ঢাকা ০৯:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫

‘দেশে প্রায় ২ কোটি লোক কিডনি রোগে আক্রান্ত’

  • আপডেট সময় : ০৪:৩৭:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭৩ বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: ‘কিডনি রোগের নানা ধরন ও ধাপ রয়েছে। এসব রোগে ভুগছে দেশের প্রায় দুই কোটি মানুষ। এর চিকিৎসা বেশ ব্যয়বহুল; যা বহন করার মতো আর্থিক সামর্থ্য নেই ২৫ শতাংশ রোগীর। কিডনি বিকল প্রচুর রোগীর হেমোডায়ালাইসিস ও কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট প্রয়োজন হলেও এই চিকিৎসা নিতে পারছে না প্রায় ৭০ শতাংশ রোগী। ভবিষ্যতে এ রোগে মহামারিও হতে পারে। তাই কিডনি রোগ প্রতিরোধে ব্যাপক সচেতনতামূলক পদক্ষেপ নেওয়াসহ চিকিৎসা ব্যয় কমিয়ে আনতে আশু উদ্যোগ নিতে হবে’। গত মঙ্গলবার কিডনি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ আয়োজিত দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও বৈজ্ঞানিক অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।
কিডনি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিআরএ) এডহক কমিটির আহ্বায়ক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নেফ্রোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন রয়্যাল লন্ডন হাসপাতাল, যুক্তরাজ্যের নেফ্রোলজি বিভাগের কনসালটেন্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ মাগদী ইয়াকুব। এ সময় মধ্যে বক্তব্য রাখেন কিডনি ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম মহিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. রুহুল আমিন রুবেল, ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিনি ফেরদৌস রশিদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা কিডনি রোগ ও প্রতিরোধ, ডায়ালাইসিস, কিডনি সংযোজন, সিএপিডি ইত্যাদি নিয়ে আলোকপাত করেন।
প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, কিডনি রোগীদের ৮০ শতাংশের বেশি যখন কিডনি কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে, তখন কিডনি রোগের উপসর্গগুলো দেখা দেয়। তত দিনে বেশ বিলম্ব হয়ে যায়, চিকিৎসার ব্যয়ও বাড়ে। দুঃখজনক যে, বেশির ভাগ রোগীকে বাঁচানোও সম্ভব হয়ে ওঠে না। তিনি বলেন, কিডনি রোগের প্রধান কারণ হলো ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও গ্লোমেরুনেফ্রাইটিস। তাই প্রাথমিকভাবে কিডনি রোগ শনাক্ত করার জন্য স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি-বেসরকারি কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে এই স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করে রোগীদের রোগ শনাক্ত করার প্রচেষ্টা করা উচিত। এতে অনেক রোগীকে কম খরচে চিকিৎসা দিয়ে বাঁচানো সম্ভব হবে।
কিডনি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আর রশিদ বলেন, প্রতিবছর প্রায় ৪০ হাজার লোক কিডনি রোগে মারা যাচ্ছে। খোঁজ নিলে দেখা যায়, তাদের বেশির ভাগই চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে পারেনি। কিডনি ডায়ালাইসিসের রোগীদের প্রায় ৭০ শতাংশ অর্থের অভাবে পূর্ণ চিকিৎসা নিতে ব্যর্থ হয়। এই ব্যয় কমাতে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। এ জন্য চিকিৎসক, নার্স ও নেফ্রোলজিস্ট চিকিৎসকদের আরও সচেতনভাবে চিকিৎসা দিতে হবে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

শাপলা প্রতীক দিতে হবে নয়তো ধান বাদ দিতে হবে: নাসীরুদ্দীন

‘দেশে প্রায় ২ কোটি লোক কিডনি রোগে আক্রান্ত’

আপডেট সময় : ০৪:৩৭:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: ‘কিডনি রোগের নানা ধরন ও ধাপ রয়েছে। এসব রোগে ভুগছে দেশের প্রায় দুই কোটি মানুষ। এর চিকিৎসা বেশ ব্যয়বহুল; যা বহন করার মতো আর্থিক সামর্থ্য নেই ২৫ শতাংশ রোগীর। কিডনি বিকল প্রচুর রোগীর হেমোডায়ালাইসিস ও কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট প্রয়োজন হলেও এই চিকিৎসা নিতে পারছে না প্রায় ৭০ শতাংশ রোগী। ভবিষ্যতে এ রোগে মহামারিও হতে পারে। তাই কিডনি রোগ প্রতিরোধে ব্যাপক সচেতনতামূলক পদক্ষেপ নেওয়াসহ চিকিৎসা ব্যয় কমিয়ে আনতে আশু উদ্যোগ নিতে হবে’। গত মঙ্গলবার কিডনি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ আয়োজিত দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও বৈজ্ঞানিক অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।
কিডনি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিআরএ) এডহক কমিটির আহ্বায়ক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নেফ্রোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন রয়্যাল লন্ডন হাসপাতাল, যুক্তরাজ্যের নেফ্রোলজি বিভাগের কনসালটেন্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ মাগদী ইয়াকুব। এ সময় মধ্যে বক্তব্য রাখেন কিডনি ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম মহিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. রুহুল আমিন রুবেল, ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিনি ফেরদৌস রশিদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা কিডনি রোগ ও প্রতিরোধ, ডায়ালাইসিস, কিডনি সংযোজন, সিএপিডি ইত্যাদি নিয়ে আলোকপাত করেন।
প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, কিডনি রোগীদের ৮০ শতাংশের বেশি যখন কিডনি কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে, তখন কিডনি রোগের উপসর্গগুলো দেখা দেয়। তত দিনে বেশ বিলম্ব হয়ে যায়, চিকিৎসার ব্যয়ও বাড়ে। দুঃখজনক যে, বেশির ভাগ রোগীকে বাঁচানোও সম্ভব হয়ে ওঠে না। তিনি বলেন, কিডনি রোগের প্রধান কারণ হলো ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও গ্লোমেরুনেফ্রাইটিস। তাই প্রাথমিকভাবে কিডনি রোগ শনাক্ত করার জন্য স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি-বেসরকারি কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে এই স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করে রোগীদের রোগ শনাক্ত করার প্রচেষ্টা করা উচিত। এতে অনেক রোগীকে কম খরচে চিকিৎসা দিয়ে বাঁচানো সম্ভব হবে।
কিডনি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আর রশিদ বলেন, প্রতিবছর প্রায় ৪০ হাজার লোক কিডনি রোগে মারা যাচ্ছে। খোঁজ নিলে দেখা যায়, তাদের বেশির ভাগই চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে পারেনি। কিডনি ডায়ালাইসিসের রোগীদের প্রায় ৭০ শতাংশ অর্থের অভাবে পূর্ণ চিকিৎসা নিতে ব্যর্থ হয়। এই ব্যয় কমাতে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। এ জন্য চিকিৎসক, নার্স ও নেফ্রোলজিস্ট চিকিৎসকদের আরও সচেতনভাবে চিকিৎসা দিতে হবে।