ঢাকা ১০:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১০ জনের দল নিয়ে বায়ার্নের কাছে আবার হারল পিএসজি

  • আপডেট সময় : ০৬:১৯:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক: গোলরক্ষকের দুর্বলতায় পিছিয়ে পড়া পিএসজি বিরতির পর খেল আরও বড় ধাক্কা। লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লেন উসমান দেম্বেলে। আক্রমণভাগের সেরা খেলোয়াড়কে হারিয়ে, একজন কম নিয়ে আর পেরে উঠল না ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। হাইভোল্টেজ ম্যাচটি জিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পয়েন্ট টেবিলের উপরের দিকে অবস্থান কিছুটা মজবুত করল বায়ার্ন মিউনিখ। আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় মঙ্গলবার রাতে ১-০ গোলে জিতেছে জার্মান জায়ান্টরা। ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন কিম মিন-জে। নিজ নিজ ঘরোয়া লিগে দুই দলই অপরাজেয় পথচলা ধরে রেখেছে। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কারোর পথচলাই ঠিক সুখকর হচ্ছে না। এখানে জিতে বায়ার্ন অবশ্য সাফল্যের পাল্লা ভারি করতে পারল, বিপরীতে পিএসজির হতাশাময় যাত্রা আরও দীর্ঘ হলো। পাঁচ ম্যাচে তিন জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে ১১ নম্বরে উঠেছে ভিনসেন্ট কোম্পানির দল বায়ার্ন। তৃতীয় হারের স্বাদ পাওয়া পিএসজি একটি করে জয় ও ড্রয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে নেমে গেছে ২৬ নম্বরে। প্রথমার্ধে বেশিরভাগ সময় বল দখলে রাখা বায়ার্ন আক্রমণেও আধিপত্য করে। প্রথম পরিষ্কার সুযোগ পায় তারাই। সপ্তম মিনিটে কাছ থেকে জামাল মুসিয়ালার শট ঝাঁপিয়ে রুখে দেন গোলরক্ষক। ২৮তম মিনিটে ফের প্রতিপক্ষের রক্ষণে ভীতি ছড়ায় বায়ার্ন। দারুণ ড্রিবলিংয়ে একাধিক খেলোয়াড়কে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন কিংসলে কোমান।
পাল্টা আক্রমণে পরের মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত পিএসজি; কিন্তু বক্সে ফাঁকায় বল পেয়েও লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন ওয়ারেন জাইরে-এমেরি। খানিক বাদে দেম্বেলের কোনাকুনি শট ঝাঁপিয়ে আটকে জাল অক্ষত রাখেন মানুয়েল নয়ার। এরপরই এগিয়ে যায় বায়ার্ন। ৩৮তম মিনিটে কর্নার থেকে গোলমুখে উড়ে আসা বলের উচ্চতায় লাফিয়ে ক্লিযার করতে পারেননি পিএসজি গোলরক্ষক, ফাঁকায় বল পেয়ে হেডে জালে পাঠান দক্ষিণ কোরিয়ার ডিফেন্ডার মিন-জে। ৫৬তম মিনিটে বড় ধাক্কাটা খায় পিএসজি। আলফুঁস ডেভিসকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন দেম্বেলে। ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে হলুদ কার্ড দেখেন আশরাফ হাকিমিও। ১০ জনের দল নিয়ে আর সেভাবে লড়াই করতে পারেনি পিএসজি। প্রবল চাপ তৈরি করে বায়ার্ন। ৭৪তম মিনিটে মুসিয়ালার একটি শট গোলরক্ষকের হাত ছুঁয়ে পোস্টে লাগে। শেষ দিকে কিছুটা মরিয়া হয়ে উঠতে দেখা যায় পিএসজিকে। বায়ার্নও রক্ষণে মনোযোগ দেয়। তাই কয়েক মিনিট স্বাগতিকদের বক্সের আশেপাশে বল থাকলেও স্কোরলাইনে পরিবর্তন আসার মতো তেমন কিছুই হয়নি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্নের বিপক্ষে এই নিয়ে টানা চার ম্যাচে হারল পিএসজি। এই চার ম্যাচের একটিতেও জালের দেখা পায়নি তারা।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ঋণ পরিশোধে ৮ বছর সময় পাবেন আমদানিকারকরা

