ঢাকা ০৯:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৈঠকের প্রস্তাবে দুই অধ্যক্ষের ‘না’

  • আপডেট সময় : ০৫:০৫:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
  • ৬ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক: ঢাকার কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে চলমান উত্তেজনা প্রশমনে তিন কলেজের অধ্যক্ষকে বৈঠকে বসার আমন্ত্রণ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, তবে তাতে রাজি নন দুই অধ্যক্ষ। কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহম্মদ হাবিবুর রহমান বলেছেন, এমন তাণ্ডবের পর বিচার না হওয়া পর্যন্ত বৈঠকে বসতে রাজি নন তিনি। আর শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কাকলী মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে’ কোনো আলোচনায় যেতে তিনিও রাজি নন। পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেলে মাহাবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিৎ হাওলাদারের মৃত্যুর ঘটনায় রোববার ঘেরাও কর্মসূচি দেওয়া হয়েছিল। পূর্বঘোষিত সেই ‘সুপার সানডে’ কর্মসূচির মধ্যে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ও পাশের সোহরাওয়ার্দী কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় মোল্লা কলেজসহ কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। ওই সময় সোহরাওয়ার্দী কলেজ কেন্দ্রে অনার্স প্রথম বর্ষের পরীক্ষা দিচ্ছিলেন নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীরা। গণ্ডগোলের মধ্যে নিরাপত্তার কারণে মাঝপথে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
ওই হামলা ও লুটপাটের প্রতিবাদে সোমবার ‘মেগা মানডে’ কর্মসূচির ডাক দেন সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। এর অংশ হিসেবে দুই কলেজের শিক্ষার্থীরা ডেমরা সড়ক সংলগ্ন মোল্লা কলেজে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। প্রায় দুই ঘণ্টার সংঘর্ষে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। মোল্লা কলেজে ভাঙচুরের পাশাপাশি লুটপাটও হয়। এই প্রেক্ষাপটে রাত ১০টায় তিন কলেজের অধ্যক্ষকে বৈঠকে বসার আমন্ত্রণ জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম। এ বিষয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করা হলে কবি নজরুলের অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত দুদিন ধরে চলমান সংঘর্ষে কারা ইন্ধন দিয়েছে এটা খুঁজে বের করতে হবে। এত দূর থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থী এসে কীভাবে হামলা চালায়? তাদের অস্ত্র ও অর্থ কারা সরবরাহ করেছে? এসব বিষয় স্পষ্ট করে বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমি বৈঠকে বসতে চাচ্ছি না। “সমন্বয়ক পরিচয়ে আমাকে দুজন ফোন দিয়ে বৈঠকের কথা বলেছেন, আমি তাদের ‘না’ করে দিয়েছি। আমি তাদেরকে ঠিক মত চিনি না, জানি না; তারা কি সমাধান করবেন? সরকারের দায়িত্বশীল জায়গা থেকে এর সুষ্ঠু সমাধান হোক।”
শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কাকলী মুখোপাধ্যায়ও সোমবার সন্ধ্যায় তরিকুল ইসলামের ফোন পেয়েছেন। তিনি বলেন, “সমন্বয়ক তারিকুল ইসলাম আমাকে ফোন করে রাত ১০ টায় রাজধানীর রূপায়ন টাওয়ারে একটি বৈঠকের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সেখানে কলেজের সিনিয়র শিক্ষক ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদেরও থাকার জন্য বলেছেন। তিনি আমাকে বলছেন এ বৈঠকের মাধ্যমে চলমান সমস্যার সমাধান হতে পারে। কিন্তু বৈঠকে যাচ্ছেন না জানিয়ে অধ্যাপক কাকলী বলেন, “কবি নজরুলের অধ্যক্ষ যেহেতু যাচ্ছেন না, আমিও সেখানে যাচ্ছি না। আমার শিক্ষার্থীরাও ওইখানে যেতে রাজি না। আজকে আমাদের ২৫-৩০ জন শিকার্থী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। তাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আমরা বৈঠকে বসতে পারি না।” ডেমরার ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের অধ্যক্ষ ওবায়দুল্লাহ নয়ন বৈঠকে যাচ্ছেন কি না জানতে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি। এ অবস্থায় বৈঠক হবে কি না জানতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তরিকুল ইসলামকে ফোন করলে তারও সাড়া পাওয়া যায়নি।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বৈঠকের প্রস্তাবে দুই অধ্যক্ষের ‘না’

