ঢাকা ০৫:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫

অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধে জনসচেতনতার তাগিদ

  • আপডেট সময় : ০৭:৫৬:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির তাগিদ দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেছেন, মানবদেহে ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে গিয়ে অনেক সময় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে শরীরে উপকারী ব্যাকটেরিয়াও ধ্বংস হচ্ছে। তার চেয়ে ভয়ংকর তথ্য হল, আমরা যে অ্যান্টিবায়োটিক খাচ্ছি তা আবার পরিবেশে ফিরে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) জনসচেতনতা সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ফরিদা আখতার বলেন, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের ক্ষেত্রে সচেতনতা সৃষ্টির ব্যাপারে অত্যন্ত দেরি হয়েছে। এখনই কাজ করার সময়, প্রতিটি মুহূর্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে বোঝার ক্ষেত্রে এখনও ঘাটতি রয়েছে। এখন সময় এসেছে দায়িত্ব নেওয়ার, কোন কাজ কোথায় করব, তা জেনে বুঝে করা অতীব জরুরি। তিনি বলেন, “আমাদের গড় আয়ু বেড়েছে, এর অর্থ এই নয়- স্বাস্থ্যের দিক থেকে আমরা অনেক উন্নত। আমরা বেঁচে আছি, তবে ভালোভাবে বাঁচছি না। সুস্থতার জন্য ওষুধের ওপর নির্ভর নয়, বরং ওষুধ ছাড়া আমাদের সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে হবে। এখনও অনেক মানুষ অসুখ হলেই অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করছে, অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হওয়ার ফলে মানুষ তথা রাষ্ট্রের খরচ বাড়ছে। আর মানুষ আরও বেশি অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। উপদেষ্টা ফরিদা বলেন, নিরাপদ খাদ্য কথাতেই আপত্তি রয়েছে, তার মানে খাদ্য নিরাপদ নয়। খাদ্য নিরাপদ হতে হবে। স্কুল-কলেজ পর্যায়ে এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। খাদ্যকে অনিরাপদ করার জন্য বাণিজ্যিকীকরণ করা হচ্ছে, তা আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি না; এখানে আমাদের কাজ করতে হবে। আগামীর বাংলাদেশকে সুস্থ রাখতে তরুণ ছাত্রদের এবিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে আরও গুরুত্ব দিতে হবে।
সেমিনারে বলা হয়, প্রেসক্রিপশনের সময় সঠিক অ্যান্টিবায়োটিক নির্বাচন, মাত্রা, ব্যবহার ও প্রয়োগবিধি নিশ্চিত করতে হবে। জীবাণু সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে অ্যান্টিবায়োটিক নির্বাচন করা এবং সম্ভব হলে অ্যান্টিবায়োটিকের বিকল্প ব্যবহার করা উচিত। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাকিলা ফারুক, মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আবদুর রউফ।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধে জনসচেতনতার তাগিদ

আপডেট সময় : ০৭:৫৬:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির তাগিদ দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেছেন, মানবদেহে ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে গিয়ে অনেক সময় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে শরীরে উপকারী ব্যাকটেরিয়াও ধ্বংস হচ্ছে। তার চেয়ে ভয়ংকর তথ্য হল, আমরা যে অ্যান্টিবায়োটিক খাচ্ছি তা আবার পরিবেশে ফিরে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) জনসচেতনতা সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ফরিদা আখতার বলেন, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের ক্ষেত্রে সচেতনতা সৃষ্টির ব্যাপারে অত্যন্ত দেরি হয়েছে। এখনই কাজ করার সময়, প্রতিটি মুহূর্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে বোঝার ক্ষেত্রে এখনও ঘাটতি রয়েছে। এখন সময় এসেছে দায়িত্ব নেওয়ার, কোন কাজ কোথায় করব, তা জেনে বুঝে করা অতীব জরুরি। তিনি বলেন, “আমাদের গড় আয়ু বেড়েছে, এর অর্থ এই নয়- স্বাস্থ্যের দিক থেকে আমরা অনেক উন্নত। আমরা বেঁচে আছি, তবে ভালোভাবে বাঁচছি না। সুস্থতার জন্য ওষুধের ওপর নির্ভর নয়, বরং ওষুধ ছাড়া আমাদের সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে হবে। এখনও অনেক মানুষ অসুখ হলেই অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করছে, অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হওয়ার ফলে মানুষ তথা রাষ্ট্রের খরচ বাড়ছে। আর মানুষ আরও বেশি অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। উপদেষ্টা ফরিদা বলেন, নিরাপদ খাদ্য কথাতেই আপত্তি রয়েছে, তার মানে খাদ্য নিরাপদ নয়। খাদ্য নিরাপদ হতে হবে। স্কুল-কলেজ পর্যায়ে এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। খাদ্যকে অনিরাপদ করার জন্য বাণিজ্যিকীকরণ করা হচ্ছে, তা আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি না; এখানে আমাদের কাজ করতে হবে। আগামীর বাংলাদেশকে সুস্থ রাখতে তরুণ ছাত্রদের এবিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে আরও গুরুত্ব দিতে হবে।
সেমিনারে বলা হয়, প্রেসক্রিপশনের সময় সঠিক অ্যান্টিবায়োটিক নির্বাচন, মাত্রা, ব্যবহার ও প্রয়োগবিধি নিশ্চিত করতে হবে। জীবাণু সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে অ্যান্টিবায়োটিক নির্বাচন করা এবং সম্ভব হলে অ্যান্টিবায়োটিকের বিকল্প ব্যবহার করা উচিত। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাকিলা ফারুক, মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আবদুর রউফ।