লিওনারা ক্যারিংটন: খুব পাতলা লম্বা একজন মহিলা জানালার কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন। জানালাটাও ছিল খুব উঁচু এবং পাতলা। মহিলাটার মুখ ছিল ফ্যাকাশে এবং বিষণ্ন। তিনি একেবারেই নড়াচড়া করেননি, এবং তার চুলে তিতিরের পালকটা ছাড়া জানালায় আর কিছুই নড়েনি। আমার চোখে পালকটা কাঁপতে থাকল: জানালায় এটা এতটাই নড়ছিল ছিল, যেন সেখানে আর কিছুই নড়ছিল না!
সপ্তমবারের মতো এই জানালার সামনে দিয়ে আমি গেলাম। দুঃখী ভদ্রমহিলাটা একটুও নড়েননি; সেই সন্ধ্যায় খুব ঠান্ডা থাকা সত্ত্বেও আমি থেমে দাঁড়ালাম। সম্ভবত ঘরের আসবাবপত্রও মহিলা এবং জানালার মতো লম্বা এবং পাতলা ছিল। তাদের বিড়ালও, যদি একটা বিড়াল থেকে থাকে, তাদের মার্জিত অনুপাত মেনে চলবে। আমার জানার ইচ্ছা হয়েছিল, আমার কৌতূহল অনেক বেড়ে গিয়েছিল, একটা অপ্রতিরোধ্য ইচ্ছা আমাকে বাড়িটার মধ্যে প্রবেশ করার জন্য যেন টেনে ধরেছিল, শুধু খুঁজে দেখার জন্য।
আমি ঠিক কি করছি তা জানার আগেই আমি নিচের হলের মধ্যে পৌঁছে গিয়েছিলাম। আমার পেছনে দরজাটা নীরবে বন্ধ হয়ে গেল এবং জীবনে প্রথম বারের মতো আমি এরকম সুন্দর একটা বাড়ি সামনাসামনি দেখতে পেলাম। এটা ছিল বিহ্বল করার মতো। শুরুর দিকে সেখানে এমন এক অদ্ভুত রকমের নীরবতা ছিল যে শ্বাস নেওয়ার সাহস দেখাতে আমার কষ্ট হচ্ছিল। তার উপর সেখানে ছিল অবিশ্বাস্য রকমের সুন্দর আসবাবপত্র এবং তার অলংকার। প্রতিটা চেয়ার সাধারণ চেয়ারের থেকে অন্তত দ্বিগুণ লম্বা এবং খুব সরু ছিল। এখানে বাস করা এই অভিজাতদের প্লেটগুলো ছিল ডিম্বাকৃতির, সাধারণ প্লেটের মতো গোলাকার ছিল না। ড্রয়িং রুমটা, যেটাতে দুঃখী ভদ্রমহিলা দাঁড়িয়ে ছিলেন, ফায়ারপ্লেসের সুন্দর আলোর ছটা দিয়ে সুশোভিত। ফায়ারপ্লেসের কাছে একটা টেবিলে চায়ের কাপ আর কেক রাখা ছিল, একটা চায়ের কাপে নিঃশব্দে চা ঢেলে দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিল।
পেছন থেকে দেখে ভদ্রমহিলাকে আরও লম্বা মনে হলো। তিনি অন্তত দশ ফুট লম্বা ছিলেন। সমস্যাটা ছিল তার সাথে কীভাবে কথা বলা যায়। আবহাওয়া দিয়ে শুরু করা যায়, কতটা খারাপ ছিল এটা? খুবই সাধারণ। কবিতার কথা? কিন্তু কোন কবিতা?
‘ম্যাডাম, আপনি কি কবিতা পছন্দ করেন?’
