নিজস্ব প্রতিবেদক : চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডা. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিতের মৃত্যুর দায় হাসপাতালের ওপর চাপানো ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ঢাকা ন্যাশনাল হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ইফফাত আরা।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) অভিজিতের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল ও কলেজে হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন। ইফফাত আরা বলেন, অভিজিতের মৃত্যুর দিন রাতে মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বিষয়টি ৯০ ভাগ সমাধান হওয়ার পরও পরিবার ও শিক্ষার্থীরা অন্যান্যদের তা না জানানোয় এমন ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, রোগীর মৃত্যু হলেই ভুল চিকিৎসা, দায়িত্বে অবহেলা বলে চিকিৎসক ও চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিতদের লাঞ্ছিত করা যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। ইফফাত আরা বলেন, হাসপাতালের রোগীর চিকিৎসা সেবার সুস্থ পরিবেশ বিনষ্ট করা, হাসপাতালের সব স্তরের চিকিৎসক নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জিম্মি করে হাসপাতাল ও কলেজ ভবনের ব্যাপক ভাঙচুর করে ক্ষতিসাধন করা, অসুস্থ রোগীদের মাঝে ভীতি সঞ্চার করার মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। ন্যাশনাল কলেজে হামলায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে দাবি করে হাসপাতালের পরিচালক বলেন, ডা. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে বিভিন্ন কলেজের প্রায় ১০০০ থেকে ১৫০০ শিক্ষার্থী হাসপাতালের প্রশাসনিক কার্যালয়, বহির্বিভাগ, জরুরি বিভাগ, দন্ত বিভাগ ও প্যাথলজি বিভাগে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এছাড়া ক্যাশ কাউন্টারে ভাঙচুর করে নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। হাসপাতালের অভ্যন্তরে দেশি বিদেশি ছাত্রছাত্রী, সাধারণ রোগী ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের আর্থিক সেবায় নিয়োজিত পূবালী ব্যাংকের শাখাতেও ব্যাপক ভাঙচুর করে। দশ হাজার টাকার বিনিময়ে মৃত্যুর বিষয়টি ধামাচাপার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কলেজের উপ-পরিচালক ডা. মো. রেজাউল হক বলেন, আমরা নিহতের পরিবারের অনুরোধে তাদের আইসিইউ বিল ৩৬ হাজার টাকার বিল স্থগিত রাখি। তার পরিবারের কাছে অ্যাম্বুলেন্স বিল ছিল না। সেটার জন্য আমরা দশ হাজার টাকা দিতে যাই। পরে তারা আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম কর্তৃপক্ষের থেকে অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় করতে সক্ষম হয়। আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন, দশ হাজার টাকা দিয়ে কি মৃত্যুর ঘটনা চাপা দেওয়া সম্ভব?
এদিকে অভিজিতের মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ও ডাক্তারের অব্যাহতির বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেন, আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করি। সেখানে ডা. মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি রাখার জন্য বলা হয়। তাদের বলা হয় দেশের যেকোনো জায়গায় একজন রেজিস্টার্ড ডেঙ্গু বিশেষজ্ঞ রাখার জন্য। তারা দুই দিন পার হলেও তাদের প্রতিনিধি দেওয়ার বিষয়ে কিছু জানায়নি। আমরা সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে কর্তব্যরত ডাক্তার শেফাকে কর্ম থেকে বিরত থাকতে বলেছি।
অভিজিতের মৃত্যুর দায় হাসপাতালের ওপর চাপানো ভিত্তিহীন
জনপ্রিয় সংবাদ