বিদেশের খবর ডেস্ক : কূটনৈতিক উপায়ে রুশ নিয়ন্ত্রণে থাকা অঞ্চলগুলো ফিরে পেতে চায় ইউক্রেন। গতকাল সোমবার (২ ডিসেম্বর) জাপানের কিয়োডো নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ কথা বলেছেন। তুরস্ক ভিত্তিক বার্তাসংস্থা আনাদোলু এজেন্সি এ খবর জানিয়েছে। তিনি বলেছেন, আমাদের সেনাবাহিনী ক্রিমিয়ার মতো এলাকা পুনর্দখল করার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী নয়। এটিই বাস্তবতা। তাই আমাদের কূটনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। কিয়েভের মিত্রদের সমর্থন পর্যাপ্ত নয় বলে উল্লেখ করে জেলেনস্কি ন্যাটোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করা উচিত। ২০২২ সালে শুরু হওয়া যুদ্ধ এখন একটি জটিল পর্যায়ে প্রবেশ করেছে উল্লেখ করে জেলেনস্কি দাবি করেছেন, প্রায় ১২ হাজার উত্তর কোরীয় সেনা রাশিয়ার কুরস্ক সীমান্ত অঞ্চলে মোতায়েন রয়েছে। উল্লেখ্য, আগস্টে কুরস্কে অনুপ্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালিয়েছিল ইউক্রেন। জেলেনস্কি জোর দিয়ে বলেছেন, উত্তর কোরীয় সেনাদের ব্যবহার করে নিজেদের ক্ষতি কমানোর চেষ্টা করছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। সামনের সারিতে উত্তর কোরীয় সেনাদের হতাহতের তথ্য পেয়েছেন দাবি করলেও তবে নির্দিষ্ট সংখ্যা প্রকাশ করেননি জেলেনস্কি। তিনি আরও বলেন, নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার হবু প্রশাসন ইউক্রেনের অবস্থান ও ‘জয়ের পরিকল্পনা’ সম্পর্কে অবগত। তার দল ওই পরিকল্পনার বিষয়বস্তু পর্যালোচনা করছে। তবে ইউক্রেন আত্মসমর্পণ করবে না দাবি করে জেলেনস্কি বলেছেন, কিছু বিষয় আরও বিস্তারিতভাবে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করতে আগ্রহী তিনি। ২০১৪ সালে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়েছিল। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করার মাধ্যমে তার তীব্রতা বৃদ্ধি পায়।