নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে অক্টোবর মাসে মোট ৭৮ জন পেশাদার ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির বিমানবন্দর থানা পুলিশ।
শনিবার (২ নভেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তাররা হলেন- মনিরুজ্জামান (৩৪), মো. দুঃখু মিয়া (৩০), মো. জাহাঙ্গীর গাজী (৫৫), মো. আমিনুল ইসলাম (৩০), মো.রাকিব (২৩), মো. মহসিন (৪৬), মো. ইসমাইল হোসেন ওরফে কালু (৩৭), মো. সোহাগ (২৫), মো.আকাশ ইসলাম (২৬), মো. কাউসার (৩৩), মো. সহিদ (৪১), মো.তাজুল ইসলাম (৪২), মো.ইকবাল হোসেন (৩০), মো.রানা (২৩), মো. শরীফ (২৯), মো.মারুফ আকমল সজীব (১৮), মো. হিরা(২১), মো. আলফাজ হোসেন জনি (৩৯), রুবেল(২৫), মো. লিটন(২০), মো. খোকন (৩৮), মো. মানিক (৪১), মো. আমিনুর রহমান (৩২), মো. মনি মিয়া (৩৫), মো.শাহাদাত হোসেন(৩২), মো. খোকন (৩৮), মো. মাসুদ শেখ(৩০), মো. মনির(২১), মো. শাহিন মিয়া (২৪), মো. সেলিম ইসলাম (২২), মো. রনি (২২), মো. সজিব মন্ডল (২৯), মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম (২২), মো. রাসেল (২৮), মো. রিফাত (১৮), মো. হাসান (২৯), জয়নাল উদ্দীন মিঠু (৪১), মো. জয় (২২), মো. হৃদয়(২৫), সুমন মিয়া(৩৮), বাবু শেখ (৪৪), মো.সোহেল ওরফে মুরগী সোহেল (২১), রাজা হোসেন বিশাল (১৯), মো. দুলু মিয়া (৩২), মো. সোহাগ মিয়া (২৭), মো. মুন্না(২৩), মো. ইমরান শেখ (২৩), ইখলাছ পালন (৩০), মো. রাকিব ওরফে সোহেল (২৩), মো. মমিন (৫৭), মো. ইসমাইল হোসেন (১৮), মো. ইসমাইল হোসেন (৩৪), মো. রফিকুল ইসলাম (৩৫), মো. নূর আলম (২৮), মো. রাজু আহমেদ ওরফে জাহিদ (৩১), অন্তর মিয়া (২১), গোলাম নবী (৩২), মো. কামরুল শরীফ (২১), মো. মারুফ সুমন (২১), মো. কাউসার (২২), মো. সাব্বির হোসেন (২২), মো.জুয়েল (২২), মো.মিন্টু (৩৫), মো. আজিজুল হক (৩৬), মো.রাসেল ঢালী (২৭), মোরশেদ (২৬), মো. সাব্বির হোসেন (২৩), মো. সানোয়ার হোসেন (৪০), মো. স্বপন আলী (২৭), মো.নাহিদ (২১), মো. নুরুজ্জামান (৪৮), মো. লাবু মিয়া (৩৯), আব্দুর রাজ্জাক (৪৩), আলী আকবর (৩২), মো. হৃদয় মঞ্জিল (২১), মো. সাকিব (২২), মো. জয় (২২) ও মো.সুমন ওরফে সুমন আলী ওরফে মনিরুজ্জামান সুমন সরদার (২১)। তিনি জানান, গত অক্টোবর মাসে বিমানবন্দর গোলচত্বর এলাকাসহ থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় পথচারী এবং বিদেশগামী যাত্রীদের মূল্যবান মালামাল ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে বিভিন্ন সময়ে তাদের গ্রেপ্তার করে বিমানবন্দর থানা পুলিশ। ছিনতাই প্রতিরোধে গোলচত্বর এলাকাসহ থানাধীন বিভিন্ন জায়গায় বিমানবন্দর থানা পুলিশের বিশেষ টিম নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে। সূত্র আরও জানায়, গ্রেপ্তার প্রায় প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ডিএমপির বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট গ্রেপ্তারেরদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেছেন।
ঢাকার যেসব এলাকায় ছিনতাই-ডাকাতি-খুন বেশি: ছিনতাই, ডাকাতি ও খুন বেড়েছে রাজধানীতে। ঢাকার বিভিন্ন এলাকার প্রধান সড়ক থেকে অলিগলি, এমনকি অভিজাতপাড়ায়ও এমন ঘটনা ঘটছে। এতে নগরবাসীর দিন কাটছে আতঙ্কে।
গত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে ঢাকায় ১৯২ জন খুন হয়েছেন। এর মধ্যে কেবল মোহাম্মদপুরেই খুনের ঘটনা ঘটেছে ২১টি। মোহাম্মদপুর এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে গত শনিবার থানার সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে (অক্টোবরের ২৩ তারিখ পর্যন্ত) রাজধানীতে ১৯২ জন খুন হয়েছেন। শুধু মোহাম্মদপুরেই ২১টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে রাজধানীতে খুনের ঘটনা ছিল ১১টি, অক্টোবরে ১৯টি। ডিএমপির কাছ থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, গত মাসের প্রথম ২৩ দিনে রাজধানীতে ২৬টি ছিনতাইয়ের মামলা হয়েছে। একই সময়ে ডাকাতির মামলা হয় চারটি। এর আগের মাস সেপ্টেম্বরে ১৫টি ছিনতাই ও ৫টি ডাকাতির মামলা হয়। গত বছরের সেপ্টেম্বরে রাজধানীতে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ২৯টি মামলা হয়েছিল। ডাকাতির কোনো মামলা হয়নি। ওই বছরের অক্টোবরে ছিনতাইয়ের মামলা ছিল ২৮টি, ডাকাতির মামলা ৩টি। নানা কারণে মোহাম্মদপুর আগে থেকেই রাজধানীর অপরাধপ্রবণ এলাকাগুলোর একটি। জনবল-সংকটের কারণে পুলিশ সেখানে ঠিকমতো টহল দিতে পারছে না। সাম্প্রতিক সময়ে মোহাম্মদপুরে খুন, ছিনতাই, ডাকাতি ও সংঘর্ষের ঘটনাসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে স্থানীয় বাসিন্দারা গত শনিবার সন্ত্রাসমুক্ত মোহাম্মদপুরের দাবিতে থানার সামনে প্রতিবাদ জানান। এরপর ওই দিন রাতেই সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাব যৌথ অভিযান শুরু করে।