ঢাকা ০১:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

২০ জানুয়ারির আগে জিম্মিদের মুক্তি না দিলে ‘কঠোর আঘাতের হুমকি’ ট্রাম্পের

  • আপডেট সময় : ০৮:২৪:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

২০ জানুয়ারির আগে জিম্মিদের মুক্তি না দিলে ‘কঠোর আঘাতের হুমকি’ ট্রাম্পের

বিদেশের খবর ডেস্ক: দায়িত্ব গ্রহণের আগে জিম্মিদের মুক্তি দিতে হামাসকে হুমকি দিলেন নব নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, এই সত্যটি যেন সংশ্লিষ্টরা যেনে রাখে, যদি ২০ জানুয়ারি, ২০২৫-এর আগে; অর্থাৎ যেদিন আমি গর্বের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করব; তার আগে যদি জিম্মিরা মুক্তি না পায়, তবে মানবতার বিরুদ্ধে নৃশংসতা চালানোর জন্য দায়ীদের এবং মধ্যপ্রাচ্যের জন্য চরম পরিণতি অপেক্ষা করছে।

 

তিনি আরও লেখেন, পুরো বিশ্বের ইচ্ছের বিরুদ্ধে যাদেরকে জিম্মি হিসেবে বন্দি রাখা হয়েছে, তাদের মুক্তির জন্য সবাই সরব; কিন্তু সবাই শুধু কথাই বলছে, কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। এখনই আটককৃতদের মুক্তি দাও অন্যথায় ইতিহাসের কঠোরতম আঘাত করা হবে। এর আগে গত ২৯ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটের সদস্য এবং ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত রিপাবলিকান পার্টির রাজনীতিবিদ লিন্ডসে গ্রাহাম এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, নিজের অভিষেক অনুষ্ঠানের আগেই গাজায় যুদ্ধবিরতি চান ট্রাম্প।

২০২৩ সালে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা। জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী, যা এখনও চলছে।

 

ভয়াবহ এ অভিযানের শুরু থেকে এ পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন প্রায় ৪৪ হাজার ৪০০ ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন আরও এক লক্ষাধিক। এই জিম্মিদের মধ্যে ১০৭ জনকে গত বছর নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ঘোষিত এক অস্থায়ী বিরতিতে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। তারপর গত এক বছরে কয়েক জন জিম্মিকে উদ্ধার করতে পেরেছে ইসরায়েলি বাহিনী, কয়েকজন নিহতও হয়েছেন। বর্তমানে হামাসের কব্জায় ১০১ জন জিম্মি রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

২০ জানুয়ারির আগে জিম্মিদের মুক্তি না দিলে ‘কঠোর আঘাতের হুমকি’ ট্রাম্পের

আপডেট সময় : ০৮:২৪:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বিদেশের খবর ডেস্ক: দায়িত্ব গ্রহণের আগে জিম্মিদের মুক্তি দিতে হামাসকে হুমকি দিলেন নব নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, এই সত্যটি যেন সংশ্লিষ্টরা যেনে রাখে, যদি ২০ জানুয়ারি, ২০২৫-এর আগে; অর্থাৎ যেদিন আমি গর্বের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করব; তার আগে যদি জিম্মিরা মুক্তি না পায়, তবে মানবতার বিরুদ্ধে নৃশংসতা চালানোর জন্য দায়ীদের এবং মধ্যপ্রাচ্যের জন্য চরম পরিণতি অপেক্ষা করছে।

 

তিনি আরও লেখেন, পুরো বিশ্বের ইচ্ছের বিরুদ্ধে যাদেরকে জিম্মি হিসেবে বন্দি রাখা হয়েছে, তাদের মুক্তির জন্য সবাই সরব; কিন্তু সবাই শুধু কথাই বলছে, কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। এখনই আটককৃতদের মুক্তি দাও অন্যথায় ইতিহাসের কঠোরতম আঘাত করা হবে। এর আগে গত ২৯ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটের সদস্য এবং ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত রিপাবলিকান পার্টির রাজনীতিবিদ লিন্ডসে গ্রাহাম এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, নিজের অভিষেক অনুষ্ঠানের আগেই গাজায় যুদ্ধবিরতি চান ট্রাম্প।

২০২৩ সালে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা। জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী, যা এখনও চলছে।

 

ভয়াবহ এ অভিযানের শুরু থেকে এ পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন প্রায় ৪৪ হাজার ৪০০ ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন আরও এক লক্ষাধিক। এই জিম্মিদের মধ্যে ১০৭ জনকে গত বছর নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ঘোষিত এক অস্থায়ী বিরতিতে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। তারপর গত এক বছরে কয়েক জন জিম্মিকে উদ্ধার করতে পেরেছে ইসরায়েলি বাহিনী, কয়েকজন নিহতও হয়েছেন। বর্তমানে হামাসের কব্জায় ১০১ জন জিম্মি রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।