প্রেমিকাকে দামি গিফটের আবদারে মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম। তা হলোÑ
না বলতে শিখুন: আপনি কি প্রেমিকাকে কখনো এই বিষয়ে না বলেছেন? আশা করছি বলেননি। আর এই ভুলটা করেছেন বলেই তিনি দিনের পর দিন আপনার কাছে দামি গিফট চেয়ে গিয়েছেন। তাই এবার থেকে তিনি যখনই এমন কিছু চেয়ে বসবেন, তাকে না বলতে শিখুন। আশা করছি, এই কাজটা একবার করলেই তিনি আর বেশি কথা বাড়াবেন না। বরং পরেরবার কোনও কিছু বলার আগে চারবার ভাববেন। তাই আজই এ টিপস মেনে চলুন।
নিজের পকেটের হাল বোঝান: প্রেমিকার কাছে নিজের অর্থনৈতিক অবস্থা লুকিয়ে রাখার সত্যিই কোনও প্রয়োজন নেই। তাহলে তিনি কোনওদিনই আপনার হাল বুঝতে পারবেন না। সেই কারণে মাঝে মধ্যেই দামি দামি গিফট চেয়ে বসবেন। তাই এবার থেকে কারণে অকারণে তাকে আপনার পকেটের হাল জানান। তাহলে তিনি নিজের পছন্দের কোনও দামি জিনিস আবদার করার আগে পাঁচবার ভাববেন।
সেভিংসে জোর দিতে বলুন: যা জমান তার সবটা খরচা করে ফেললে একবারেই চলবে না। এতে ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যাবে। আর এই সারসত্যটা প্রেমিকাকে বুঝিয়ে বলুন। তাকে বোঝান যে এ ভাবে সবসময় দামি গিফট চাইলে সেভিংস কিছুই হবে না। এ জন্য ভবিষ্যতে কোনো সমস্যা হলে তার থেকে বেরিয়ে আসা হবে অসম্ভব। আপনি ঠিকমতো বুঝিয়ে বললে, তিনি নিশ্চয়ই বুঝবেন। তারপর আর এই ধরনের আবদার যখন-তখন করে বসবেন না। তাই ঝটপট এই কাজটা সেরে ফেলুন।
তার কাছেও গিফট চান: তিনি আপনার কাছে গিফট চান তো? সেক্ষেত্রে আপনিও তার কাছে উপহার চাইতে পারেন। এমনকী তার মতোই দামি দামি উপহার চান। তাহলেই দেখবেন খেলা পুরো ঘুরে যাবে। আপনার কাছ থেকে আর গিফট চাওয়ার সাহস দেখাবেন না তিনি। কারণ, তিনি বুঝে যাবেন যে আপনার কাছ থেকে নিলে তাকেও কিছু একটা দিতে হবে। আর দেওয়া নেওয়ার খেলাতেই তিনি পিছিয়ে যাবেন।
আশ্বাস দিন: এতদিন তিনি যা চেয়েছেন তা-ই কিনে দিয়েছেন। তবে এবার থেকে আর তেমনটা করবেন না। বরং এখন থেকে তিনি কিছু চাইলেই তা কিনে দেওয়ার আশ্বাস দিন। তারপর অনায়াসে ভুলে যান। ঠিক যেমনটা নেতা-নেত্রীরা ভোটের সময় করে থাকেন। তাহলেই দেখবেন প্রেমিকা বুঝে যাবেন যে আপনি তাকে এই ধরনের জিনিস কিনে দেবেন না। তখন তিনি নিজেকে বদলে ফেললেও ফেলতে পারেন। তাই ঝটপট এই কাজে লেগে পড়ুন বন্ধু।
প্রেয়সীর দামি গিফটের আবদারে পুরুষের পকেট ফাঁকা
জনপ্রিয় সংবাদ