১০ জনের দল নিয়ে বায়ার্নের কাছে আবার হারল পিএসজি

আপডেট সময় : ০৬:১৯:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

ক্রীড়া ডেস্ক: গোলরক্ষকের দুর্বলতায় পিছিয়ে পড়া পিএসজি বিরতির পর খেল আরও বড় ধাক্কা। লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লেন উসমান দেম্বেলে। আক্রমণভাগের সেরা খেলোয়াড়কে হারিয়ে, একজন কম নিয়ে আর পেরে উঠল না ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। হাইভোল্টেজ ম্যাচটি জিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পয়েন্ট টেবিলের উপরের দিকে অবস্থান কিছুটা মজবুত করল বায়ার্ন মিউনিখ। আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় মঙ্গলবার রাতে ১-০ গোলে জিতেছে জার্মান জায়ান্টরা। ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন কিম মিন-জে। নিজ নিজ ঘরোয়া লিগে দুই দলই অপরাজেয় পথচলা ধরে রেখেছে। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কারোর পথচলাই ঠিক সুখকর হচ্ছে না। এখানে জিতে বায়ার্ন অবশ্য সাফল্যের পাল্লা ভারি করতে পারল, বিপরীতে পিএসজির হতাশাময় যাত্রা আরও দীর্ঘ হলো। পাঁচ ম্যাচে তিন জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে ১১ নম্বরে উঠেছে ভিনসেন্ট কোম্পানির দল বায়ার্ন। তৃতীয় হারের স্বাদ পাওয়া পিএসজি একটি করে জয় ও ড্রয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে নেমে গেছে ২৬ নম্বরে। প্রথমার্ধে বেশিরভাগ সময় বল দখলে রাখা বায়ার্ন আক্রমণেও আধিপত্য করে। প্রথম পরিষ্কার সুযোগ পায় তারাই। সপ্তম মিনিটে কাছ থেকে জামাল মুসিয়ালার শট ঝাঁপিয়ে রুখে দেন গোলরক্ষক। ২৮তম মিনিটে ফের প্রতিপক্ষের রক্ষণে ভীতি ছড়ায় বায়ার্ন। দারুণ ড্রিবলিংয়ে একাধিক খেলোয়াড়কে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন কিংসলে কোমান।
পাল্টা আক্রমণে পরের মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত পিএসজি; কিন্তু বক্সে ফাঁকায় বল পেয়েও লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন ওয়ারেন জাইরে-এমেরি। খানিক বাদে দেম্বেলের কোনাকুনি শট ঝাঁপিয়ে আটকে জাল অক্ষত রাখেন মানুয়েল নয়ার। এরপরই এগিয়ে যায় বায়ার্ন। ৩৮তম মিনিটে কর্নার থেকে গোলমুখে উড়ে আসা বলের উচ্চতায় লাফিয়ে ক্লিযার করতে পারেননি পিএসজি গোলরক্ষক, ফাঁকায় বল পেয়ে হেডে জালে পাঠান দক্ষিণ কোরিয়ার ডিফেন্ডার মিন-জে। ৫৬তম মিনিটে বড় ধাক্কাটা খায় পিএসজি। আলফুঁস ডেভিসকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন দেম্বেলে। ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে হলুদ কার্ড দেখেন আশরাফ হাকিমিও। ১০ জনের দল নিয়ে আর সেভাবে লড়াই করতে পারেনি পিএসজি। প্রবল চাপ তৈরি করে বায়ার্ন। ৭৪তম মিনিটে মুসিয়ালার একটি শট গোলরক্ষকের হাত ছুঁয়ে পোস্টে লাগে। শেষ দিকে কিছুটা মরিয়া হয়ে উঠতে দেখা যায় পিএসজিকে। বায়ার্নও রক্ষণে মনোযোগ দেয়। তাই কয়েক মিনিট স্বাগতিকদের বক্সের আশেপাশে বল থাকলেও স্কোরলাইনে পরিবর্তন আসার মতো তেমন কিছুই হয়নি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্নের বিপক্ষে এই নিয়ে টানা চার ম্যাচে হারল পিএসজি। এই চার ম্যাচের একটিতেও জালের দেখা পায়নি তারা।