‘না, আমি কবিতা ঘৃণা করি’। একঘেয়ে গলায় তিনি উত্তর দিলেন, আমার দিকে না ফিরেই।
‘এক কাপ চা খান, এটা খেলে আপনার হয়ত একটু ভালো লাগবে।’
‘আমি চা খাই না, কিছুই খাই না। আমার বাবার বিরুদ্ধে এটা একটা প্রতিবাদ, জারজ একটা।’
পনেরো মিনিট নীরবতার পর তিনি ঘুরে দাঁড়ালেন, আমি তার যৌবন দেখে বিস্মিত। তার বয়স সম্ভবত ষোল।
‘বয়সের তুলনায় তুমি অনেক লম্বা, মিস। আমার বয়স যখন ষোল বছর ছিল তখন আমি লম্বায় তোমার অর্ধেক ছিলাম।’
‘তাতে আমার কিছু যায় আসে না। যাই হোক, একটু চা দাও, কিন্তু কাউকে কিছু বল না। আমাকে ওই কেকগুলোর একটাও দিও, তবে তুমি যাই কর না কেন, মনে রেখ যে কাউকে কিছু বলা যাবে না।’
আশ্চর্য করার মতো ক্ষুধা নিয়ে যেন সে খেল। যখন সে বিশ নাম্বার কেকটা খেয়ে শেষ করল, সে বলল, ‘আমি ক্ষুধায় মরে গেলেও সে কখনো জিতবে না। চারটা বড় কালো ঘোড়ায় একটা শবযাত্রা চলে যাওয়া দেখতে পাচ্ছি, চকচক করছে সেটা। ওরা ধীরে ধীরে হাঁটছে, আমার ছোট্ট কফিনটায় সাদা লাল গোলাপ বয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আর মানুষ কাঁদছে, কাঁদছে…।’
সে কাঁদতে লাগল।
‘সুন্দর লুক্রেশিয়ার ছোট্ট লাশটার দিকে তাকাও। এবং তুমি জানো, একবার মরে গেলে তোমার আর কিছুই করার থাকে না। তাকে বিরক্ত করার জন্য নিজে অনাহারে মরে যাওয়াটাও আমি পছন্দ করব। শুয়োর একটা।’
এই কথাগুলো বলে সে ধীরে ধীরে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। আমি তাকে অনুসরণ করলাম।
তৃতীয় তলায় পৌঁছে আমরা একটা বিশাল নার্সারির মধ্যে ঢুকে পড়লাম যেখানে শত শত জরাজীর্ণ ও ভাঙা খেলনা পড়ে ছিল। লুক্রেশিয়া একটা কাঠের ঘোড়ার কাছে গেল। এটার অনেক বয়স সত্ত্বেও-অবশ্যই একশ বছরের কম না-এটা কাঠের একটা রকারের উপর সুন্দর করেই দাঁড়ানো অবস্থায় ছিল।
‘তাতার আমার সবচেয়ে প্রিয়’- ঘোড়ার মুখটায় আদর করে সে বলল। ‘আমার বাবাকে সে ঘৃণা করে।’
তাতার তার রকারগুলোতে মৃদুভাবে নিজেকে দোলাল, এবং আমি অবাক হয়েছিলাম কীভাবে সে নিজে নিজে সামনে এগিয়ে যেতে পারত। নিজের হাত একসাথে আঁকড়ে ধরে লুক্রেশিয়া তার দিকে তাকাল।
‘এভাবে সে অনেক দীর্ঘ পথ ভ্রমণ করছে’- সে বলেছিল। ‘এবং যখন সে ফিরে আসবে তখন সে আমাকে মজার কিছু একটা বলবে।’
দরজার বাইরে তাকিয়ে দেখলাম তুষারপাত হচ্ছিল। খুব ঠান্ডা ছিল। কিন্তু লুক্রেশিয়া এটা লক্ষ্য করেনি। জানালায় হালকা আওয়াজ তার দৃষ্টি আকর্ষণ করল।
‘এটা মাতিলদা’- সে বলল। ‘জানালাটা আমার খোলা রাখা উচিত ছিল। যাই হোক, এখানে দমবন্ধ লাগছে।’ বলেই সে জানালার কাচটা ভেঙে ফেলল এবং কিছু তুষারের সাথে একটা ম্যাগপাই ঘরের মধ্যে এসে পড়ল, যেটা ঘরের চারপাশে উড়েছিল তিন বার।
