ঢাকা ১০:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পশ্চিমবঙ্গে উপনির্বাচনে অবিশ্বাস্য ভোট পেল তৃণমূল

  • আপডেট সময় : ০৬:৩০:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
  • ৩ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ২ শতাংশ আসনে উপনির্বাচনে ফল ঘোষণার দুই দিন পর নির্দিষ্টভাবে শতাংশের হার পাওয়া গেছে। এই হার বিরোধীদের ব্যাপক হতাশ করেছে, তবে উৎসাহিত করেছে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসকে। যদিও সেই উৎসাহ নিয়ে প্রশ্নও রয়েছে।
ফলাফল থেকে কয়েকটি চিত্র উঠে আসছে। প্রথমত, আরজিকর মেডিকেল কলেজে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রধানত বিভিন্ন ধারার বামপন্থিদের যে আন্দোলন কলকাতাকে উত্তাল করেছিল, তা গ্রামাঞ্চলে প্রভাব ফেলেনি। ফল থেকেই সেটা বোঝা যাচ্ছে। ছয়টি আসনে নির্বাচন হয়েছিল। সব কটিতেই মোটামুটি বিরোধী বাম ফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের ভোট আরও কমেছে। একমাত্র মেদিনীপুরে কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ার (সিপিআই) ভোট সামান্য বেড়েছে। কিন্তু সব আসনেই বাম ফ্রন্ট ও কংগ্রেসের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। জামানত ধরে রাখতে গেলে ১৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ ভোট প্রয়োজন, যা কোনো আসনেই বিরোধী বাম ফ্রন্ট বা কংগ্রেস পায়নি। অন্যদিকে সব আসনেই প্রধান বিরোধী দল বিজেপির ভোটও বেশ ভালোই কমেছে। বিভিন্ন আসনে ৩ শতাংশ থেকে প্রায় ৩০ শতাংশ ভোট কমেছে বিজেপির। উপনির্বাচনে সাধারণত বিরোধীদের ভোট কমে এবং ক্ষমতাসীন দলের ভোট বৃদ্ধি হয়। কারণ, উপনির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন করা যায় না। ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে কেউই যেতে চান না, ফলে উপনির্বাচনে ক্ষমতাশীন দল ভালো ফল করে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন তৃণমূল অস্বাভাবিক ভালো ফল করে বসেছে। বাম ফ্রন্ট ও বিজেপির যে ভোট কমেছে, এক কথায় বলা যায় যে সেই ভোট পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কোনো কোনো আসনে তাদের ভোটের হার অবিশ্বাস্য বেশি। যেমন কোচবিহারের সিতাইতে তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে ৭৬ শতাংশ ভোট। যেখানে ২০২১ সালের নির্বাচনে তারা পেয়েছিল ৪৯ শতাংশ ভোট। উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়াতেও তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে ৭৬ শতাংশ ভোট, যেখানে ২০২১ সালে পেয়েছিল ৫৭ শতাংশ ভোট। উত্তরবঙ্গের মাদারীহাট আসনটি ধারাবাহিকভাবে পেয়ে আসছিল বিজেপি, সেটিও ৫৪ শতাংশ ভোট পেয়ে জিতেছে তৃণমূল।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পশ্চিমবঙ্গে উপনির্বাচনে অবিশ্বাস্য ভোট পেল তৃণমূল

আপডেট সময় : ০৬:৩০:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

প্রত্যাশা ডেস্ক: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ২ শতাংশ আসনে উপনির্বাচনে ফল ঘোষণার দুই দিন পর নির্দিষ্টভাবে শতাংশের হার পাওয়া গেছে। এই হার বিরোধীদের ব্যাপক হতাশ করেছে, তবে উৎসাহিত করেছে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসকে। যদিও সেই উৎসাহ নিয়ে প্রশ্নও রয়েছে।
ফলাফল থেকে কয়েকটি চিত্র উঠে আসছে। প্রথমত, আরজিকর মেডিকেল কলেজে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রধানত বিভিন্ন ধারার বামপন্থিদের যে আন্দোলন কলকাতাকে উত্তাল করেছিল, তা গ্রামাঞ্চলে প্রভাব ফেলেনি। ফল থেকেই সেটা বোঝা যাচ্ছে। ছয়টি আসনে নির্বাচন হয়েছিল। সব কটিতেই মোটামুটি বিরোধী বাম ফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের ভোট আরও কমেছে। একমাত্র মেদিনীপুরে কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ার (সিপিআই) ভোট সামান্য বেড়েছে। কিন্তু সব আসনেই বাম ফ্রন্ট ও কংগ্রেসের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। জামানত ধরে রাখতে গেলে ১৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ ভোট প্রয়োজন, যা কোনো আসনেই বিরোধী বাম ফ্রন্ট বা কংগ্রেস পায়নি। অন্যদিকে সব আসনেই প্রধান বিরোধী দল বিজেপির ভোটও বেশ ভালোই কমেছে। বিভিন্ন আসনে ৩ শতাংশ থেকে প্রায় ৩০ শতাংশ ভোট কমেছে বিজেপির। উপনির্বাচনে সাধারণত বিরোধীদের ভোট কমে এবং ক্ষমতাসীন দলের ভোট বৃদ্ধি হয়। কারণ, উপনির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন করা যায় না। ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে কেউই যেতে চান না, ফলে উপনির্বাচনে ক্ষমতাশীন দল ভালো ফল করে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন তৃণমূল অস্বাভাবিক ভালো ফল করে বসেছে। বাম ফ্রন্ট ও বিজেপির যে ভোট কমেছে, এক কথায় বলা যায় যে সেই ভোট পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কোনো কোনো আসনে তাদের ভোটের হার অবিশ্বাস্য বেশি। যেমন কোচবিহারের সিতাইতে তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে ৭৬ শতাংশ ভোট। যেখানে ২০২১ সালের নির্বাচনে তারা পেয়েছিল ৪৯ শতাংশ ভোট। উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়াতেও তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে ৭৬ শতাংশ ভোট, যেখানে ২০২১ সালে পেয়েছিল ৫৭ শতাংশ ভোট। উত্তরবঙ্গের মাদারীহাট আসনটি ধারাবাহিকভাবে পেয়ে আসছিল বিজেপি, সেটিও ৫৪ শতাংশ ভোট পেয়ে জিতেছে তৃণমূল।