ঢাকা ০৩:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

১৮ বছরের কম বয়সীদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি

  • আপডেট সময় : ০১:৫৩:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ৮৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের ১৮ বছরের কম বয়সীদের করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ১২ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা দেওয়ার বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাতৃ, নবজাতক ও শিশু স্বাস্থ্য কর্মসূচির পরিচালক ডা. মো. শামসুল হক।
গতকাল রোববার দুপুরের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিন অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়। বুলেটিনে শামসুল হক করোনার টিকা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন। গত কিছুদিন ধরে ১২ বছরের বেশি বয়সীদের ফাইজার ও মডার্নার টিকা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। শামসুল হক বলেন, এখন পর্যন্ত সব ক্ষেত্রে টিকার বয়সসীমা ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে। ১৮ বছরের কম বয়সীদের টিকা দেওয়ার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো পরিকল্পনা নেই। ১২ বছরের বেশি বয়সীদের মডার্না বা ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে কী না, এটি করোনা বিষয়ক জাতীয় কমিটির সিদ্ধান্তের বিষয়। ভবিষ্যতে কোনো সিদ্ধান্ত হলে সেটি জানানো হবে।
শামসুল হক বলেন, করোনা বিষয়ক জাতীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৮ বছরের বেশি বয়সী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা হলে থাকেন তাদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে তাদের অনেকেই টিকা নিয়েছেন। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বের যেসব শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তাদের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধনের মাধ্যমে যেন টিকা নিতে পারেন সে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের মাধ্যমেই শিক্ষার্থীদের তথ্য অধিদপ্তরে আসতে হবে।
গণটিকা প্রথম ২ ঘণ্টা বয়োজ্যেষ্ঠ ও নারীদের জন্য : আগামীকাল ৭ সেপ্টেম্বর থেকে দেশে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী গণটিকাদান কর্মসূচির দ্বিতীয় ডোজ শুরু হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। তবে গণটিকা কর্মসূচির প্রথম দুই ঘণ্টায় টিকা গ্রহণে অগ্রাধিকার পাবেন বয়োজ্যেষ্ঠ ও নারীরা। স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে অংশ নিয়ে ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গণটিকাদান কর্মসূচির জন্য যে পরিমাণ টিকা প্রয়োজন, সেটা ইতোমধ্যেই জেলা-উপজেলায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আর গণটিকাদান কর্মসূচির দ্বিতীয় ডোজের ক্যাম্পেইন চলাকালে কেন্দ্রগুলোতে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের নিয়মিত টিকাদানও চলবে। স্বাস্থ্য অধিদফতর আরও জানায়, এবার গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু পর দিনের প্রথম দুই ঘণ্টা বয়োজ্যেষ্ঠ ও নারীদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
আগামীকাল ৭ সেপ্টেম্বর থেকে গণটিকাদান কর্মসূচির দ্বিতীয় ডোজ শুরু হতে যাচ্ছে জানিয়ে ডা. শামসুল হক বলেন, ‘সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত প্রথম দুই ঘণ্টা সিনিয়র সিটিজেন ও নারীদের টিকা দেওয়ার চেষ্টা করবো। এরপর অন্যদের টিকা দেওয়া হবে।’
এক্ষেত্রে প্রথমবার যারা টিকা নিয়েছেন, তাদেরকে আগের বারে আনা টিকাকার্ড এবারও সঙ্গে আনার অনুরোধ করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘গত ৭ থেকে ১২ আগস্ট যে ক্যাম্পেইন হয়েছিল, সেই ক্যাম্পেইনের দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান কর্মসূচি আগামী ৭ সেপ্টেম্বর শুরু হবে। একইভাবে, একই কেন্দ্রে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া হবে। যারা ক্যাম্পেইনের সময় যে কেন্দ্র থেকে টিকা নিয়েছেন, সেই কেন্দ্রে এসে দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহণ করবেন।’
টিকার আওতায় আসছেন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা : প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী টিকার আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ডা. শামসুল হক বলেন, ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সমাজকল্যাণ অধিদফতরের দেওয়া ‘সুবর্ণ কার্ডের’ মাধ্যমে নিবন্ধন করে যেন টিকা নিতে পারেন, সে চেষ্টা আমরা করছি। নতুন একটি উইন্ডো হবে, যেখান থেকে প্রতিবন্ধীরা টিকা নিতে পারবেন।’
তিনি বলেন, ‘তবে সবক্ষেত্রেই এখনও পর্যন্ত বয়সসীমা ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে। টিকা বিষয়ক জাতীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইউজিসির মাধ্যমে তালিকা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন করে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম। তারা অনেকেই টিকা নিয়েছেন। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তারা যেন জন্ম সনদ ব্যবহার করে নিবন্ধন করতে পারেন, আমরা সেই চেষ্টাও করছি। তবে সেই তালিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে আমাদের কাছে আসতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খুব তাড়াতাড়ি এই সুযোগটা আমরা দিতে পারবো বলে আশা করি।’ অন্তঃসত্ত্বাদের টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে আগের নিয়মে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অন্তঃসত্ত্বা নারীদের জন্য আমরা একটি ব্যবস্থা করতে পেরেছি। তারা মোবাইল ফোনে এসএমএস না পেলেও যে কেন্দ্রে তারা নিবন্ধন করেছেন, সেখানে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন। তবে এএনসি কার্ড বা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শপত্র, যাতে উল্লেখ থাকবে তিনি অন্তঃসত্ত্বা, সেটি সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। স্তন্যদানকারী নারীরাও এসএমএস ছাড়াই ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারবেন।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