‘মাতিলদা এভাবে কথা বলে। আমি তার জিহ্বা কেটে দুই ভাগ করার পর দশ বছর হয়ে গেছে। কী সুন্দর একটা প্রাণী।’
‘সুন্দর প্রাআআণী’- জাদুকরী কণ্ঠে চিৎকার করে উঠল মাতিলদা।
‘সুন্দর প্রাআআণী।’
মাতিলদা গিয়ে তাতারের মাথায় গিয়ে বসল। ঘোড়াটা তখনও আলতোভাবে ছুটছিল। বরফ দিয়ে সে ঢাকা ছিল।
‘তুমি কি আমাদের সাথে খেলতে এসেছ?’- জিজ্ঞেস করল লুক্রেশিয়া। ‘আমার ভালো লাগছে। কারণ আমি এখানে থেকে খুব বিরক্ত। আসো আমরা মনে করি যে আমরা সবাই ঘোড়া। আমি নিজেকে ঘোড়ায় পরিণত করব; কিছু তুষার সঙ্গে, এটা আরো বিশ্বাসযোগ্য লাগবে। তুমিও ঘোড়া হও, মাতিলদা।’
‘ঘোড়া, ঘোড়া, ঘোড়া’- মাতিলদা চিৎকার করল, তাতারের মাথার উপর পাগলের মতো নাচতে থাকল। লুক্রেশিয়া গিয়ে তুষারে ঝাপ দিল, যেটা ছিল গভীর, এবং সেটার মধ্যেই গড়িয়ে চিৎকার করে বলছে, ‘আমরা সবাই ঘোড়া!’
যখন সে উঠে দাঁড়াল, তখন সেটার প্রভাবটা দেখতে ছিল বিস্ময়কর। আমি যদি আগে থেকেই না জানতাম যে এটা ছিল লুক্রেশিয়া, আমি শপথ করে বলতাম যে এটা ছিল একটা ঘোড়া। তাকে দেখতে সুন্দর লাগছিল, তার চারপাশটা চকচকে সাদা, আর তার চারটা পা ছিল সুঁচের মতো। এবং তার দীর্ঘ মুখের চারপাশে থাকা কেশর দেখে মনে হচ্ছিল যেন সেখান দিয়ে পানির ধারা বইছিল। আনন্দে সে হাসছিল এবং তুষারের চারপাশে পাগলের মতো নাচছিল।
‘চল, চল, তাতার, আমি কিন্তু তোমার চেয়ে তাড়াতাড়ি যাব।” তাতার তার গতি পাল্টায়নি। কিন্তু তার চোখ জ্বলজ্বল করছিল। তার শুধু চোখজোড়াই দেখা যাচ্ছিল। কারণ সে ছিল তুষারে ঢাকা। মাতিলদা কাত হয়ে তার মাথা দেয়ালে নিয়ে আঘাত করল। আমি পোলকার মতো কিছু একটা নাচার চেষ্টা করতে থাকলাম যাতে ঠান্ডায় জমে মারা না যাই।
হঠাৎ আমি লক্ষ্য করলাম যে দরজাটা খোলা, এবং একজন বুড়ি মহিলা দরজায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। সম্ভবত তিনি সেখানে অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আমি তাকে খেয়াল করিনি। লুক্রেশিয়ার দিকে তিনি ক্রুদ্ধ একটা দৃষ্টিতে তাকালেন।
‘এখনই থামো’- তিনি চিৎকার করে উঠলেন, হঠাৎ যেন ক্রোধে অন্ধ হয়ে কাঁপছেন। ‘কি হচ্ছে এসব, আমার মেয়েরা? লুক্রেশিয়া, তুমি জানো যে আছে তোমার বাবা এই খেলাটা খেলতে একদমই নিষেধ করেছেন। এই খেলাটা হাস্যকর। তুমি এখন আর বাচ্চা না।’
লুক্রেশিয়া নাচতেই থাকল, তার চারটা পা বিপজ্জনকভাবে বুড়ো মহিলাটার আশপাশে ঝুলতে থাকল; তার হাসিটা ছিল তীব্র।
‘থামো, লুক্রেশিয়া!’
