ঢাকা ০৭:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিলের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ, গ্রেপ্তার ২

  • আপডেট সময় : ০১:২৭:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১০৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : শতাধিক গ্রাহকের বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিলের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই সেবা সরবরাহকারী সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন। এরা হলেন- ডেসকোর মিরপুরের মনিপুর বিল সংগ্রহে নিয়োজিত মামুন (৩২) ও তিতাসের রকিবুল ইসলাম রাকিব (৩২)। তারা ‘আউটসোর্সিং’ কর্মী।
গত সোমবার রাতে তাদেরকে রাজধানীর মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক মো. আশরাফুজ্জামান। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, মিরপুরের মনিপুরের একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্থানীয় গ্রাহকরা বিদ্যুত ও গ্যাসের বিল দিতেন। কিন্তু ২০১৯ সালের মে মাস থেকে ২০২০ সালে ডিসেম্বর পর্যন্ত গ্রাহকদের ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা জমা হয়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানুয়ারির শেষের দিকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার উদ্যোগ নিলে এলাকায় বিক্ষোভ হয়। এই ঘটনায় প্রতারণার অভিযোগ এনে গত ২ ফেব্রুয়ারি গ্রাহকদের পক্ষে নাসির উদ্দিন নামে একজন মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন বলে জানান আশরাফুজ্জামান। মামলার পরই ওই প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে কর্ণধার ওমর ফারুক আত্মগোপন করেন। পরে চট্টগ্রামের সীতাকু- থেকে গত ৭ জুন তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। মামলাটির থানা পুলিশ তদন্তকালীন গত ১৫ এপ্রিল পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে পিবিআই তদন্তের দায়িত্ব পায় বলে জানিয়ে পরিদর্শক আশরাফুজ্জামান বলেন, প্রায় এক মাস আগে ওমর ফারুকের অফিস সহকারি ইমরান হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ওমর ফারুককে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে টাকা আত্মসাৎ করার কথা স্বীকার করে।
“একই সাথে ডেসকোর মিরপুরের মনিপুর এলাকার সুপারভাইজার মো. মামুন এবং তিতাসের একই এলাকার সুপারভাইজার মো. রকিবুল ইসলাম রাকিব তাকে সহায়তা করত বলে জানায়। এদের নিয়ে এই ঘটনায় করা মামলায় মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হলো বলে আশরাফুজ্জামান জানান। এ পর্যন্ত তাদের প্রতারণার শিকার ১১৬ জন গ্রাহকের তালিকা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “গ্রাহকের সংখ্যা এবং টাকা অংক বাড়তে পারে।”

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদন: এপ্রিলে সড়কে ৫৯৩ দুর্ঘটনায় ৫৮৮ জনের প্রাণহানি

বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিলের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ, গ্রেপ্তার ২

আপডেট সময় : ০১:২৭:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : শতাধিক গ্রাহকের বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিলের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই সেবা সরবরাহকারী সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন। এরা হলেন- ডেসকোর মিরপুরের মনিপুর বিল সংগ্রহে নিয়োজিত মামুন (৩২) ও তিতাসের রকিবুল ইসলাম রাকিব (৩২)। তারা ‘আউটসোর্সিং’ কর্মী।
গত সোমবার রাতে তাদেরকে রাজধানীর মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক মো. আশরাফুজ্জামান। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, মিরপুরের মনিপুরের একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্থানীয় গ্রাহকরা বিদ্যুত ও গ্যাসের বিল দিতেন। কিন্তু ২০১৯ সালের মে মাস থেকে ২০২০ সালে ডিসেম্বর পর্যন্ত গ্রাহকদের ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা জমা হয়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানুয়ারির শেষের দিকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার উদ্যোগ নিলে এলাকায় বিক্ষোভ হয়। এই ঘটনায় প্রতারণার অভিযোগ এনে গত ২ ফেব্রুয়ারি গ্রাহকদের পক্ষে নাসির উদ্দিন নামে একজন মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন বলে জানান আশরাফুজ্জামান। মামলার পরই ওই প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে কর্ণধার ওমর ফারুক আত্মগোপন করেন। পরে চট্টগ্রামের সীতাকু- থেকে গত ৭ জুন তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। মামলাটির থানা পুলিশ তদন্তকালীন গত ১৫ এপ্রিল পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে পিবিআই তদন্তের দায়িত্ব পায় বলে জানিয়ে পরিদর্শক আশরাফুজ্জামান বলেন, প্রায় এক মাস আগে ওমর ফারুকের অফিস সহকারি ইমরান হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ওমর ফারুককে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে টাকা আত্মসাৎ করার কথা স্বীকার করে।
“একই সাথে ডেসকোর মিরপুরের মনিপুর এলাকার সুপারভাইজার মো. মামুন এবং তিতাসের একই এলাকার সুপারভাইজার মো. রকিবুল ইসলাম রাকিব তাকে সহায়তা করত বলে জানায়। এদের নিয়ে এই ঘটনায় করা মামলায় মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হলো বলে আশরাফুজ্জামান জানান। এ পর্যন্ত তাদের প্রতারণার শিকার ১১৬ জন গ্রাহকের তালিকা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “গ্রাহকের সংখ্যা এবং টাকা অংক বাড়তে পারে।”