ঢাকা ০৮:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিজেকে উপাচার্য নয় সেবক মনে করি: নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ

  • আপডেট সময় : ০৪:৫৯:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেছেন, আমি নিজেকে উপাচার্য নয়, সেবক মনে করি। আমার কাছে উপাচার্য পদ নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ই মূল্যবান। তিনি বলেন, উপাচার্য পদের চেয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সেবা আমার কাছে অনেক বড়। আমি আমার ঋণ পরিশোধের জন্য কাজ করছি। বিশ্বের উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে মডেল বিবেচনা করে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিকমানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রূপ দিতে চাই। সোমবার (২৫ নভেম্বর) বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন উপাচার্য। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ইবি উপাচার্য বলেন, সব শিক্ষক-শিক্ষার্থীর চিন্তা-চেতনাকে সমন্বয় করে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে চাই। কারণ, আমিই একমাত্র সব চিন্তার আধার নই। বিশ্ববিদ্যালয়কে যদি একটি বাগান বলা হয়, শিক্ষার্থীরা সেই বাগানের ফুল আর শিক্ষকরা হচ্ছেন ফুলের মধু। তাই তোমাদের পরামর্শকেই আমি গুরুত্ব দিতে চাই। জুলাই আন্দোলনের স্পিরিট ধারণ করে শহীদদের রক্তের ঋণ পরিশোধের জন্য আমি কাজ করে যাবো।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আলীনূর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দিন মিঝি, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান ও ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম। এর আগে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। পরে সেখান থেকে উপাচার্যের নেতৃত্ব আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে উপাচার্য শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ৩৬টি বিভাগের তিন হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী অংশ নেন।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নিজেকে উপাচার্য নয় সেবক মনে করি: নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ

আপডেট সময় : ০৪:৫৯:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেছেন, আমি নিজেকে উপাচার্য নয়, সেবক মনে করি। আমার কাছে উপাচার্য পদ নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ই মূল্যবান। তিনি বলেন, উপাচার্য পদের চেয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সেবা আমার কাছে অনেক বড়। আমি আমার ঋণ পরিশোধের জন্য কাজ করছি। বিশ্বের উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে মডেল বিবেচনা করে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিকমানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রূপ দিতে চাই। সোমবার (২৫ নভেম্বর) বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন উপাচার্য। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ইবি উপাচার্য বলেন, সব শিক্ষক-শিক্ষার্থীর চিন্তা-চেতনাকে সমন্বয় করে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে চাই। কারণ, আমিই একমাত্র সব চিন্তার আধার নই। বিশ্ববিদ্যালয়কে যদি একটি বাগান বলা হয়, শিক্ষার্থীরা সেই বাগানের ফুল আর শিক্ষকরা হচ্ছেন ফুলের মধু। তাই তোমাদের পরামর্শকেই আমি গুরুত্ব দিতে চাই। জুলাই আন্দোলনের স্পিরিট ধারণ করে শহীদদের রক্তের ঋণ পরিশোধের জন্য আমি কাজ করে যাবো।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আলীনূর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দিন মিঝি, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান ও ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম। এর আগে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। পরে সেখান থেকে উপাচার্যের নেতৃত্ব আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে উপাচার্য শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ৩৬টি বিভাগের তিন হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী অংশ নেন।