লুক্রেশিয়ার কণ্ঠস্বর আরও তীব্র হয়ে উঠল। তার হাসির পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে গেল।
‘ঠিক আছে’Ñ বুড়ি মহিলাটা বলল। ‘আমার কথা তুমি মানবে না। তাই না মেয়ে? ঠিক আছে, তুমি আফসোস করবে। তোমাকে আমি তোমার বাবার কাছে নিয়ে যাব।’
তার একটা হাত পেছনে লুকানো ছিল। কিন্তু এরকম বয়স্ক একজনের জন্য এটা ছিল আসলেই অনেক আশ্চর্যজনক গতি, তিনি লুক্রেশিয়ার পিঠের উপর উঠে পড়লেন এবং তাকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করলেন। লুক্রেশিয়া বাতাসে লাফ দিয়ে উঠল, ক্রোধে ঝাঁপাতে লাগল, কিন্তু বুড়ি তাকে শক্ত করে ধরে রাখলেন। তারপর বুড়ি মহিলাটা আমাকে আমার চুলে ধরে এবং মাতিলদাকে তার মাথা চেপে ধরে তুলে নিল। আমাদের চারজন যেন একটা উন্মত্ত নাচের মধ্যে পড়ে গিয়েছিলাম। করিডোরে লুক্রেশিয়া সবদিকে লাথি মেরে থাকল এবং ছবি, চীনামাটির বাসন আর চেয়ার ভেঙে ফেলল। বুড়ি মহিলাটা তার পিঠে শামুকের মতো আঁকড়ে ধরে রাখলেন। আমার সারা শরীর কেটে গিয়েছিল, এবং মনে হয়েছিল মাতিলদা অবশ্যই হয়ত মারা গিয়েছে, কারণ দুঃখজনকভাবে সে বুড়ির হাতে একটা ন্যাকড়ার মতো শুধু দুলছিল।
ডাইনিং রুমে সত্যিকারের একটা হাঙ্গামার মধ্যে আমরা ঢুকে পড়েছিলাম। দীর্ঘ একটা টেবিলের শেষ মাথায় বসা একজন বৃদ্ধ ভদ্রলোক, যাকে দেখে জ্যামিতিক চিত্র চাড়া আর কিছুর মতোই লাগছিল, নিজের খাবার শেষ করছিলেন। হঠাৎ করে রুমটার ভেতর পিন পতন নীরবতা নেমে আসল। লুক্রেশিয়া তার বাবার দিকে ফোলা চোখ দিয়ে তাকাল।
‘তাহলে তুমি আবার তোমার পুরোনো কৌশল শুরু করছ’- একটা হ্যাজেলনাট ভেঙে তিনি বললেন। ‘মাদেমোজেল দে লা রোসফ্রয়েড তোমাকে এখানে নিয়ে এসে ভালো কাজ করেছেন। তোমাকে আমি ঘোড়া হয়ে খেলতে নিষেধ করার পর ঠিক তিন বছর তিন দিন হয়ে গেছে। এই নিয়ে তোমাকে আমার সপ্তম বারের মতো শাস্তি দিতে হচ্ছে, এবং তুমি অবশ্যই জানো যে আমাদের পরিবারে সাত হচ্ছে শেষ সংখ্যা। আমার মনে হচ্ছে, আমার প্রিয় লুক্রেশিয়া, এবার তোমাকে আমার খুব কঠিন একটা শাস্তি দিতে হবে।’
যে মেয়েটা ঘোড়ার চেহারা নিয়েছিল সে আর নড়ছিল না, কিন্তু তার নাসারন্ধ্র কাঁপছিল।
