ঢাকা ১১:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণে বিশ্বাসী নয়: মেজর হাফিজ

  • আপডেট সময় : ০৮:৪৮:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪
  • ৯২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণে বিশ্বাসী নয়। তারা হয়তো ভাবে, দুই একটা মিছিল করলে দেশ ঠিক হয়ে যাবে, এগুলো এদের গুরুরা হয়তো শেখায়।
সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে ‘৭ই নভেম্বর আকাঙক্ষা ও আজকের রাজনীতির প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। হাফিজ বলেন, ১৬ বছর আওয়ামী লীগের ছিল ভয়াবহ দুঃশাসন। এই দলের নেতাদের কাজ ছিল শেখ মুজিব ও তার পরিবারের গুণগান গাওয়া, অর্থ লুটপাট করা, সেটি পাচার করা। তিনি বলেন, ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তবর্তীকালীন সরকার করা হয়েছে। এই সরকারের প্রধান কাজ, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। আমরা দেখতে পাচ্ছি ‘যে লঙ্কায় যায় সেই রাবণ হয়’। তারা দীর্ঘ ২০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকতে চায়। ইতোমধ্যেই সরকারের উপদেষ্টা পদে আওয়ামী ঘরানার বিভিন্ন লোক ঢুকে গেছে। ছাত্ররা আমাদের সন্তান সমতুল্য, তাদের কর্মকাণ্ড দেখলে মনে হয়, দেশটা তারাই স্বাধীন করেছে আর কেউ জীবন দেয়নি। বিএনপিসহ বিরোধীদলগুলোর হাজার নেতাকর্মী জীবন দিলো তাদের হিসাব নিকাশ কে করবে?
‘শুধু নির্বাচনের জন্য দুই হাজার মানুষ জীবন দেয়নি’ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সমন্বয়ক সারজিস আলমের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ভোট কি এতো সোজা? ভোট তো গণতন্ত্রের প্রতীক। ভোটের জন্যই তো ‘৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করেছি। ২৪- এর লড়াই তো হয়েছে বাক স্বাধীনতা, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রধান উপাদান। আর এরা বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য দেশ স্বাধীন হয়নি’। তাহলে কি, কীসের জন্য যুদ্ধ, এতো আত্মত্যাগ? ভোট কি এতোই হেলাফেলার বস্তু? অর্থাৎ এরা ( বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন) গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণে বিশ্বাসী নয়। তারা হয়তো ভাবে, দুই একটা মিছিল করলে দেশ ঠিক হয়ে যাবে, এগুলো এদের গুরুরা হয়তো শেখায়। তিনি বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সংস্কার করে নির্বাচন দেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি দেশ সংস্কার করবে। অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে হাফিজ বলেন, ইউনূস সরকারকে সমর্থন করি, ভবিষ্যতেও করব। কিন্তু আপনারা আজীবন ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করবেন না। ১০-২০ বছর ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করবেন না। যারা আওয়ামী লীগের কুশীলব ছিল, ১৬ বছর ধরে হালুয়া রুটি খেয়েছে, সুবিধা নিয়েছে, এরা এখনো বহাল তবিয়তে আছে, এদের সরাতে হবে। এটি শুধু অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নয়, রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্ব বটে। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাৎ। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমদ খানের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণে বিশ্বাসী নয়: মেজর হাফিজ

আপডেট সময় : ০৮:৪৮:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণে বিশ্বাসী নয়। তারা হয়তো ভাবে, দুই একটা মিছিল করলে দেশ ঠিক হয়ে যাবে, এগুলো এদের গুরুরা হয়তো শেখায়।
সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে ‘৭ই নভেম্বর আকাঙক্ষা ও আজকের রাজনীতির প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। হাফিজ বলেন, ১৬ বছর আওয়ামী লীগের ছিল ভয়াবহ দুঃশাসন। এই দলের নেতাদের কাজ ছিল শেখ মুজিব ও তার পরিবারের গুণগান গাওয়া, অর্থ লুটপাট করা, সেটি পাচার করা। তিনি বলেন, ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তবর্তীকালীন সরকার করা হয়েছে। এই সরকারের প্রধান কাজ, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। আমরা দেখতে পাচ্ছি ‘যে লঙ্কায় যায় সেই রাবণ হয়’। তারা দীর্ঘ ২০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকতে চায়। ইতোমধ্যেই সরকারের উপদেষ্টা পদে আওয়ামী ঘরানার বিভিন্ন লোক ঢুকে গেছে। ছাত্ররা আমাদের সন্তান সমতুল্য, তাদের কর্মকাণ্ড দেখলে মনে হয়, দেশটা তারাই স্বাধীন করেছে আর কেউ জীবন দেয়নি। বিএনপিসহ বিরোধীদলগুলোর হাজার নেতাকর্মী জীবন দিলো তাদের হিসাব নিকাশ কে করবে?
‘শুধু নির্বাচনের জন্য দুই হাজার মানুষ জীবন দেয়নি’ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সমন্বয়ক সারজিস আলমের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ভোট কি এতো সোজা? ভোট তো গণতন্ত্রের প্রতীক। ভোটের জন্যই তো ‘৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করেছি। ২৪- এর লড়াই তো হয়েছে বাক স্বাধীনতা, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রধান উপাদান। আর এরা বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য দেশ স্বাধীন হয়নি’। তাহলে কি, কীসের জন্য যুদ্ধ, এতো আত্মত্যাগ? ভোট কি এতোই হেলাফেলার বস্তু? অর্থাৎ এরা ( বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন) গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণে বিশ্বাসী নয়। তারা হয়তো ভাবে, দুই একটা মিছিল করলে দেশ ঠিক হয়ে যাবে, এগুলো এদের গুরুরা হয়তো শেখায়। তিনি বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সংস্কার করে নির্বাচন দেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি দেশ সংস্কার করবে। অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে হাফিজ বলেন, ইউনূস সরকারকে সমর্থন করি, ভবিষ্যতেও করব। কিন্তু আপনারা আজীবন ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করবেন না। ১০-২০ বছর ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করবেন না। যারা আওয়ামী লীগের কুশীলব ছিল, ১৬ বছর ধরে হালুয়া রুটি খেয়েছে, সুবিধা নিয়েছে, এরা এখনো বহাল তবিয়তে আছে, এদের সরাতে হবে। এটি শুধু অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নয়, রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্ব বটে। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাৎ। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমদ খানের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।