ঢাকা ০২:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লেবাননের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে সম্মত হওয়া উচিত ইসরায়েলের: বোরেল

  • আপডেট সময় : ০৭:৫৪:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

বিদেশের খবর ডেস্ক : লেবাননে প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হওয়ার জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতি প্রধান জোসেপ বোরেল। চুক্তিতে ইসরায়েলের জন্য প্রয়োজনীয় সব নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে গতকাল মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) এক বক্তব্যে বলেছেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। ইতালিতে জি৭ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠকে বক্তব্য রাখার সময় তিনি বলেছেন, ইরান-সমর্থিত লেবানিজ গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে চুক্তি বাস্তবায়নে অজুহাতের সুযোগ নেই। অবিলম্বে চুক্তিটি অনুমোদনের জন্য ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগ করা উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। শিল্পোন্নত সাতটি দেশের সংগঠন হচ্ছে গ্রুপ অব সেভেন বা জি ৭। এর অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি, ব্রিটেন, কানাডা ও জাপান। বোরেল আরও বলেন, আশা করি যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি নেতানিয়াহু আজ অনুমোদন করবেন। আর কোনও অজুহাত বা অতিরিক্ত দাবি উত্থাপন করা উচিত হবে না। বক্তব্যে চুক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া কয়েকজন কট্টরপন্থি ইসরায়েলি মন্ত্রীদের সমালোচনা করেছেন তিনি। এর আগে, এক সিনিয়র ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব অনুমোদনের প্রস্তুতি নিচ্ছে তেল আবিব। বোরেল জানান, সম্প্রতি লেবানন সফরের সময় তিনি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করেছেন। চুক্তি বাস্তবায়নে একটি পর্যবেক্ষণ কমিটিতে ফ্রান্সকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে কিনা, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে আলোচনায় রয়েছে। তিনি বলেছেন, লেবানিজরা বিশেষভাবে ফ্রান্সের অংশগ্রহণ চেয়েছে। কিন্তু এতে আপত্তি রয়েছে ইসরায়েলের। এখনও বিষয়টির মীমাংসা হয়নি।
গাজার সংঘাতে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নেতানিয়াহু, তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও হামাস নেতার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের দ্বিমুখী নীতির সমালোচনা করেন। তিনি বলেছেন, পুতিনের বিরুদ্ধে আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়ে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে রায় নিয়ে নীরব থাকাটা সমীচীন নয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোকে আইসিসির সমর্থনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। ইতালির পক্ষ থেকে সোমবার জানানো হয়, তারা আইসিসি সিদ্ধান্তের ওপর একটি সাধারণ অবস্থান ধরে রাখার চেষ্টা করছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র আইসিসির এখতিয়ার স্বীকার না করায় ও নেতানিয়াহুর গ্রেফতারি পরোয়ানার বিরোধিতা করায় এই অগ্রগতি জটিল হয়ে উঠেছে।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

লেবাননের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে সম্মত হওয়া উচিত ইসরায়েলের: বোরেল

আপডেট সময় : ০৭:৫৪:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

বিদেশের খবর ডেস্ক : লেবাননে প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হওয়ার জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতি প্রধান জোসেপ বোরেল। চুক্তিতে ইসরায়েলের জন্য প্রয়োজনীয় সব নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে গতকাল মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) এক বক্তব্যে বলেছেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। ইতালিতে জি৭ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠকে বক্তব্য রাখার সময় তিনি বলেছেন, ইরান-সমর্থিত লেবানিজ গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে চুক্তি বাস্তবায়নে অজুহাতের সুযোগ নেই। অবিলম্বে চুক্তিটি অনুমোদনের জন্য ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগ করা উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। শিল্পোন্নত সাতটি দেশের সংগঠন হচ্ছে গ্রুপ অব সেভেন বা জি ৭। এর অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি, ব্রিটেন, কানাডা ও জাপান। বোরেল আরও বলেন, আশা করি যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি নেতানিয়াহু আজ অনুমোদন করবেন। আর কোনও অজুহাত বা অতিরিক্ত দাবি উত্থাপন করা উচিত হবে না। বক্তব্যে চুক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া কয়েকজন কট্টরপন্থি ইসরায়েলি মন্ত্রীদের সমালোচনা করেছেন তিনি। এর আগে, এক সিনিয়র ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব অনুমোদনের প্রস্তুতি নিচ্ছে তেল আবিব। বোরেল জানান, সম্প্রতি লেবানন সফরের সময় তিনি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করেছেন। চুক্তি বাস্তবায়নে একটি পর্যবেক্ষণ কমিটিতে ফ্রান্সকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে কিনা, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে আলোচনায় রয়েছে। তিনি বলেছেন, লেবানিজরা বিশেষভাবে ফ্রান্সের অংশগ্রহণ চেয়েছে। কিন্তু এতে আপত্তি রয়েছে ইসরায়েলের। এখনও বিষয়টির মীমাংসা হয়নি।
গাজার সংঘাতে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নেতানিয়াহু, তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও হামাস নেতার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের দ্বিমুখী নীতির সমালোচনা করেন। তিনি বলেছেন, পুতিনের বিরুদ্ধে আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়ে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে রায় নিয়ে নীরব থাকাটা সমীচীন নয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোকে আইসিসির সমর্থনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। ইতালির পক্ষ থেকে সোমবার জানানো হয়, তারা আইসিসি সিদ্ধান্তের ওপর একটি সাধারণ অবস্থান ধরে রাখার চেষ্টা করছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র আইসিসির এখতিয়ার স্বীকার না করায় ও নেতানিয়াহুর গ্রেফতারি পরোয়ানার বিরোধিতা করায় এই অগ্রগতি জটিল হয়ে উঠেছে।