ঢাকা ১২:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতে মন্দিরের খোঁজে মসজিদ ভেঙে ফেলার চেষ্টা চলছে : মেহবুবা মুফতি

  • আপডেট সময় : ০৮:৪২:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

বিদেশের খবর ডেস্ক : ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়সহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের অভিযোগ বেশ পুরোনো। দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি অতীতে বহুবারই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই ধরনের অভিযোগের সম্মুখীন হয়েছে। আর এবার ভারতে মুসলিমদের দুর্দশা নিয়ে সরব হয়েছেন ভারতশাসিত কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। তিনি বলেছেন, ভারতে মন্দিরের সন্ধানে মসজিদ ভেঙে ফেলার চেষ্টা চলছে। ১৯৪৭ সালে যে অবস্থা ছিল, আমাদের সেই দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। রোববার (১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। ভারতে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (পিডিপি) প্রধান মেহবুবা মুফতি জম্মুতে সাংবাদিকদের বলেন, “…আজ আমি ভয় পাচ্ছি, ১৯৪৭ সালে যে পরিস্থিতি ছিল, আমাদের সেই দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তরুণরা চাকরির কথা বললেও তারা তা পাচ্ছে না। আমাদের ভালো হাসপাতাল, শিক্ষা নেই। তারা রাস্তার অবস্থার কোনও উন্নতি করছে না কিন্তু মন্দিরের সন্ধানে মসজিদ ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছে।” সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের সামভালে মুঘল আমলের একটি প্রাচীন মসজিদে ‘সার্ভে’ বা সমীক্ষা করানোর নির্দেশকে ঘিরে স্থানীয় জনতা ও পুলিশের মধ্যে দফায় দফায় তীব্র সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। সহিংসতায় আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। ঘটনার পর গোটা এলাকায় তীব্র সাম্প্রদায়িক উত্তেজনাও ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। শহরের যে মসজিদটিকে ঘিরে এই বিরোধ দেখা দিয়েছে সেটি ‘শাহী জামা মসজিদ’ নামে পরিচিত। কট্টর হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলোর দাবি, প্রাচীন একটি হিন্দু মন্দির ভেঙেই এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল, ওই ভবনের স্থাপত্যে নাকি এখনও তার প্রমাণ রয়েছে। মেহবুবা মুফতি রাজস্থানের আজমীরে অবস্থিত বিখ্যাত সুফি সাধক মঈনুদ্দিন চিশতির দরগাহ নিয়েও একই ধরনের বিতর্ক তুলে ধরেন। মূলত আজমীর শরিফের নিচে মন্দির আছে এমন দাবি করে আদালতে পিটিশন দায়ের করেছে কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন হিন্দু সেনা। গত সেপ্টেম্বরে এই পিটিশন দায়ের করার পর আজমীরের একটি আদালত দাবিটি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে দায়ের করা ওই পিটিশনে আদালতকে আবার আজমীর শরিফে পূজা করার অনুমতি দিতেও বলা হয়েছে। কাশ্মিরের সাবেক এই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আজমীর শরিফে সকল ধর্মের লোকেরা প্রার্থনা করে এবং এটি ভ্রাতৃত্বের সবচেয়ে বড় উদাহরণ। এখন তারা সেখানে মন্দিরের সন্ধান পেতে খনন করার চেষ্টা করছে।” এসময় মেহবুবা মুফতি সংখ্যালঘু ইস্যুতে ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশ নিয়েও মন্তব্য করেন।
র্

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ভারতে মন্দিরের খোঁজে মসজিদ ভেঙে ফেলার চেষ্টা চলছে : মেহবুবা মুফতি

আপডেট সময় : ০৮:৪২:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪

বিদেশের খবর ডেস্ক : ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়সহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের অভিযোগ বেশ পুরোনো। দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি অতীতে বহুবারই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই ধরনের অভিযোগের সম্মুখীন হয়েছে। আর এবার ভারতে মুসলিমদের দুর্দশা নিয়ে সরব হয়েছেন ভারতশাসিত কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। তিনি বলেছেন, ভারতে মন্দিরের সন্ধানে মসজিদ ভেঙে ফেলার চেষ্টা চলছে। ১৯৪৭ সালে যে অবস্থা ছিল, আমাদের সেই দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। রোববার (১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। ভারতে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (পিডিপি) প্রধান মেহবুবা মুফতি জম্মুতে সাংবাদিকদের বলেন, “…আজ আমি ভয় পাচ্ছি, ১৯৪৭ সালে যে পরিস্থিতি ছিল, আমাদের সেই দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তরুণরা চাকরির কথা বললেও তারা তা পাচ্ছে না। আমাদের ভালো হাসপাতাল, শিক্ষা নেই। তারা রাস্তার অবস্থার কোনও উন্নতি করছে না কিন্তু মন্দিরের সন্ধানে মসজিদ ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছে।” সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের সামভালে মুঘল আমলের একটি প্রাচীন মসজিদে ‘সার্ভে’ বা সমীক্ষা করানোর নির্দেশকে ঘিরে স্থানীয় জনতা ও পুলিশের মধ্যে দফায় দফায় তীব্র সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। সহিংসতায় আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। ঘটনার পর গোটা এলাকায় তীব্র সাম্প্রদায়িক উত্তেজনাও ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। শহরের যে মসজিদটিকে ঘিরে এই বিরোধ দেখা দিয়েছে সেটি ‘শাহী জামা মসজিদ’ নামে পরিচিত। কট্টর হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলোর দাবি, প্রাচীন একটি হিন্দু মন্দির ভেঙেই এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল, ওই ভবনের স্থাপত্যে নাকি এখনও তার প্রমাণ রয়েছে। মেহবুবা মুফতি রাজস্থানের আজমীরে অবস্থিত বিখ্যাত সুফি সাধক মঈনুদ্দিন চিশতির দরগাহ নিয়েও একই ধরনের বিতর্ক তুলে ধরেন। মূলত আজমীর শরিফের নিচে মন্দির আছে এমন দাবি করে আদালতে পিটিশন দায়ের করেছে কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন হিন্দু সেনা। গত সেপ্টেম্বরে এই পিটিশন দায়ের করার পর আজমীরের একটি আদালত দাবিটি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে দায়ের করা ওই পিটিশনে আদালতকে আবার আজমীর শরিফে পূজা করার অনুমতি দিতেও বলা হয়েছে। কাশ্মিরের সাবেক এই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আজমীর শরিফে সকল ধর্মের লোকেরা প্রার্থনা করে এবং এটি ভ্রাতৃত্বের সবচেয়ে বড় উদাহরণ। এখন তারা সেখানে মন্দিরের সন্ধান পেতে খনন করার চেষ্টা করছে।” এসময় মেহবুবা মুফতি সংখ্যালঘু ইস্যুতে ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশ নিয়েও মন্তব্য করেন।
র্