ঢাকা ০৮:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

উজিরপুরের লোককথা

  • আপডেট সময় : ০৭:১২:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪
  • ৭৫ বার পড়া হয়েছে

মোরশেদুল আমিন শাহীন

 

উজিরপুর উপজেলা। বরিশাল জেলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও লোকসংস্কৃতির এক পীঠস্থান। এই জনপদে বিভিন্ন ধর্মের লোকজন মিলেমিশে এক অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। এখানের মানুষের কথ্যভাষায়ও রয়েছে বৈচিত্র্য।
আজ ২০২৪ সাল। ধরুন ১৫০০ শতাব্দী বা ১৬০০ শতাব্দী সময়কালের মানুষের কথাবার্তা-তাদের আচার-আচরণ যা সভ্যতার বিকাশের সাথে সাথে পরিবর্তিত হচ্ছে। তাদের মুখের সেই কথাগুলোই আজকে আমরা লোকঐতিহ্য হিসেবে সংগ্রহ করছি।
বামরাইল ইউনিয়নের হস্তিশুন্ড গ্রাম থেকে এ লোককথাটি সংগ্রহ করেছেন মোরশেদুল আমিন শাহীন।

ক.
বুড়ি লো বুড়ি
দাওহান দে।
দাও দিয়া হরবা কী?
পাতা কাডমু
পাতা দিয়া হরবা কী?
বোউরে আগামু, হোচামু
তুইল্লা তুইল্লা নাচামু।

শব্দ পরিচিতি : দাওহান= লোহা দিয়ে তৈরি দাও, দাওটি, হরবা=করবা,
আগামু= হাগানো/মলত্যাগ, হোচামু=শৌচকর্ম

প্রেক্ষাপট : গ্রামে দাদি আর নাতি/নাতনির মধ্যে অনেক হাস্যরসাত্মক কথাবার্তা হয়ে থাকে। কথায় ও কাজের মাঝে হাসিতামাশাও করে। আর সেগুলো ছড়া আকারে তারা বলে থাকে।
দাদি তার নাতনিকে বুড়ি হিসেবে ডেকে বলছে-বুড়ি লো বুুড়ি।
দাদি নাতনির এ কথোপকথনের মধ্যে তৎকালীন কিছু চিত্রও আমরা পেয়ে থাকি। যেমন- ২০২৪ সালের পেছনে ১০০ বছর আগে এ দেশের গ্রামে-গঞ্জে পায়খানা করে টিসু ব্যবহার বা পাকা টয়লেটের কোনো হদিস ছিল না। শৌচকর্মের সময় মলদ্বারে কলাপাতা বা অন্য কোনো গাছের পাতা দিয়ে পরিষ্কার করতো। বাড়িতে নতুন বউ এলে তাকে নিয়ে সবাই মেতে উঠতো আনন্দ-উল্লাসে।

সংগ্রহকারী : মোরশেদুল আমিন শাহীন
সংগ্রহস্থান: হস্তিশুন্ড, বামরাইল, উজিরপুর, বরিশাল
সংগ্রহকাল: ২০২৪ সাল

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

উজিরপুরের লোককথা

আপডেট সময় : ০৭:১২:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

মোরশেদুল আমিন শাহীন

 

উজিরপুর উপজেলা। বরিশাল জেলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও লোকসংস্কৃতির এক পীঠস্থান। এই জনপদে বিভিন্ন ধর্মের লোকজন মিলেমিশে এক অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। এখানের মানুষের কথ্যভাষায়ও রয়েছে বৈচিত্র্য।
আজ ২০২৪ সাল। ধরুন ১৫০০ শতাব্দী বা ১৬০০ শতাব্দী সময়কালের মানুষের কথাবার্তা-তাদের আচার-আচরণ যা সভ্যতার বিকাশের সাথে সাথে পরিবর্তিত হচ্ছে। তাদের মুখের সেই কথাগুলোই আজকে আমরা লোকঐতিহ্য হিসেবে সংগ্রহ করছি।
বামরাইল ইউনিয়নের হস্তিশুন্ড গ্রাম থেকে এ লোককথাটি সংগ্রহ করেছেন মোরশেদুল আমিন শাহীন।

ক.
বুড়ি লো বুড়ি
দাওহান দে।
দাও দিয়া হরবা কী?
পাতা কাডমু
পাতা দিয়া হরবা কী?
বোউরে আগামু, হোচামু
তুইল্লা তুইল্লা নাচামু।

শব্দ পরিচিতি : দাওহান= লোহা দিয়ে তৈরি দাও, দাওটি, হরবা=করবা,
আগামু= হাগানো/মলত্যাগ, হোচামু=শৌচকর্ম

প্রেক্ষাপট : গ্রামে দাদি আর নাতি/নাতনির মধ্যে অনেক হাস্যরসাত্মক কথাবার্তা হয়ে থাকে। কথায় ও কাজের মাঝে হাসিতামাশাও করে। আর সেগুলো ছড়া আকারে তারা বলে থাকে।
দাদি তার নাতনিকে বুড়ি হিসেবে ডেকে বলছে-বুড়ি লো বুুড়ি।
দাদি নাতনির এ কথোপকথনের মধ্যে তৎকালীন কিছু চিত্রও আমরা পেয়ে থাকি। যেমন- ২০২৪ সালের পেছনে ১০০ বছর আগে এ দেশের গ্রামে-গঞ্জে পায়খানা করে টিসু ব্যবহার বা পাকা টয়লেটের কোনো হদিস ছিল না। শৌচকর্মের সময় মলদ্বারে কলাপাতা বা অন্য কোনো গাছের পাতা দিয়ে পরিষ্কার করতো। বাড়িতে নতুন বউ এলে তাকে নিয়ে সবাই মেতে উঠতো আনন্দ-উল্লাসে।

সংগ্রহকারী : মোরশেদুল আমিন শাহীন
সংগ্রহস্থান: হস্তিশুন্ড, বামরাইল, উজিরপুর, বরিশাল
সংগ্রহকাল: ২০২৪ সাল

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