আপডেট সময় : ০৫:০৫:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক: ঢাকার কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে চলমান উত্তেজনা প্রশমনে তিন কলেজের অধ্যক্ষকে বৈঠকে বসার আমন্ত্রণ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, তবে তাতে রাজি নন দুই অধ্যক্ষ। কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহম্মদ হাবিবুর রহমান বলেছেন, এমন তাণ্ডবের পর বিচার না হওয়া পর্যন্ত বৈঠকে বসতে রাজি নন তিনি। আর শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কাকলী মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে’ কোনো আলোচনায় যেতে তিনিও রাজি নন। পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেলে মাহাবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিৎ হাওলাদারের মৃত্যুর ঘটনায় রোববার ঘেরাও কর্মসূচি দেওয়া হয়েছিল। পূর্বঘোষিত সেই ‘সুপার সানডে’ কর্মসূচির মধ্যে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ও পাশের সোহরাওয়ার্দী কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় মোল্লা কলেজসহ কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। ওই সময় সোহরাওয়ার্দী কলেজ কেন্দ্রে অনার্স প্রথম বর্ষের পরীক্ষা দিচ্ছিলেন নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীরা। গণ্ডগোলের মধ্যে নিরাপত্তার কারণে মাঝপথে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
ওই হামলা ও লুটপাটের প্রতিবাদে সোমবার ‘মেগা মানডে’ কর্মসূচির ডাক দেন সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। এর অংশ হিসেবে দুই কলেজের শিক্ষার্থীরা ডেমরা সড়ক সংলগ্ন মোল্লা কলেজে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। প্রায় দুই ঘণ্টার সংঘর্ষে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। মোল্লা কলেজে ভাঙচুরের পাশাপাশি লুটপাটও হয়। এই প্রেক্ষাপটে রাত ১০টায় তিন কলেজের অধ্যক্ষকে বৈঠকে বসার আমন্ত্রণ জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম। এ বিষয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করা হলে কবি নজরুলের অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত দুদিন ধরে চলমান সংঘর্ষে কারা ইন্ধন দিয়েছে এটা খুঁজে বের করতে হবে। এত দূর থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থী এসে কীভাবে হামলা চালায়? তাদের অস্ত্র ও অর্থ কারা সরবরাহ করেছে? এসব বিষয় স্পষ্ট করে বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমি বৈঠকে বসতে চাচ্ছি না। “সমন্বয়ক পরিচয়ে আমাকে দুজন ফোন দিয়ে বৈঠকের কথা বলেছেন, আমি তাদের ‘না’ করে দিয়েছি। আমি তাদেরকে ঠিক মত চিনি না, জানি না; তারা কি সমাধান করবেন? সরকারের দায়িত্বশীল জায়গা থেকে এর সুষ্ঠু সমাধান হোক।”
শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কাকলী মুখোপাধ্যায়ও সোমবার সন্ধ্যায় তরিকুল ইসলামের ফোন পেয়েছেন। তিনি বলেন, “সমন্বয়ক তারিকুল ইসলাম আমাকে ফোন করে রাত ১০ টায় রাজধানীর রূপায়ন টাওয়ারে একটি বৈঠকের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সেখানে কলেজের সিনিয়র শিক্ষক ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদেরও থাকার জন্য বলেছেন। তিনি আমাকে বলছেন এ বৈঠকের মাধ্যমে চলমান সমস্যার সমাধান হতে পারে। কিন্তু বৈঠকে যাচ্ছেন না জানিয়ে অধ্যাপক কাকলী বলেন, “কবি নজরুলের অধ্যক্ষ যেহেতু যাচ্ছেন না, আমিও সেখানে যাচ্ছি না। আমার শিক্ষার্থীরাও ওইখানে যেতে রাজি না। আজকে আমাদের ২৫-৩০ জন শিকার্থী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। তাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আমরা বৈঠকে বসতে পারি না।” ডেমরার ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের অধ্যক্ষ ওবায়দুল্লাহ নয়ন বৈঠকে যাচ্ছেন কি না জানতে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি। এ অবস্থায় বৈঠক হবে কি না জানতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তরিকুল ইসলামকে ফোন করলে তারও সাড়া পাওয়া যায়নি।