ঢাকা ০৬:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

সুবর্ণচরে ইটভাটা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

  • আপডেট সময় : ০৬:৩৬:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪
  • ৬৭ বার পড়া হয়েছে

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে প্রায় ২০টি ইটভাটা। যার বেশির ভাগ ভাটায় ইট তৈরিতে পোড়ানো হচ্ছে দেশীয় গাছ-কাঠ। অবাধে ব্যবহার করা হচ্ছে ফসলী জমির মাটি। এতে একদিকে যেমন ধ্বংস হচ্ছে বনায়ন, ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষি। কাঠ পোড়ানোর কালো ধোঁয়ায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। দীর্ঘদিন ধরে এ ইটভাটাগুলো চললেও এ বিষয়ে প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। নিরূপায় হয়ে এ ইটভাটাগুলো বন্ধের দাবিতে রাস্তায় নেমেছে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ। ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে বৃহস্পতিবার সকালে সুবর্ণচরের সচেতন নাগরিক সমাজের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করা হয়। এ কর্মসূচিতে কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষার্থী’সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষজন অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে বক্তারা জানান, ইটভাটাগুলোতে গাছ, মাটি ও ইট পরিবহনের জন্য যে ট্রাক্টর-পাওয়ার টিলার ব্যবহার করা হয়, যার কারণে গ্রামীণ সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কালেভদ্রে লোক দেখানো কয়েকটি অভিযান হলেও প্রতিটি ভাটায় জিকজাক চিমনির পাশাপাশি ব্যবহার করা হচ্ছে একাধিক বাংলা চিমনি। অথচ ২০১৩ সালে ইটভাটা সংক্রান্ত এক পরিপত্রে বাংলা চিমনি অবৈধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে নিরব ভূমিকায় পরিবেশ অধিদপ্তর, উপজেলা ও জেলা প্রশাসন’সহ সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারি সংস্থাগুলো। প্রশাসনকে বৃদ্ধাআঙুল দেখিয়ে ও ম্যানেজ করে চলছে অবৈধ ভাটাগুলোর এমন কার্যক্রম অভিযোগ স্থানীয়দের। তারা আরও জানান, ইটভাটার কালো ধোয়া আশপাশের পরিবেশ দূষিত করে তুলছে। প্রতিদিন দুপুরের পর থেকে ইটভাটা এলাকাগুলোতে অন্ধকার নেমে আসে। কালো ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে পড়ে পুরো এলাকা। পুড়ে যাচ্ছে কাঁচা গাছপালা, অসুস্থ হচ্ছে শিশু, বৃদ্ধ’সহ মানুষজন। আগামী ৭দিনের মধ্যে মানবদেহে ক্ষতিকর ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে উপজেলা প্রশাসন ঘেরাও এবং অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন স্থানীয়রা।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পেলেন সৌরভ গাঙ্গুলী

সুবর্ণচরে ইটভাটা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০৬:৩৬:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে প্রায় ২০টি ইটভাটা। যার বেশির ভাগ ভাটায় ইট তৈরিতে পোড়ানো হচ্ছে দেশীয় গাছ-কাঠ। অবাধে ব্যবহার করা হচ্ছে ফসলী জমির মাটি। এতে একদিকে যেমন ধ্বংস হচ্ছে বনায়ন, ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষি। কাঠ পোড়ানোর কালো ধোঁয়ায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। দীর্ঘদিন ধরে এ ইটভাটাগুলো চললেও এ বিষয়ে প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। নিরূপায় হয়ে এ ইটভাটাগুলো বন্ধের দাবিতে রাস্তায় নেমেছে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ। ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে বৃহস্পতিবার সকালে সুবর্ণচরের সচেতন নাগরিক সমাজের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করা হয়। এ কর্মসূচিতে কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষার্থী’সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষজন অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে বক্তারা জানান, ইটভাটাগুলোতে গাছ, মাটি ও ইট পরিবহনের জন্য যে ট্রাক্টর-পাওয়ার টিলার ব্যবহার করা হয়, যার কারণে গ্রামীণ সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কালেভদ্রে লোক দেখানো কয়েকটি অভিযান হলেও প্রতিটি ভাটায় জিকজাক চিমনির পাশাপাশি ব্যবহার করা হচ্ছে একাধিক বাংলা চিমনি। অথচ ২০১৩ সালে ইটভাটা সংক্রান্ত এক পরিপত্রে বাংলা চিমনি অবৈধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে নিরব ভূমিকায় পরিবেশ অধিদপ্তর, উপজেলা ও জেলা প্রশাসন’সহ সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারি সংস্থাগুলো। প্রশাসনকে বৃদ্ধাআঙুল দেখিয়ে ও ম্যানেজ করে চলছে অবৈধ ভাটাগুলোর এমন কার্যক্রম অভিযোগ স্থানীয়দের। তারা আরও জানান, ইটভাটার কালো ধোয়া আশপাশের পরিবেশ দূষিত করে তুলছে। প্রতিদিন দুপুরের পর থেকে ইটভাটা এলাকাগুলোতে অন্ধকার নেমে আসে। কালো ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে পড়ে পুরো এলাকা। পুড়ে যাচ্ছে কাঁচা গাছপালা, অসুস্থ হচ্ছে শিশু, বৃদ্ধ’সহ মানুষজন। আগামী ৭দিনের মধ্যে মানবদেহে ক্ষতিকর ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে উপজেলা প্রশাসন ঘেরাও এবং অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন স্থানীয়রা।