ক্রীড়া ডেস্ক: লিভারপুলের বিপক্ষে সাদামাটা পারফরম্যান্স ও হারের ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়াল রিয়াল মাদ্রিদ। গেতাফে একটু চ্যালেঞ্জ জানালেও ভাগ্য তাদের সহায় হয়নি। দারুণ জয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার সঙ্গে ব্যবধান কমাল কার্লো আনচেলত্তির দল। সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে রোববার লা লিগার ম্যাচটি ২-০ গোলে জিতেছে রেয়াল। জুড বেলিংহ্যাম দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান বাড়িয়েছেন কিলিয়ান এমবাপে। ১৪ ম্যাচে ১০ জয় ও তিন ড্রয়ে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে রিয়াল। ১ পয়েন্ট কম নিয়ে তিন নম্বরে ১৫ ম্যাচ খেলা আতলেতিকো মাদ্রিদ। আতলেতিকোর সমান ১৫ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বার্সেলোনা। ম্যাচের শুরু থেকে বল দখলে একচেটিয়া আধিপত্য করলেও, আক্রমণে তেমন সুবিধা করতে পারছিল না রিয়াল। প্রথম ২৫ মিনিটে গোলের জন্য তারা একটি শট নিলেও সেটা লক্ষ্যে ছিল না। একটি কর্নারের ফলশ্রুতিতে ৩০তম মিনিটে গোলের দুয়ার খুলতে পারে রিয়াল। বক্সে আন্টোনিও রুডিগার ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় তারা। চার দিন আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লিভারপুলের মাঠে ২-০ গোলে হারের ম্যাচে দুর্বল স্পট কিকে হতাশ করা কিলিয়ান এমবাপে এবার শট নেননি, বুদ্ধিদীপ্ত শটে দলকে এগিয়ে নেন বেলিংহ্যাম। সমালোচনার মুখে থাকা এমবাপে আট মিনিট পর অসাধারণ নৈপুণ্যে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। বেলিংহ্যামের থ্রু পাস ধরে, একজনের বাধা এড়িয়ে অনেক দূর থেকে জোরাল শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ফরাসি তারকা। বল দূরের পোস্টে লেগে জালে জড়ায়।
এবারের লা লিগায় এমবাপের গোল হলো আটটি, ভিনিসিউসের সমান। ৫৩তম মিনিটে এমবাপেকে পাস দিয়ে দ্রুত বক্সে ঢুকে পড়েন ব্রাহিম দিয়াস। বিশ্বকাপজয়ী ফরোয়ার্ড চমৎকার চিপে সতীর্থকে ফিরতি পাস দেন; কিন্তু গোলমুখে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গোলরক্ষককে ফাঁকি দিতে গিয়ে বাইরে মারেন দিয়াস। তিন মিনিট পর পাল্টা আঘাত হানতে পারতো গেতাফে। কিন্তু বক্সে স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড কার্লেস পেরেসের একজনকে কাটিয়ে নেওয়া শট পোস্টে বাধা পায়। ৭২তম মিনিটে ব্যবধান বাড়তে পারতো আরও। তবে ফেদে ভালভের্দের দূর থেকে নেওয়া শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক। দ্ইু মিনিট পর সুবর্ণ সুযোগ তৈরি করেও নষ্ট করেন এমবাপে; তার গোলরক্ষককে কটিয়ে নেওয়া শট দূরের পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। শেষ দিকে আবারও দুর্ভাগ্য বাধা হয়ে দাঁড়ায় গেতাফের সামনে। ৮৪তম মিনিটে মিডফিল্ডার জন প্যাট্রিকের জোরাল শট ক্রসবার হয়ে পোস্টে লাগে। এর আগে ৭৭তম মিনিটে অসাধারণ এক সেভ করেন গেতাফে গোলরক্ষক। বক্সের মধ্যে থেকে এমবাপের বুলেট গতির শট দারুণ ক্ষীপ্রতায় ঝাঁপিয়ে আটকান দাভিদ সোরিয়া। যোগ করা সময়ে ফের ভীতি ছড়ান এমবাপে, এবার তার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে ব্যবধান আর বাড়েনি।