‘আমি যা করতে যাচ্ছি তা সম্পূর্ণরূপে তোমার নিজের ভালোর জন্য, আমার প্রিয়।’ তার কণ্ঠ ছিল খুব মৃদু। ‘তাতারের সাথে খেলা তোমাকে আর মানায় না। তাতার হলো শিশুদের জন্য। আমি নিজে তাকে পুড়িয়ে ফেলব, যতক্ষণ পর্যন্ত আর তার কিছু বাকি না থাকে।’
লুক্রেশিয়া ভয়ানকভাবে কান্নাকাটি করে হাঁটুতে পড়ে গেল।
‘ওটা না বাবা, ওটা করো না।’
বুড়ো লোকটা সুন্দর করে হেসে আরেকটা হ্যাজেলনাট ভাঙল।
‘সপ্তমবারের মতো এটা, আমার প্রিয় মেয়ে।’
ঘোড়া হয়ে থাকা লুক্রেশিয়ার বিরাট চোখ থেকে পানি ঝরে পড়ছিল এবং মুখে লেগে থাকা বরফের আস্তরণের মধ্যে দুটো সরু পথ করে দিল। তাকে দেখতে এমন চকচকে দেখাচ্ছিল যেন মনে হচ্ছিল সে তারার মতো জ্বলজ্বল করছিল।
‘দয়া করো, বাবা, দয়া করো। তাতারকে পুড়িয়ে ফেলো না।’
তার তীব্র কণ্ঠস্বর পাতলা থেকে আরও পাতলা হয়ে উঠল এবং সে তাড়াতাড়ি সে হাঁটু সমান পানির মধ্যে বসে পড়ল। আমি ভয় পেয়েছিলাম যে সে হয়ত গলে যাবে।
‘মাদেমোজেল দে লা রোসফ্রয়েড, মিস লুক্রেশিয়াকে বাইরে নিয়ে যান’Ñ তার বাবা বললেন এবং বুড়ো মহিলাটা চিকন হয়ে পড়া এবং কাঁপতে থাকা অসহায় প্রাণীটাকে নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন।
আমার মনে হয় না তিনি লক্ষ্য করেছিলেন যে আমিও সেখানে ছিলাম। দরজার আড়ালে আমি লুকিয়ে রইলাম আর বুড়ো লোকটাকে নার্সারিতে যেতে শুনলাম। একটু পরেই আমার আমার আঙুল দিয়ে কানটা বন্ধ করতে হলো, কারণ উপরের তলা থেকে ঘোড়ার ভয়ংকর রকমের চিৎকার করার আওয়াজ আসছিল, যেন একটা প্রাণী চরম নির্যাতন ভোগ করছিল।
[লিওনারা ক্যারিংটন (১৯১৭-২০১১) একজন ব্রিটিশ-মেক্সিক্যান পরাবাস্তববাদী চিত্রশিল্পী ও ঔপন্যাসিক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মাঝেই তিনি ইউরোপ থেকে পালিয়ে মেক্সিকো চলে যান এবং বাকি জীবন সেখানেই কাটান। সারা বিশ্বের নারী পরাবাস্তববাদী চিত্রশিল্পীদের মধ্যে তাকে এখনও অগ্রগণ্য ধরা হয়। তার বিখ্যাত উপন্যাস ‘পাথরের দরজা’ (১৯৭৭); গল্পের বই ‘ভয়ের বাড়ি’ (১৯৮৮) এবং ‘ডিম্বাকার নারী: পরাবাস্তববাদী গল্প’ (১৯৭৫)]।
আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