ঢাকা ০৮:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অনলাইনে আয়কর দেওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায়

  • আপডেট সময় : ০৪:৫২:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ১১ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : বছরে করযোগ্য আয় থাকলে অবশ্যই কর দিতে হবে। সময়মতো কর না দিলে জরিমানা সহ নানা ঝামেলায় পড়তে পারেন। জমি রেজিস্ট্রি থেকে শুরু করে ইউটিলিটি সংযোগ, ক্রেডিট কার্ডসহ ৩৮টি পরিষেবা পেতে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক।
বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী যাদের ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর বা টিআইএন রয়েছে তাদের জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক। তবে রিটার্ন দাখিল করলেই যে আয়কর দিতে হবে তা নয়। কারো আয় যদি করযোগ্য না হয় তাহলে কর দেওয়ার প্রয়োজন নেই, শুধু রিটার্ন জমা দিলেই হবে।
নির্দিষ্ট সময় আয়কর জমা না দিলে জরিমানাসহ বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হতে পারে। জমি নিবন্ধন থেকে শুরু করে ইউটিলিটি সংযোগ, ক্রেডিট কার্ডসহ ৪৪টি সেবা পেতে আয়কর রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক। যাদের টিআইএন নম্বর আছে, তাদের অবশ্যই আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হবে। তবে বাৎসরিক আয় করযোগ্য না হলে কর দিতে হবে না। আপনার করযোগ্য আয় নেই কিন্তু টিন সার্টিফিকেট আছে তাহলে আপনি জিরো রিটার্ন সাবমিট করুন। প্রতি অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এই পাঁচ মাস জরিমানা ছাড়া বার্ষিক আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া যায়। এজন্য আপনাকে কারো কাছে যেতে হবে না। ঘরে বসে নিজের ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ কম্পিউটার থেকেই দিতে পারবেন। জেনে নিন উপায়- > অনলাইনে রিটার্ন জমা দিতে প্রথমে বঃধীহনৎ.মড়া.নফ লিঙ্ক বা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান। > এবার এখান থেকে ই-রিটার্ন অপশন সিলেক্ট করুন। > এবার এখানে থাকা ‘গাইডলাইন’ অপশনে গিয়ে গাইডলাইনগুলো ভালোভাবে পড়ে নিন। > আগে থেকেই অ্যাকাউন্ট করা থাকলে সেটি লগ ইন করুন। না থাকলে রেজিস্ট্রেশন অপশনে ক্লিক করে অ্যাকাউন্ট করে নিন। > আপনার টিন নম্বর, মোবাইল নম্বর ও একটি ক্যাপচা থাকবে সঠিকভাবে দিয়ে ভেরিফাই অপশনে ক্লিক করে দিন। > আপনার দেওয়া ফোন নম্বরে যে ওটিপি কোড যাবে সেটি এবার বসিয়ে একটি নতুন পাসওয়ার্ড দিয়ে দিন। নতুন পাসওয়ার্ডটি আবার দিয়ে সাবমিট করুন। > এরপর লগইন করলেই একটি ইন্টারফেস পাবেন। যেখানে আপনার নাম ঠিকানাসহ বিভিন্ন তথ্য দিয়ে পূরণ করে সেভ অ্যান্ড কন্টিনিউ দিলেই একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে। > এখন নিজের টিআইএন এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে যে কোনো সময় যে কোনো জায়গা থেকে অ্যাকাউন্ট সাইন ইন করতে পারবেন। > নিবন্ধন হয়ে গেলে সাইন-ইন করুন এবং বামে উপরে থাকা রিটার্ন সাবমিশন অপশনে গেলেই একটি ফরম আসবে। আপনার সব তথ্য দিয়ে ফরম পূরণ করুন। > এভাবে পরের স্টেপগুলোতে আসা ফরমগুলো পূরণ করুন। আপনার ইনকাম সোর্সগুলো সঠিকভাবে বাছাই করুন বা লিখে দিন। তাহলে পরের স্টেপে পাবেন ট্যাক্স অ্যান্ড পেমেন্ট নামের একটি পেজ। সেখানে আপনাকে কত টাকা ট্যাক্স দিতে হবে সেটিও দেখতে পাবেন। > রেগুলার ই-রিটার্নে ক্লিক করুন। এখানেই আপনার চাকরি, বেতন, সারাবছরের আয়, ব্যয়, সম্পদ একের পর এক ফ্রম আসবে সঠিক ভাবে তথ্য যুক্ত করুন। এখানে সেভ অ্যান্ড কন্টিনিউ দিয়ে পরবর্তী পেজে যেতে হবে। এতে আপনি তথ্য সংশোধন এবং পরিবর্তনের সুযোগ পাবেন। > যাদের ট্যাক্স দিতে হবে তারা পে নাও অপশনে যান। এখানে আপনি কীভাবে ট্যাক্সের টাকা পরিশোধ করতে চান তার বিভিন্ন অপশন পাবেন। এরপর সেখানে গিয়ে পেমেন্ট করে দিন। আর জিরো রিটার্ন হলে সাবমিট করুন। > সবশেষে আপনার রিটার্ন ও ট্যাক্স জমা দেওয়ার স্লিপ ও সার্টিফিকেট ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করুন। আপনার হোম পেজের উপরের বামেই সার্টিফিকেট, রিটার্ন ফরম সবকিছু পেয়ে যাবেন।

