কালিজিরাকে বলা হয় সুপারফুড। ত্বক ও চুলের যত্নে কালিজিরা বেশ উপকারী। তবে কালিজিরা সাধারণত রান্নায় ফোড়ন হিসেবেই ব্যবহার করা হয়। আবার ঠান্ডা লেগে হঠাৎ নাক দিয়ে পানির স্রোতের মতো সর্দিধারা নামতে থাকলে, কালিজিরার ঘ্রাণ দারুণ কাজ দেয়। চুল পড়া রুখতে নারিকেল তেলে কালিজিরা ফুটিয়ে সেই তেলও মাখেন অনেকে।
ছোট্ট এই মসলায় অনেক গুণ রয়েছে। তা হলো-
= কালিজিরা দিয়ে তৈরি চায়ে চুমুক দিলে মাথাধরা কিংবা মাথা ব্যথার কষ্ট অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। ঘরোয়া টোটকা হিসেবে কপালে কালিজিরার তেল মাখেন অনেকে। তাতেও কাজ হয়।
= কালিজিরার মধ্যে ফাইবারের পরিমাণ বেশি। হজমশক্তি জোরদার করতে এই পানীয়ে চুমুক দেওয়া যেতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়েও কালিজিরার চা ভালো।
= মৌসুম বদলের সময়ে শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ হতে পারে। যাদের ‘সিওপিডি’র সমস্যা রয়েছে, তারাও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই পানীয়ে চুমুক দিতে পারেন।
= শীত পড়ার সময়ে মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে মাথার ত্বকের অস্বস্তি বৃদ্ধি পায়। নখ দিয়ে বার বার চুলকালে ‘হেয়ার ফলিকল’ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, চুল পড়ার পরিমাণও বেড়ে যায়। কালিজিরা দিয়ে তৈরি চা এই ধরনের সমস্যা বশে রাখে।
= বিভিন্ন গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে কালিজিরা। সকালে খালি পেটে অনেকেই তো কুসুম গরম পানিতে মধু, লেবুর রস মিশিয়ে খেয়ে থাকেন। তার সঙ্গে অল্প কয়েকটা কালিজিরা যদি নিয়মিত খেতে পারেন, তাতেই কাজ হবে।
রান্নায় কালিজিরা সাধারণত ফোড়ন হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তবে পানিতে এই মসলা ফুটিয়ে, ছেঁকে নিয়ে চায়ের মতো খেলে বেশি উপকার মিলবে।
আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