ওপর চালানো গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রাপ্তবয়সস্কদের গাঁজা সেবনের কারণে তাদের সন্তানদের মধ্যে অটিজম ও মস্তিষ্ক বিকাশের সমস্যা দেখা দিতে পারে।