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ভারতে মন্দিরের খোঁজে মসজিদ ভেঙে ফেলার চেষ্টা চলছে : মেহবুবা মুফতি

অনলাইনে আয়কর দেওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায়

আপডেট সময় : ০৪:৫২:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রযুক্তি ডেস্ক : বছরে করযোগ্য আয় থাকলে অবশ্যই কর দিতে হবে। সময়মতো কর না দিলে জরিমানা সহ নানা ঝামেলায় পড়তে পারেন। জমি রেজিস্ট্রি থেকে শুরু করে ইউটিলিটি সংযোগ, ক্রেডিট কার্ডসহ ৩৮টি পরিষেবা পেতে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক।
বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী যাদের ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর বা টিআইএন রয়েছে তাদের জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক। তবে রিটার্ন দাখিল করলেই যে আয়কর দিতে হবে তা নয়। কারো আয় যদি করযোগ্য না হয় তাহলে কর দেওয়ার প্রয়োজন নেই, শুধু রিটার্ন জমা দিলেই হবে।
নির্দিষ্ট সময় আয়কর জমা না দিলে জরিমানাসহ বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হতে পারে। জমি নিবন্ধন থেকে শুরু করে ইউটিলিটি সংযোগ, ক্রেডিট কার্ডসহ ৪৪টি সেবা পেতে আয়কর রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক। যাদের টিআইএন নম্বর আছে, তাদের অবশ্যই আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হবে। তবে বাৎসরিক আয় করযোগ্য না হলে কর দিতে হবে না। আপনার করযোগ্য আয় নেই কিন্তু টিন সার্টিফিকেট আছে তাহলে আপনি জিরো রিটার্ন সাবমিট করুন। প্রতি অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এই পাঁচ মাস জরিমানা ছাড়া বার্ষিক আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া যায়। এজন্য আপনাকে কারো কাছে যেতে হবে না। ঘরে বসে নিজের ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ কম্পিউটার থেকেই দিতে পারবেন। জেনে নিন উপায়- > অনলাইনে রিটার্ন জমা দিতে প্রথমে বঃধীহনৎ.মড়া.নফ লিঙ্ক বা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান। > এবার এখান থেকে ই-রিটার্ন অপশন সিলেক্ট করুন। > এবার এখানে থাকা ‘গাইডলাইন’ অপশনে গিয়ে গাইডলাইনগুলো ভালোভাবে পড়ে নিন। > আগে থেকেই অ্যাকাউন্ট করা থাকলে সেটি লগ ইন করুন। না থাকলে রেজিস্ট্রেশন অপশনে ক্লিক করে অ্যাকাউন্ট করে নিন। > আপনার টিন নম্বর, মোবাইল নম্বর ও একটি ক্যাপচা থাকবে সঠিকভাবে দিয়ে ভেরিফাই অপশনে ক্লিক করে দিন। > আপনার দেওয়া ফোন নম্বরে যে ওটিপি কোড যাবে সেটি এবার বসিয়ে একটি নতুন পাসওয়ার্ড দিয়ে দিন। নতুন পাসওয়ার্ডটি আবার দিয়ে সাবমিট করুন। > এরপর লগইন করলেই একটি ইন্টারফেস পাবেন। যেখানে আপনার নাম ঠিকানাসহ বিভিন্ন তথ্য দিয়ে পূরণ করে সেভ অ্যান্ড কন্টিনিউ দিলেই একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে। > এখন নিজের টিআইএন এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে যে কোনো সময় যে কোনো জায়গা থেকে অ্যাকাউন্ট সাইন ইন করতে পারবেন। > নিবন্ধন হয়ে গেলে সাইন-ইন করুন এবং বামে উপরে থাকা রিটার্ন সাবমিশন অপশনে গেলেই একটি ফরম আসবে। আপনার সব তথ্য দিয়ে ফরম পূরণ করুন। > এভাবে পরের স্টেপগুলোতে আসা ফরমগুলো পূরণ করুন। আপনার ইনকাম সোর্সগুলো সঠিকভাবে বাছাই করুন বা লিখে দিন। তাহলে পরের স্টেপে পাবেন ট্যাক্স অ্যান্ড পেমেন্ট নামের একটি পেজ। সেখানে আপনাকে কত টাকা ট্যাক্স দিতে হবে সেটিও দেখতে পাবেন। > রেগুলার ই-রিটার্নে ক্লিক করুন। এখানেই আপনার চাকরি, বেতন, সারাবছরের আয়, ব্যয়, সম্পদ একের পর এক ফ্রম আসবে সঠিক ভাবে তথ্য যুক্ত করুন। এখানে সেভ অ্যান্ড কন্টিনিউ দিয়ে পরবর্তী পেজে যেতে হবে। এতে আপনি তথ্য সংশোধন এবং পরিবর্তনের সুযোগ পাবেন। > যাদের ট্যাক্স দিতে হবে তারা পে নাও অপশনে যান। এখানে আপনি কীভাবে ট্যাক্সের টাকা পরিশোধ করতে চান তার বিভিন্ন অপশন পাবেন। এরপর সেখানে গিয়ে পেমেন্ট করে দিন। আর জিরো রিটার্ন হলে সাবমিট করুন। > সবশেষে আপনার রিটার্ন ও ট্যাক্স জমা দেওয়ার স্লিপ ও সার্টিফিকেট ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করুন। আপনার হোম পেজের উপরের বামেই সার্টিফিকেট, রিটার্ন ফরম সবকিছু পেয়ে যাবেন।