১৮ বছরের কম বয়সীদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি

আপডেট সময় : ০১:৫৩:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের ১৮ বছরের কম বয়সীদের করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ১২ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা দেওয়ার বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাতৃ, নবজাতক ও শিশু স্বাস্থ্য কর্মসূচির পরিচালক ডা. মো. শামসুল হক।
গতকাল রোববার দুপুরের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিন অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়। বুলেটিনে শামসুল হক করোনার টিকা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন। গত কিছুদিন ধরে ১২ বছরের বেশি বয়সীদের ফাইজার ও মডার্নার টিকা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। শামসুল হক বলেন, এখন পর্যন্ত সব ক্ষেত্রে টিকার বয়সসীমা ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে। ১৮ বছরের কম বয়সীদের টিকা দেওয়ার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো পরিকল্পনা নেই। ১২ বছরের বেশি বয়সীদের মডার্না বা ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে কী না, এটি করোনা বিষয়ক জাতীয় কমিটির সিদ্ধান্তের বিষয়। ভবিষ্যতে কোনো সিদ্ধান্ত হলে সেটি জানানো হবে।
শামসুল হক বলেন, করোনা বিষয়ক জাতীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৮ বছরের বেশি বয়সী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা হলে থাকেন তাদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে তাদের অনেকেই টিকা নিয়েছেন। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বের যেসব শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তাদের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধনের মাধ্যমে যেন টিকা নিতে পারেন সে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের মাধ্যমেই শিক্ষার্থীদের তথ্য অধিদপ্তরে আসতে হবে।
গণটিকা প্রথম ২ ঘণ্টা বয়োজ্যেষ্ঠ ও নারীদের জন্য : আগামীকাল ৭ সেপ্টেম্বর থেকে দেশে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী গণটিকাদান কর্মসূচির দ্বিতীয় ডোজ শুরু হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। তবে গণটিকা কর্মসূচির প্রথম দুই ঘণ্টায় টিকা গ্রহণে অগ্রাধিকার পাবেন বয়োজ্যেষ্ঠ ও নারীরা। স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে অংশ নিয়ে ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গণটিকাদান কর্মসূচির জন্য যে পরিমাণ টিকা প্রয়োজন, সেটা ইতোমধ্যেই জেলা-উপজেলায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আর গণটিকাদান কর্মসূচির দ্বিতীয় ডোজের ক্যাম্পেইন চলাকালে কেন্দ্রগুলোতে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের নিয়মিত টিকাদানও চলবে। স্বাস্থ্য অধিদফতর আরও জানায়, এবার গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু পর দিনের প্রথম দুই ঘণ্টা বয়োজ্যেষ্ঠ ও নারীদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
আগামীকাল ৭ সেপ্টেম্বর থেকে গণটিকাদান কর্মসূচির দ্বিতীয় ডোজ শুরু হতে যাচ্ছে জানিয়ে ডা. শামসুল হক বলেন, ‘সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত প্রথম দুই ঘণ্টা সিনিয়র সিটিজেন ও নারীদের টিকা দেওয়ার চেষ্টা করবো। এরপর অন্যদের টিকা দেওয়া হবে।’
এক্ষেত্রে প্রথমবার যারা টিকা নিয়েছেন, তাদেরকে আগের বারে আনা টিকাকার্ড এবারও সঙ্গে আনার অনুরোধ করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘গত ৭ থেকে ১২ আগস্ট যে ক্যাম্পেইন হয়েছিল, সেই ক্যাম্পেইনের দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান কর্মসূচি আগামী ৭ সেপ্টেম্বর শুরু হবে। একইভাবে, একই কেন্দ্রে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া হবে। যারা ক্যাম্পেইনের সময় যে কেন্দ্র থেকে টিকা নিয়েছেন, সেই কেন্দ্রে এসে দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহণ করবেন।’
টিকার আওতায় আসছেন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা : প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী টিকার আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ডা. শামসুল হক বলেন, ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সমাজকল্যাণ অধিদফতরের দেওয়া ‘সুবর্ণ কার্ডের’ মাধ্যমে নিবন্ধন করে যেন টিকা নিতে পারেন, সে চেষ্টা আমরা করছি। নতুন একটি উইন্ডো হবে, যেখান থেকে প্রতিবন্ধীরা টিকা নিতে পারবেন।’
তিনি বলেন, ‘তবে সবক্ষেত্রেই এখনও পর্যন্ত বয়সসীমা ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে। টিকা বিষয়ক জাতীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইউজিসির মাধ্যমে তালিকা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন করে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম। তারা অনেকেই টিকা নিয়েছেন। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তারা যেন জন্ম সনদ ব্যবহার করে নিবন্ধন করতে পারেন, আমরা সেই চেষ্টাও করছি। তবে সেই তালিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে আমাদের কাছে আসতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খুব তাড়াতাড়ি এই সুযোগটা আমরা দিতে পারবো বলে আশা করি।’ অন্তঃসত্ত্বাদের টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে আগের নিয়মে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অন্তঃসত্ত্বা নারীদের জন্য আমরা একটি ব্যবস্থা করতে পেরেছি। তারা মোবাইল ফোনে এসএমএস না পেলেও যে কেন্দ্রে তারা নিবন্ধন করেছেন, সেখানে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন। তবে এএনসি কার্ড বা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শপত্র, যাতে উল্লেখ থাকবে তিনি অন্তঃসত্ত্বা, সেটি সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। স্তন্যদানকারী নারীরাও এসএমএস ছাড়াই ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারবেন।’