নারী ও শিশু ডেস্ক: খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) এলাকায় টিকাদান ক্যাম্পেইনের অগ্রগতি পর্যালোচনায় বক্তারা বলেন, জরায়ুমুখ ক্যানসারে দেশে প্রতি বছর প্রায় ৬ হাজার ৫৮২ নারীর মৃত্যু হচ্ছে। বিশ্বে প্রতি দেড় মিনিটে একজন নারী জরায়ুমুখ ক্যানসারে মারা যান। বাংলাদেশে প্রতি লাখ নারীর মধ্যে ১১ জন এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই এইচপিভি টিকা গ্রহণের মাধ্যমে এ রোগটি প্রতিরোধ করা সম্ভব। সম্প্রতি সিটি কর্পোরেশনের নগর স্বাস্থ্য ভবন সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিটি কর্পোরেশনের সচিব শরীফ আসিফ রহমান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিচালক ডা. মে. মনজুরুল মুরশিদ।
টিকাদান ক্যাম্পেইনের অগ্রগতি পর্যালোচনায় সভায় বক্তারা জানান, জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে দেশব্যাপী এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইনের মেয়াদ আগামী ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ সময় পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির ছাত্রী অথবা ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরীদের বিনামূল্যে এইচপিভির (হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস) টিকা বিনামূল্যে প্রদান করা হবে।
প্রধান অতিথি বলেন, টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রায় পিছিয়ে থাকা এলাকা বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের অধিকতর মোটিভেশন প্রয়োজন। এইচপিভি টিকার কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ানেই এবং এটি কিশোরীদের জন্য নিরাপদ। বিশ্বের অনেক উন্নতদেশে এই টিকা অনেক আগে থেকেই প্রচলিত। টিকাটির বিষয়ে ভুলধারণা, অপপ্রচার ও গুজব দূর করতে চিকিৎসক, টিকাদানকারী ও ইতোমধ্যে টিকা নিয়েছে এমন শিক্ষার্থীদের নিয়ে টিকা গ্রহণে ভীতি বা অনীহা প্রকাশকারীদের সচেতন করার উদ্যোগ নিতে হবে। সকলের সম্মিলিত চেষ্টায় টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে আশা করা যায়।
সভায় কেসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. স্বপন কুমার হালদার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ অহিদুল আলম, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. শেখ মোহাম্মদ কামাল হোসেনসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দেশে বছরে ৬৫৮২ নারীর মৃত্যু হয় জরায়ুমুখ ক্যানসারে
জনপ্রিয় সংবাদ